কদম রসূলের ইতিহাস


(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
-----------------
কোন বৎসর আসতে না পারিলে মনটা সারা বৎসর কেমন জানি করে। অন্তরটা কাঁদে । আসলে এইখানে এই সময়ে দেখতে পাই জীবনের সঙ্গে ধর্মের নিবিড় মিলন । মানুষ আর ধর্ম এক হয়ে যায় । আল্লাহ, রাছুল আর মানুষ নিয়েই মুসলমানের ধর্ম | সমাবেশে হয়ত কিছু খরচ হয়, তবু প্রতি বৎসর নতুন নতুন চিন্তা অনুপ্রেরণা নিয়ে মানুষ বাড়ী ফিরে । জীবন সম্পর্কে মানুষকে পূর্ণ সচেতন করে তােলে। মানুষ ও মানব জীবনের লাভ শুধু এইটুকুই। তাই সমাবেশই যেন তার সার্থকতা।
মােগলরা শুধু সুফী সাধকদের উপর বিশ্বাস করিতেন না, সুফী মতবাদও তাঁদের মধ্যে অনেকে প্রচার করেছেন । হযরত মুহাম্মদ (দঃ)-এর মেরাজ শরীফ সুফী মতবাদ অনুযায়ী শুধু বিশ্বাস করিবার জন্য (বর্তমানে বৈজ্ঞানিক মতেও যাহা সত্য প্রমাণিত। সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহজাদা দারা তার রিসালা-ই-হুকুমনামা (The Compass of Truth) নামক পুস্তকে এই কথা লিখেছেন । তখন অনেক হিন্দুরাও সুফীবাদ বিশ্বাস করিতেন ।
নদীতীরে উঁচু টিলার উপর দরগাহ শরীফ অবস্থিত বলিয়া ধ্যান, সাধনার ছিল উপযুক্ত স্থান । ধ্যান সাধনার মাধ্যমে মানুষ অলৌকিক শক্তি লাভ করে। সে শুনে
অনাহুত ধ্বনি । সমাবেশের সময় মানুষের শত গােলমালের মধ্যে সাধকের কানে “এই ধ্বনি" ভ্রমর গুঞ্জন কিংবা পিপিলিকা চলাচলের শব্দের ন্যায় ধ্বনিত হয় ।
জেকের আসকারও সুফীবাদের অন্যতম মহাত্ম । মােগলরা এই দরগাহ শরীফে চালু করেছিলেন এই সমাবেশ । এই বাৎসরিক সমাবেশই দরগাহ শরীফের শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ ।

পেইজ নং- ১৬

                                                       (চলবে)

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন