কদমরসুলের ইতিহাস।
********
কোন মহাপুরুষের শুধু কাহিনী এবং কিছু ঘটনা ইতিহাস সৃষ্টি করে না। তবে অনেক মহাপুরুষের কাহিনী এবং কিংবদন্তী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিহাস হয়ে
যায় ।
বাংলাদেশের সাবেক ঢাকা জেলা, বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত, শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বপাড়ে, (বর্তমান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২৩নং ওয়ার্ড) গ্রান্ড ট্রাঙ্ক
রােডের (এই উপমহাদেশে প্রথম ডাক প্রথা চালু করেন সম্রাট শেরশাহ। তিনি দিল্লী হইতে চট্টগ্রাম হয়ে আরাকান পর্যন্ত তৈরি করেছিলেন গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রােড) দক্ষিণ পার্শ্বে অবস্থিত কদমরছুল গ্রাম । হযরত মুহাম্মদ (দঃ)-এর পবিত্র পদচিহ্ন, কালাে পাথরে ধারণ খচিত এবং স্থাপিত ও তৎসংলগ্ন দরগাহ শরীফ, মসজিদ, মাজার যেমন প্রাচীন ইতিহাস, তেমনি কিংবদন্তীর কাহিনী । প্রায় পাঁচশত বছর যাবত এই পবিত্র পদচিহ্ন
ইতিহাস বহন করে আসছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে ভক্তি ও শ্রদ্ধা সহকারে প্রদর্শিত হয়ে আসছে । হযরত মুহাম্মদ (দঃ)-এর পবিত্র পদচিহ্ন কিভাবে এই স্থানে স্থাপন করা হল তা শুধু একটি ঘটনা বা কাহিনী নয়, ইতিহাস একে আশ্রয় দিয়ে সভ্যতার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করেছে ।
ঐতিহাসিকদের মতে ৯৮৬ হিজরী, ১৫৮০ খ্রীষ্টাব্দে মাছুমখান কাবুলী কর্তৃক এখানে স্থাপিত হলেও বহু শত বছর পূর্বে হাজী নূর মােহাম্মদ নামক এক তাপস ও সাধক পুরুষ পবিত্র পদচিহ্ন একজন আরব দেশীয় ব্যবসায়ীর নিকট হতে কয়েক হাজার স্বর্ণমুদ্রা নজরানা দিয়ে নিয়ে আসেন কদমরছুল গ্রামে।সমুদ্র এই নদীপথে আরব ব্যবসায়ীদের গমনাগমন বঙ্গদেশে ইসলাম ধর্ম প্রবর্তনের আগে থেকেই চালু ছিল। বঙ্গোপসাগরের তীরে চাটগাঁও (চট্টগ্রাম) এবং মেঘনা নদীর মােহনায় সাতগাঁও অঞ্চলের নাম আরবদের কাছে ছিল সম্পূর্ণ পরিচিত এবং তাহা বহু পুরাতন ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে। পাথরে খচিত বিভিন্ন শিল্প এবং মহাপুরুষের বাণী আরব ও পারস্য দেশে প্রচলিত বহু দিনের পুরাতন ঘটনা।
পেইজ নং - ৫
(চলবে)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন