এক স্থানে এক রাবীকে সিকাহ বলে অন্য স্থানে যঈফ বলা:
১. আলবানী হযরত জাবের (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত হাদিস নিয়ে পর্যালোচনা করতে গিয়ে সনদে থাকা এক ‘ফুযাইল ইবনে সুলাইমান’ রাবী নিয়ে লিখেন-
وهو وإن احتج به الشيخان فقد قال الحافظ فى التقريب : صدوق , له خطأ كثير
-‘‘এ সনদের ‘ফুযাইল’ নামক একজন রাবী রয়েছে তার হাদিস ইমাম বুখারী-মুসলিম (رحمة الله) সহীহ গ্রন্থদ্বয়ে স্থান দিয়েছেন, তবে হাফেয ইবনে হাজার (رحمة الله) বলেন, সে সত্যবাদী, হাদিসে প্রচুর ভুল করতেন।’’ (আলবানী, ইরওয়াউল গালীল, ৩/২০৭ পৃ. হা/৭৫৬)
❏ অথচ অন্য এক হাদিসের আলোচনা করতে গিয়ে এ রাবী সম্পর্কে লিখেন-
قلت: وإسناده جيد رجاله رجال البخاري، وفي الفضيل كلام لا يضر
-‘‘আমি (আলবানী) বলি, এ সনদটি শক্তিশালী, সনদের সমস্ত বর্ণনাকারী সহীহ বুখারীর বর্ণনাকারী, সনদে ফুযায়েল নামক রাবী রয়েছেন, তার বিষয়ে কোনো সমালোচনা গ্রহণযোগ্য নয়।’’ (আলবানী, সিলসিলাতুল...সহীহা, ৩/২১৫ পৃ. হা/১২১৩)
২. আহলে হাদিস আলবানী একটি হাদিসের সনদ পর্যালোচনা করতে গিয়ে রাবী ‘মুহাম্মদ বিন আজলান’ সম্পর্কে লিখেন-
وابن عجلان متكلم فيه
-‘‘সনদে ইবনে আজলান রয়েছে, তার বিষয়ে সমালোচনা রয়েছে।’’ (আলবানী, তামামিল মিন্নাহ, ২১৮ পৃ.)
❏ অথচ অন্য এক হাদিসের আলোচনা করতে গিয়ে এ রাবী সম্পর্কে লিখেন-
قلت: وإسناده جيد...... وابن عجلان إنما أخرج له البخاري تعليقا ومسلم استشهادا.
-‘‘আমি (আলবানী) বলি, এ সনদটি শক্তিশালী,.....সনদে ইবনে আজলান নামক একজন রাবী রয়েছে তার হাদিস সহীহ বুখারীতে তা‘লিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে এবং ইমাম মুসলিম (رحمة الله) তার ‘আস-সহীহ’ গ্রন্থে তার হাদিসের সাক্ষ্য দিয়েছেন।’’(আলবানী, সিলসিলাতুল...সহীহা, ৫/২৭১ পৃ. হা/২২৩১)
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! এ ধরনের উদাহরণ শত শত দেয়া যেতে পারে, তিনি সহীহ বুখারী মুসলিমের রাবীকেও যঈফ বলতে পরওয়া করেন না; যার বিস্তারিত আমার লিখিত ‘আলবানীর স্বরূপ উন্মোচন’ নামক গ্রন্থে পাবেন, ইনশা আল্লাহ।
━━━━━━━━━━━━━━━━
🌍 তথ্যসূত্রঃ [শহিদুল্লাহ বাহাদুর গ্রন্থসমগ্র এপ্স]
ডাউনলোড লিংকঃ bit.ly/Sohidullah
অথবা, এপ্সটি পেতে প্লে স্টোরে সার্চ করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন