অষ্টম পর্ব
=======
শিয়াদের বিশ্বাসঘাতকতা:
শিয়া সম্প্রদায় একটি বিশ্বাসঘাতক সম্প্রদায়। তারা প্রথমে তাদের ইমাম হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে সমর্থন করে যুদ্ধে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পরে ভয়ে অথবা লোভে পড়ে তাঁদেরকে পরিত্যাগ করে। সিফফিনের যুদ্ধে এই শিয়ারাই হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে পৃথক হয়ে খারিজী নাম ধারণ করে এবং তাদের মধ্য হতে ইবনে মুলজেম তাঁকে শহীদ করে। হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর পর ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু খলিফা হলে ইমাম হাসানের পক্ষের শিয়ারাই টাকার লোভে তাঁর দল থেকে সরে দাঁড়ায়। তাই ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হযরত মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর পক্ষে খেলাফত হস্তান্তর করে নিজে খিলাফত থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। শিয়াদের গাদ্দারী ও বিশ্বাসঘাতকতায় বিরক্ত হয়ে গোটা ইমাম পরিবার কুফা থেকে মদিনায় চলে আসেন।
ইয়াযিদের রাজত্বকালে কুফার শিয়াগণই আবার ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে কুফায় দাওয়াত করে খিলাফত - গ্রহনের জন্য হাজার হাজার পত্র প্রেরণ করেছিল দূত মারফত। তাদের পত্র ও দাওয়াত পেয়েই ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সপরিবারে কুফায় রওয়ানা হন। কিন্তু ইতিমধ্যে পাপিষ্ট ইয়াযিদ কুফাবাসীকে খরিদ করে নেয় এবং ইমামের বিরুদ্ধে কাজে লাগায়। এরাই কুফার শাসক ওবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদের নেতৃত্বে কারবালার ময়দানে ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যায়। এদের মধ্যেই ছিল সীমার ও হোর। ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এই শিয়াদের লক্ষ্য করেই কারবালায় বলেছিলেন - ”হে কুফাবাসীগণ! তোমরা কি আমাকে দাওয়াত করে আনো নি? আজ কেন আমার বিরুদ্ধে লড়তে এসেছো?” তখন তারা কোন উত্তর দেয়নি।
সুতরাং এই শিয়ারাই তাদের তিন ইমামের সাথে গাদ্দারী করে তিনজনকেই শহীদ করার ব্যাবস্থা করে। অথচ এই শিয়ারাই আজকাল হায় হাসান, হায় হোসাইন - বলে বুক চাপড়ায় এবং মাতম করে। এ যেন গলায় পা চেপে বুক মালিশ করা। দুষ্ট লোকের হাতে পড়ে ইতিহাস এমনিভাবেই বিকৃত হয়ে যায়।
উস্তাজুল উলামা আল্লামা আবদুল জলীল রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর 'শিয়া পরিচিতি' থেকে প্রকাশিত হচ্ছে।
=======
শিয়াদের বিশ্বাসঘাতকতা:
শিয়া সম্প্রদায় একটি বিশ্বাসঘাতক সম্প্রদায়। তারা প্রথমে তাদের ইমাম হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে সমর্থন করে যুদ্ধে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পরে ভয়ে অথবা লোভে পড়ে তাঁদেরকে পরিত্যাগ করে। সিফফিনের যুদ্ধে এই শিয়ারাই হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে পৃথক হয়ে খারিজী নাম ধারণ করে এবং তাদের মধ্য হতে ইবনে মুলজেম তাঁকে শহীদ করে। হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর পর ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু খলিফা হলে ইমাম হাসানের পক্ষের শিয়ারাই টাকার লোভে তাঁর দল থেকে সরে দাঁড়ায়। তাই ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হযরত মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর পক্ষে খেলাফত হস্তান্তর করে নিজে খিলাফত থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। শিয়াদের গাদ্দারী ও বিশ্বাসঘাতকতায় বিরক্ত হয়ে গোটা ইমাম পরিবার কুফা থেকে মদিনায় চলে আসেন।
ইয়াযিদের রাজত্বকালে কুফার শিয়াগণই আবার ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে কুফায় দাওয়াত করে খিলাফত - গ্রহনের জন্য হাজার হাজার পত্র প্রেরণ করেছিল দূত মারফত। তাদের পত্র ও দাওয়াত পেয়েই ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সপরিবারে কুফায় রওয়ানা হন। কিন্তু ইতিমধ্যে পাপিষ্ট ইয়াযিদ কুফাবাসীকে খরিদ করে নেয় এবং ইমামের বিরুদ্ধে কাজে লাগায়। এরাই কুফার শাসক ওবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদের নেতৃত্বে কারবালার ময়দানে ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যায়। এদের মধ্যেই ছিল সীমার ও হোর। ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এই শিয়াদের লক্ষ্য করেই কারবালায় বলেছিলেন - ”হে কুফাবাসীগণ! তোমরা কি আমাকে দাওয়াত করে আনো নি? আজ কেন আমার বিরুদ্ধে লড়তে এসেছো?” তখন তারা কোন উত্তর দেয়নি।
সুতরাং এই শিয়ারাই তাদের তিন ইমামের সাথে গাদ্দারী করে তিনজনকেই শহীদ করার ব্যাবস্থা করে। অথচ এই শিয়ারাই আজকাল হায় হাসান, হায় হোসাইন - বলে বুক চাপড়ায় এবং মাতম করে। এ যেন গলায় পা চেপে বুক মালিশ করা। দুষ্ট লোকের হাতে পড়ে ইতিহাস এমনিভাবেই বিকৃত হয়ে যায়।
উস্তাজুল উলামা আল্লামা আবদুল জলীল রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর 'শিয়া পরিচিতি' থেকে প্রকাশিত হচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন