ইমামে আহলে সুন্নাত রহমতুল্লাহি তাআলা আলায়হি
---------------------
"ইমামে আহলে সুন্নাত" এই মহিমান্বিত শব্দামালা যখনই আমাদের কানে ভেসে আসে সঙ্গে সঙ্গে এক মহান ব্যক্তিত্বের স্বরণ আমাদের মনােজগতকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। আর তিনি হলেন, ইমামে আহলে সুন্নাত মুজা্দিদে দ্বীনও মিল্লাত আলা হযরত ইমাম আহমদ রজা খান ফাযেলে বেরেলভী রহমতুল্লাহ্ আলায়হি।
ইমাম আহমদ রজা ফাযেলে বেরেলভী (রহঃ) বংশ পরস্পরায় পাঠান। মাযহাব চর্চায় হানাফী এবং ত্বরিক্বতে কাদেরী ছিলেন। সিলসিলায়ে আলিয়া কাদেরীয়ায় আলা
হযরতের দাখিল হওয়া প্রসঙ্গে সংঘটিত একটি মহিমান্বিত কারামতের বর্ণনা বিভিন্ন জীবন চরিত গ্রন্থে পাওয়া যায়। আর তা হলাে তিনি এবং তাঁর বুযুর্গ পিতা
ভারতের মারহারা শরীফে "আসতানায়ে আলিয়া বরকাতিয়ায়" উপস্থিত হলে মহান অলীয়ে কামেল হযরত মাওলানা শাহ সৈয়্দ আলে রাসূল রহমতুল্লাহ আলায়হি এর সঙ্গে সর্ব প্রথম তাঁদের সাক্ষাত হয়। শাহ সৈয়্যদ আলে রাসূল (রহঃ) আলা হযরত (রঃ) কে দেখার সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন , আসুন, আমি তাে কয়েক দিন থেকে আপনার এন্তেজারে রয়েছি। ইমামে আহলে সুন্নাত বায়আত গ্রহন করলেন। আর তখনই মহান অলী শাহ আলে রাসূল (রহঃ) সকল সিলসিলার ইযাজত প্রদান করতঃ আলা হযরতের মুবারক মস্তকে খেলাফতের তাজ পরিয়ে দিলেন। উপস্থিত মুরীদগণ আরজ করলেন-হুজুর! আপনি উনাদেরকে কোন প্রকার রেয়াজত কিংবা সাধনার হুকুম দিলেন না। বরং বায়আতের সঙ্গে সঙ্গে খেলাফতও দান করলেন। এর অন্তর্নিহিত ভেদ কি? জবাবে শাহ আলে রাসূল (রহঃ) বললেন, "তাঁরা সম্পূর্ণ রুপে তৈরী হয়ে এসেছেন। তাঁদের শুধু একজন শেখে কামেল এর সাথে "নিসবত (সম্পর্ক) স্থাপনের
প্রয়ােজন ছিল।" এ বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। আর বলতে লাগলেন যে, মহান আল্লাহ্ যদি কিয়ামত দিবসে আমায় জিজ্ঞাসা করেন-হে আলে রাসূল! তুমি দুনিয়া হতে আমার জন্য কি নিয়ে এসছাে? তখন আমি আল্লাহর আলিশান দরবারে ইমাম আহমদ রজা কে পেশ করবাে।
ইমাম আহমদ রজা খান (রহঃ) ১০ শাওয়াল ১২৭২ হিঃ মােতাবেক ১৪ই জুন ১৮৫৬ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরেলী শহরে জন্মগ্রহন করেন। নামকরণ করা হয় মুহাম্মদ। ঐতিহাসিক নাম মুখতার। সম্মানিত পিতামহ নাম রাখলেন-আহমদ রজা পরবর্তীতে আলা হযরত নিজেই আবদুল মুছতফা" অংশটুকু নিজের নামের সঙ্গে সংযােজন করলেন। ভক্ত অনুরক্তরা "ইমামে আহলে সুন্নাত আলা হযরত ফাযেলে বেরেলভী ইত্যাদী অভিধায় তাঁকে স্মরণ করে থাকে।
আলা হযরতের খেদমতঃ
----------------
প্রায় বাহাত্তরটি বিষয়ের উপর আলা হযরতের পরিপূর্ণ দখল ও দক্ষতা ছিল, তিনি মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে দুগ্ধপান সংক্রান্ত বিষয়ে জীবনের সর্বপ্রথম ফত্ওয়া লিপিবদ্ধ করেন বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন বিষয় বস্তুর উপর প্রায় দেড় সহস্রাধিক মহামূল্যবান পুস্তক রচনা করে মুসলিম বিশ্বে আলােড়ন সৃষ্টি করেন। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য কৃতিত্ব হলাে উর্দু ভাষায় পবিত্র কুরআনের বিশুদ্ধ অনুবাদ। যাতে শানে উলুহিয়ত এবং রাসূলে আকরম (দঃ) এর মর্যাদা-মহিমা -মহত্বের উপর সর্বাধিক শুরুত্ব আরােপিত হয়। এর নামকরণ করা হয়, "কানযুল ঈমান অর্থাৎ "ঈমানের ভান্ডার" নামে। উর্দু ভাষায় কৃত পবিত্র কুরআনের অন্যান্য অনুবাদ এর সঙ্গে কানযুল ঈমান এর তুলনামূলক পর্যালােচনা করে জ্ঞানীগণ অনায়াসে এ সিন্ধান্তে উপনীত হতে সক্ষম হবেন যে, "কানযুল ঈমান", ই উর্দু ভাষায় পবিত্র কুরআনের সর্বাধিক বিশুদ্ধ ও উৎকৃষ্ট অনুবাদ। যা আলা হযরতের উচ্চতর এবং গভীর পান্ডিত্বের স্বাক্ষর বহন করে। তাঁর আরেকটি উল্লেখযােগ্য ও অবিস্মরনীয় খেদমত হলাে ফিক্হ শান্ত্রের জগতে সর্বাধিক আলােড়ন সৃষ্টিকারী বিশাল ফতওয়ার ভান্ডার ফাতাওয়ায়ে রজভীয়া শরীফ" যা বারাে খন্ডে সুবিন্যান্ত, প্রতিটি খন্ড সহস্রাধিক পৃষ্ঠা সম্বলিত। যাকে মুসলিম গবেষক, পন্ডিত ও মনীষীগণ ইনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম" অর্থাৎ ইসলামের বিশ্বকোষ নামে অভিহিত করে থাকে। আলা হযরতের এহেন বিস্ময়কর, খেদমতে ধর্মীয় মনীষীরা এক বাক্যে তাঁকে চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ হিসেবে অভিহিত
করেছেন।
ইমাম আহমদ রজা ফাযেলে বেরেলভী (রহঃ) ছিলেন শানে রেছালতের উপর তিনি অজস্র নাত,গজল, রচনা করেন। হুজুরে আকরম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর শানে রচিত প্রসিদ্ধ "ছালাত-ছালাম" (মুছতফ
জানে রহমত পে লাখাে সালাম)যার একেকটি পংক্তি রাসূলে পাক (দঃ) এর একেকটি বরকতময় সুন্নাত এবং আমলকে নির্দেশ করে লিখিত হয়েছে। সমগ্র মুসলিম বিশ্বে বিশেষতঃ পাক-ভারত উপমহাদেশে প্রায় শত বর্ষ ধরে সর্বজন সমাদৃত হয়ে পঠিত হয়ে আসছে। তাঁর নাত-সংকলন "হাদায়েকে বখশিশ" নামে সুপ্রসিদ্ধ।
ملك سخن کی شاهی تمکو رضا مسلم
جس سمت آگئ هيں سکے بتها دیئے هیں
মূলতঃ সমগ্র জীবনকে তিনি দ্বীনের খেদমতে অতিবাহিত করেন। তাঁর হৃদয়ে সদা।মুসলিম মিল্লাতের কল্যাণ কামনা জাগরুক থাকতাে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের জগতে তিনি মুসলিম জাতির পথ-প্রদর্শক এর ভূমিকা পালন করেছেন। যখন বড় বড় কংগ্রেসী মৌলভীরা "অখন্ড ভারত" আন্দোলনের শ্লোগানে মুখর, আলা হযরত তখন মুসলমানদেরকে এর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সাবধান করে দ্বি জাতি তত্ত্বের ফর্মূলা পেশ করলেন। অতঃপর ১৮৯৭ সালে পাটনায় অনুষ্ঠিত "অল ইন্ডিয়া ছুন্নী কনফারেন্সে" দ্বিজাতি তত্ত্বের ফর্মূলা উপস্থাপন করে মুসলিম জাতিকে সচেতন করে দিলেন যে, মুসলমান এক স্বতন্ত্র জাতি এবং হিন্দু আরেক স্বতন্ত্র জাতি। সুতরাং এই স্বতন্ত্র ধর্ম এবং জাতি সত্তার ভিত্তিতে তাদের জন্য স্বতন্ত্র আবাসভূমি নির্ধারিত হতে হবে। এভাবে আলা হযরত মুসলিম জাতির বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সংক্ষেপে বলা যায় যে, তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানের এক সমুজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক ছিলেন।
২৫শে ছফর ১৩৪০ হিঃ মােতাবেক ২৮শে অক্টোবর ১৯২১ইং বেরেলী শরীফে তিনি বেছাল প্রাপ্ত হন। সেখানেই তাঁর মাজার শরীফ অবস্থিত। যা আজো ইসলামী বিশ্বের মুসলিম জাতির নিকট হেদায়তের জ্যোতি বিকিরণ করে যাচ্ছে।
মুহাম্মদ আলতাফ আহমদ কাদেরী রজভী
---------------------
"ইমামে আহলে সুন্নাত" এই মহিমান্বিত শব্দামালা যখনই আমাদের কানে ভেসে আসে সঙ্গে সঙ্গে এক মহান ব্যক্তিত্বের স্বরণ আমাদের মনােজগতকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। আর তিনি হলেন, ইমামে আহলে সুন্নাত মুজা্দিদে দ্বীনও মিল্লাত আলা হযরত ইমাম আহমদ রজা খান ফাযেলে বেরেলভী রহমতুল্লাহ্ আলায়হি।
ইমাম আহমদ রজা ফাযেলে বেরেলভী (রহঃ) বংশ পরস্পরায় পাঠান। মাযহাব চর্চায় হানাফী এবং ত্বরিক্বতে কাদেরী ছিলেন। সিলসিলায়ে আলিয়া কাদেরীয়ায় আলা
হযরতের দাখিল হওয়া প্রসঙ্গে সংঘটিত একটি মহিমান্বিত কারামতের বর্ণনা বিভিন্ন জীবন চরিত গ্রন্থে পাওয়া যায়। আর তা হলাে তিনি এবং তাঁর বুযুর্গ পিতা
ভারতের মারহারা শরীফে "আসতানায়ে আলিয়া বরকাতিয়ায়" উপস্থিত হলে মহান অলীয়ে কামেল হযরত মাওলানা শাহ সৈয়্দ আলে রাসূল রহমতুল্লাহ আলায়হি এর সঙ্গে সর্ব প্রথম তাঁদের সাক্ষাত হয়। শাহ সৈয়্যদ আলে রাসূল (রহঃ) আলা হযরত (রঃ) কে দেখার সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন , আসুন, আমি তাে কয়েক দিন থেকে আপনার এন্তেজারে রয়েছি। ইমামে আহলে সুন্নাত বায়আত গ্রহন করলেন। আর তখনই মহান অলী শাহ আলে রাসূল (রহঃ) সকল সিলসিলার ইযাজত প্রদান করতঃ আলা হযরতের মুবারক মস্তকে খেলাফতের তাজ পরিয়ে দিলেন। উপস্থিত মুরীদগণ আরজ করলেন-হুজুর! আপনি উনাদেরকে কোন প্রকার রেয়াজত কিংবা সাধনার হুকুম দিলেন না। বরং বায়আতের সঙ্গে সঙ্গে খেলাফতও দান করলেন। এর অন্তর্নিহিত ভেদ কি? জবাবে শাহ আলে রাসূল (রহঃ) বললেন, "তাঁরা সম্পূর্ণ রুপে তৈরী হয়ে এসেছেন। তাঁদের শুধু একজন শেখে কামেল এর সাথে "নিসবত (সম্পর্ক) স্থাপনের
প্রয়ােজন ছিল।" এ বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। আর বলতে লাগলেন যে, মহান আল্লাহ্ যদি কিয়ামত দিবসে আমায় জিজ্ঞাসা করেন-হে আলে রাসূল! তুমি দুনিয়া হতে আমার জন্য কি নিয়ে এসছাে? তখন আমি আল্লাহর আলিশান দরবারে ইমাম আহমদ রজা কে পেশ করবাে।
ইমাম আহমদ রজা খান (রহঃ) ১০ শাওয়াল ১২৭২ হিঃ মােতাবেক ১৪ই জুন ১৮৫৬ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরেলী শহরে জন্মগ্রহন করেন। নামকরণ করা হয় মুহাম্মদ। ঐতিহাসিক নাম মুখতার। সম্মানিত পিতামহ নাম রাখলেন-আহমদ রজা পরবর্তীতে আলা হযরত নিজেই আবদুল মুছতফা" অংশটুকু নিজের নামের সঙ্গে সংযােজন করলেন। ভক্ত অনুরক্তরা "ইমামে আহলে সুন্নাত আলা হযরত ফাযেলে বেরেলভী ইত্যাদী অভিধায় তাঁকে স্মরণ করে থাকে।
আলা হযরতের খেদমতঃ
----------------
প্রায় বাহাত্তরটি বিষয়ের উপর আলা হযরতের পরিপূর্ণ দখল ও দক্ষতা ছিল, তিনি মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে দুগ্ধপান সংক্রান্ত বিষয়ে জীবনের সর্বপ্রথম ফত্ওয়া লিপিবদ্ধ করেন বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন বিষয় বস্তুর উপর প্রায় দেড় সহস্রাধিক মহামূল্যবান পুস্তক রচনা করে মুসলিম বিশ্বে আলােড়ন সৃষ্টি করেন। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য কৃতিত্ব হলাে উর্দু ভাষায় পবিত্র কুরআনের বিশুদ্ধ অনুবাদ। যাতে শানে উলুহিয়ত এবং রাসূলে আকরম (দঃ) এর মর্যাদা-মহিমা -মহত্বের উপর সর্বাধিক শুরুত্ব আরােপিত হয়। এর নামকরণ করা হয়, "কানযুল ঈমান অর্থাৎ "ঈমানের ভান্ডার" নামে। উর্দু ভাষায় কৃত পবিত্র কুরআনের অন্যান্য অনুবাদ এর সঙ্গে কানযুল ঈমান এর তুলনামূলক পর্যালােচনা করে জ্ঞানীগণ অনায়াসে এ সিন্ধান্তে উপনীত হতে সক্ষম হবেন যে, "কানযুল ঈমান", ই উর্দু ভাষায় পবিত্র কুরআনের সর্বাধিক বিশুদ্ধ ও উৎকৃষ্ট অনুবাদ। যা আলা হযরতের উচ্চতর এবং গভীর পান্ডিত্বের স্বাক্ষর বহন করে। তাঁর আরেকটি উল্লেখযােগ্য ও অবিস্মরনীয় খেদমত হলাে ফিক্হ শান্ত্রের জগতে সর্বাধিক আলােড়ন সৃষ্টিকারী বিশাল ফতওয়ার ভান্ডার ফাতাওয়ায়ে রজভীয়া শরীফ" যা বারাে খন্ডে সুবিন্যান্ত, প্রতিটি খন্ড সহস্রাধিক পৃষ্ঠা সম্বলিত। যাকে মুসলিম গবেষক, পন্ডিত ও মনীষীগণ ইনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম" অর্থাৎ ইসলামের বিশ্বকোষ নামে অভিহিত করে থাকে। আলা হযরতের এহেন বিস্ময়কর, খেদমতে ধর্মীয় মনীষীরা এক বাক্যে তাঁকে চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ হিসেবে অভিহিত
করেছেন।
ইমাম আহমদ রজা ফাযেলে বেরেলভী (রহঃ) ছিলেন শানে রেছালতের উপর তিনি অজস্র নাত,গজল, রচনা করেন। হুজুরে আকরম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর শানে রচিত প্রসিদ্ধ "ছালাত-ছালাম" (মুছতফ
জানে রহমত পে লাখাে সালাম)যার একেকটি পংক্তি রাসূলে পাক (দঃ) এর একেকটি বরকতময় সুন্নাত এবং আমলকে নির্দেশ করে লিখিত হয়েছে। সমগ্র মুসলিম বিশ্বে বিশেষতঃ পাক-ভারত উপমহাদেশে প্রায় শত বর্ষ ধরে সর্বজন সমাদৃত হয়ে পঠিত হয়ে আসছে। তাঁর নাত-সংকলন "হাদায়েকে বখশিশ" নামে সুপ্রসিদ্ধ।
ملك سخن کی شاهی تمکو رضا مسلم
جس سمت آگئ هيں سکے بتها دیئے هیں
মূলতঃ সমগ্র জীবনকে তিনি দ্বীনের খেদমতে অতিবাহিত করেন। তাঁর হৃদয়ে সদা।মুসলিম মিল্লাতের কল্যাণ কামনা জাগরুক থাকতাে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের জগতে তিনি মুসলিম জাতির পথ-প্রদর্শক এর ভূমিকা পালন করেছেন। যখন বড় বড় কংগ্রেসী মৌলভীরা "অখন্ড ভারত" আন্দোলনের শ্লোগানে মুখর, আলা হযরত তখন মুসলমানদেরকে এর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সাবধান করে দ্বি জাতি তত্ত্বের ফর্মূলা পেশ করলেন। অতঃপর ১৮৯৭ সালে পাটনায় অনুষ্ঠিত "অল ইন্ডিয়া ছুন্নী কনফারেন্সে" দ্বিজাতি তত্ত্বের ফর্মূলা উপস্থাপন করে মুসলিম জাতিকে সচেতন করে দিলেন যে, মুসলমান এক স্বতন্ত্র জাতি এবং হিন্দু আরেক স্বতন্ত্র জাতি। সুতরাং এই স্বতন্ত্র ধর্ম এবং জাতি সত্তার ভিত্তিতে তাদের জন্য স্বতন্ত্র আবাসভূমি নির্ধারিত হতে হবে। এভাবে আলা হযরত মুসলিম জাতির বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সংক্ষেপে বলা যায় যে, তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানের এক সমুজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক ছিলেন।
২৫শে ছফর ১৩৪০ হিঃ মােতাবেক ২৮শে অক্টোবর ১৯২১ইং বেরেলী শরীফে তিনি বেছাল প্রাপ্ত হন। সেখানেই তাঁর মাজার শরীফ অবস্থিত। যা আজো ইসলামী বিশ্বের মুসলিম জাতির নিকট হেদায়তের জ্যোতি বিকিরণ করে যাচ্ছে।
মুহাম্মদ আলতাফ আহমদ কাদেরী রজভী
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন