বুখারী-মুসলিমের রাবীকে যঈফ বলা:
আহলে হাদিসদের ইমাম আলবানীর তাহকীক পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে সহীহ বুখারী-মুসলিমের অসংখ্য রাবীকে যঈফ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে আমি কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরছি।
১. আলবানী হযরত উমর (رضي الله عنه)-এর বর্ণিত একটি হাদিসের পর্যালোচনা করতে গিয়ে লিখেন-
وأبو مسلم الأنصاري هذا المحمر لم أعرفه.
-‘‘সনদে আবূ মুসলিম নামে একজন রাবী রয়েছেন তাকে আমি চিনি না।’’ (আলবানী, সিলসিলাতুল আহাদিসিদ দ্বঈফাহ, ৩/৪৮২ পৃ. হা/১৪৯৪)
❏ অথচ এ আবূ মুসলিম হচ্ছেন সহীহ বুখারীর রাবী, তাকে তিনি মাজহুল বানিয়ে দিতে চেয়ে ছিলেন। তাকে মুহাদ্দিসগণ আবূ মারিয়ম আনসারী হিসেবে চিনেন। ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله) তাকে সামগ্রীকভাবে সিকাহ বলেছেন।
(ইবনে হাজার, তাক্বরীবুত তাহযিব, ৬৭২ পৃ. ক্রমিক.৮৩৫৭)
❏ ইবনে কাসির (رحمة الله) এবং ইবনে হাজার (رحمة الله) লিখেন-
وقال العِجْليُّ: أبو مريم مولى أبي هريرة تابعي، ثقة.
-‘‘ইমাম ইজলী (رحمة الله) বলেন, আবূ মারিয়ম হযরত আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه)-এর গোলাম ছিলেন, তিনি তাবেয়ী, বিশ্বস্ত ছিলেন।’’ (ইবনে কাসির, তাকমীল ফি জারহু ওয়া তা‘দীল, ৩/৪৩২ পৃ. ক্রমিক. ২৩৯৮, ইবনে হাজার, তাহযিবুত তাহযিব, ১২/২৩২ পৃ.) ইমাম যাহাবী (رحمة الله) বলেন, (ثقة) তিনি সিকাহ বা বিশ্বস্ত।’’ (যাহাবী, আল-কাশেফ, ক্রমিক. ৬৮২৮)
২. আলবানী একটি হাদিস পর্যালোচনা করতে গিয়ে লিখেন-
وإسماعيل احتج به الشيخان، وقال الحافظ: صدوق يخطىء قليلا
-‘‘এ সনদে ইসমাঈল নামক একজন রাবী রয়েছে তার হাদিস ইমাম বুখারী-মুসলিম (رحمة الله) সহীহ গ্রন্থদ্বয়ে স্থান দিয়েছেন, তবে হাফেয ইবনে হাজার (رحمة الله) বলেন, সে সত্যবাদী, হাদিসে ভুল করতেন, তা কম।’’ (আলবানী, সিলসিলাতুল আহাদিসিস সহীহা, ৩/২৬৭ পৃ. হা/১২৭২)
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! উক্ত রাবীর যেহেতু শাইখাইন (رحمة الله) সংকলন করেছেন সেখানে সে রাবীর সমালোচনা করার কারোও অধিকার নেই। তার বিষয়ে এ ধরনের উদাহরণ শত শত দেয়া যেতে পারে, যার বিস্তারিত আমার লিখিত ‘আলবানীর স্বরূপ উন্মোচন’ নামক গ্রন্থে পাবেন, ইনশা আল্লাহ।
━━━━━━━━━━━━━━━━
🌍 তথ্যসূত্রঃ [শহিদুল্লাহ বাহাদুর গ্রন্থসমগ্র এপ্স]
ডাউনলোড লিংকঃ bit.ly/Sohidullah
অথবা, এপ্সটি পেতে প্লে স্টোরে সার্চ করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন