রবিউল আউয়াল চাঁদের প্রথম তারিখ হইতে
কদম রছুলে জণসমাবেশ
*****************
প্রতি বৎসর রবিউল আউয়াল চাঁদে হযরত মুহাম্মদ (দ:) - এর জন্ম ও মৃত্যু তারিখে হয় অপূর্ব জনসমাবেশ । পূর্বে এই সমাবেশ বারে ওফাতের সমাবেশ বলে পরিচিত ছিল । এখন চাঁদের প্রথম তারিখ হইতেই সমাবেশ শুরু হয় । যতই দিন যাচ্ছে মনে হয় জন সমাবেশের আকর্ষণ বাড়ছে। বাড়ছে মানুষের সমাগম ।
প্রায় সর্বস্তরের মানুষ আসে। আসে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, যুবক-যুবতী। শিশু কোলে নিয়ে আসেন অনেক মা, পিতা নিয়ে আসেন ছেলেকে । মা নিয়ে আসেন মেয়েকে। স্বামী নিয়ে আসেন স্ত্রীকে, এক নজর হযরতের পদচিহ্ন দর্শন করিতে । দূর-দুরান্ত হইতে আসিলেও তাহাদের কোন অসুবিধা হয় না। প্রতি বৎসর আসে। পবিত্র রবিউল আউয়াল চাঁদ আকাশে দেখা দিলেই শরীরে কোথা থেকে যেন শক্তি এসে যায় । আল্লাহ্ সহায়ক হন। সামান্য কিছু টাকা জোগাড় করিতেও অসুবিধা হয় না, চলে আসেন এখানে। দুই তিন রাত্র থেকেও যায় । অনেকে খােলা আকাশের নীচে, সিড়ির নীচে শুয়ে রাত কাটিয়ে দেন কোন অসুবিধা হয় না। দরগাহ প্রাঙ্গণ থেকে দূরে মারফতী গানের আসর জমে ফকির সাধকদের। তাদের বেশ-ভূষাও বিভিন্ন ধরণের। অনেকের পরণে লুঙ্গি, গায়ে আলখাল্লা। অনেকের
গলায় থাকে তসবী, অনেকের অপরিচ্ছন্ন দেহ, মুখে সুন্দর হলেও অযত্নের দাড়ি ।
পরনের কাপড় ময়লা, তাদের গানে মানুষ ঘর সংসার ভুলে যায় দুই একদিনের জন্য। ধর্ম কেন্দ্রিক সমাবেশ বা মেলা এদেশে বহু আছে কিন্তু এই সমাবেশ অবশ্যই
অন্য ধরণের। পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পুরুষের নামে এই সমাবেশ। এর থেকে বড় সমাবেশ আর কি হতে পারে? ফাতেহায়ে দোয়াজ দাহমের এই সমাবেশে যারা আসে তাদের দুই একজনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কেন আসেন এই সমাবেশে?
কি পান এখানে? কি আছে এখানে? উত্তর ছিল- সেটা কাউকে বুঝান যাবে না।এটা সম্পূর্ণ উপলব্ধির ব্যাপার । বৎসরে মাত্র একবার আসিলেই শান্তি পাই।
পেইজ নং- ১৫
(চলবে)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন