মৃত্যুর পর কবরে নামাজ আদায়

কারামাতে আউলিয়া
(৯)
---------


হযরত সালেম রহমাতুল্লাহি আলাইহি
++++++++++++++

হযরত সালেম রহমাতুল্লাহি আলাইহি চল্লিশ বছর যাবত হযরত আনাস রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর সাহচর্য্যে ছিলেন। তিনি সর্বদা রোজা রাখতেন এবং প্রতিরাতে এক খতম কুরআন তেলাওয়াত করতেন। তাঁর ইন্তেকালের পর লোকেরা দীর্ঘদিন যাবত তাঁর কবর থেকে কুরআনে পাকের তেলাওয়াতের আওয়াজ শুনতে পায়। একদিন তাঁর জীবদ্দশায় তিনি হযরত হুমাইদ তাভীল রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর নিকট জিজ্ঞেস করেন যে, আপনার কি জানা আছে আম্বীয়ায়ে কেরাম ছাড়া অন্য কেউ করতে নামাজ পড়বে? তিনি বলেন, না। তখন তিনি বলেন- আল্লাহ যদি  কাউকে অনুমতি দেন তবে সালেমকে অবশ্যই অনুমতি দেবেন।
একজন নির্ভরযােগ্য বর্ণনাকারী খােদার শপথ করে বলেন, যখন আমি সালেমকে কবরে রাখলাম আমার সাথে হুমাইদ ভালও ছিলেন। আমরা সালেমকে কবরে রেখে কবরের ইট ঠিক করতেছি। ইত্যবসরে একটি ইট নীচে পড়ে যায় । আমি ইট নিতে গিয়ে দেখি কবরে
তিনি নামাজে দণ্ডায়মান। আমি হুমাইদকে ইশারা করে বললাম আপনি দেখতেছেন? তিনি বললেন চুপ থাক। দাফনের পর আমরা হযরত সালেম (র.) এর ঘরে গিয়ে তাঁর মেয়ের কাছে জিজ্ঞেস করলাম যে, সালেম জীবদ্দশায় কি আমল করতেন? মেয়ে জিজ্ঞেস করল
আপনারা কি দেখেছেন? আমরা তাকে কবরের ঘটনা বর্ণনা করলাম। তখন মেয়ে বলল তিনি পঞ্চাশ বছর যাবত সারা রাত ইবাদতে মগ্ন থাকতেন, সাহরীর সময় হলে তিনি এই দোয়া করতেন-
اللهم ان كنت اعطيت أحدا من خلفك الصلوة في قيره فا عطنا۔
হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির কাউকে যদি কবরে নামাজ পড়ার অনুমতি দিয়ে থাকেন তবে আমাকেও অনুমতি দিন। আল্লাহ তা'য়ালা তার দোয়া কবুল করেন।
(আবদুর রহমান জামী (৮৯৮ হি.), শওয়াহেদুন নবুয়্যত, উর্দু,পৃ: ৪০৫, অনুরূপ ঘটনা হযরত সাবেত (র.) সম্পর্কে আল্লামা জালাল উদ্দিন সুয়ুতী (র.) (৯১১ হি.) শরহুস সুদূর কিতাবের ১৭০ পৃষ্ঠায় বর্ণনা করেন,
বিষয় ভিত্তিক কারামাতে আউলিয়া,পৃ:-৬৪)।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন