ঈশা খাঁ এবং কদমরছুল
**********
পথ ও পথিক-
পারস্য তােমাকে কবি মৌলানা জালালউদ্দিন রুমী মানুষ সম্পর্কে বলিয়াছেন আল্লাহ তােমাকে এই পথ দিয়া আনিয়াছেন অপরাধীর মত, তােমাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়। পরন্তু অতিথির মত তােমার উপর মেহেরবানী বর্ষণ করাই তাহার অভিপ্রায়”।
মােগল সম্রাট আকবরের সময় মােগলদের মনসবদার ঈশা খাঁ পালিয়ে আসেন বঙ্গদেশে। বঙ্গদেশের পূর্ব অঞ্চলে তখন বার ভূইয়ারা বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের
শাসন ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তুতি নিতেছিলেন।
ঈশা খাঁ হলেন সােনার গাঁ পরগণার শাসক। চাঁদ রায় কেদার রায় ছিলেন বিক্রমপুর পরগণার শাসক। মােগলদের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত আফগান সেনাপতি মাছুম খান কাবুলী ও সৈন্যদের সমন্বয়ে বিরাট সেনাবাহিনী গড়ে তুলে ঈশা খাঁ মােগলদের কোন
প্রকার কর না দিয়ে স্বাধীনভাবে সােনার গাঁ পরগণা শাসন করতেন।
সম্রাট আকবর বার ভূইয়াদের এই বিদ্রোহ দমন করতে তাঁর বিশ্বস্ত সেনাপতি মানসিংহকে এই অঞ্চলে প্রেরণ করেন । মানসিংহের সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিলে
ঈশা খাঁ বর্তমান বন্দর উপজেলার সােনাকান্দা দূর্গে দিশাহীন অবস্থায় যাবার সময় পথিমধ্যে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গভীর জঙ্গলের মধ্যে এক সাধক এবং তদীয় পত্নীকে পবিত্র কদম মােবারক বা পদচিহ্ন নিয়ে বসিয়া থাকিতে দেখেন। ঈশা খাঁ ঐ সাধক পুরুষকে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিতে পারিলেন যে ইহা হজরত মুহাম্মদ (দঃ)-এর পবিত্র পদচিহ্ন। ঈশা খাঁ অবনত মস্তকে ঐ সাধক পুরুষের নিকট মানসিংহের সঙ্গে যুদ্ধে জয়ের জন্য পবিত্র পদচিহ্নর দোয়া কামনা করিলেন । সাধক পুরুষ তখন বলিলেন আমরা স্বামী স্ত্রী দুইজনে এই পবিত্র পদচিহ্ন মাথার উপর রাখিয়া একজনঘুমাই আবার অন্যজন জাগিলে তাহাকে রাখিতে দেওয়া হয়।
পেইজ নং - ৭
(চলবে)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন