রোযার ফযীলত (৩)
*** নবী করীম ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি রজবের সাতাইশ তারিখ রোযা রাখে, তার জন্য আল্লাহ তায়ালা ষাট মাসের রোযা লিখে দেন। ( তানযিহুশ শরীয়াহ,খন্ড - ২য়,হাদীস নং- ৪১,পৃ:-১৬১,ইহইয়াউল উলুমুদ্দীন,পৃ:-
৩০৬,রমযানের ফযীলত,পৃ:- ৩৯০)।
*** নবী করীম ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি রজবের সাতাইশ তারিখ রোযা রাখে, তার জন্য আল্লাহ তায়ালা ষাট মাসের রোযা লিখে দেন। ( তানযিহুশ শরীয়াহ,খন্ড - ২য়,হাদীস নং- ৪১,পৃ:-১৬১,ইহইয়াউল উলুমুদ্দীন,পৃ:-
৩০৬,রমযানের ফযীলত,পৃ:- ৩৯০)।
*** আলা হযরত,আজিমূল বরকত, ইমাম আহমদ
রযা খান রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইরশাদ করেন যে," ফাওয়ায়িদে হানাদে" হযরত সায়্যিদুনা আনাছ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে,নবী করীম ﷺ
ইরশাদ করেছেন," ২৭শে রজবে আমার নবুওয়্যত
প্রকাশ হয়েছে। যে ব্যক্তি এই দিন রোযা রাখবে আর ইফতারের সময় দু'আ করবে, ( তাহলে তা) ১০ বছরের গুনাহের কাফফারা হবে।( সংশোধিত ফাতাওয়ায়ে
রযবীয়্যাহ,খন্ড - ১০মম,পৃ:- ৬৪৮,রমযানের ফযীলত,
রযা খান রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইরশাদ করেন যে," ফাওয়ায়িদে হানাদে" হযরত সায়্যিদুনা আনাছ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে,নবী করীম ﷺ
ইরশাদ করেছেন," ২৭শে রজবে আমার নবুওয়্যত
প্রকাশ হয়েছে। যে ব্যক্তি এই দিন রোযা রাখবে আর ইফতারের সময় দু'আ করবে, ( তাহলে তা) ১০ বছরের গুনাহের কাফফারা হবে।( সংশোধিত ফাতাওয়ায়ে
রযবীয়্যাহ,খন্ড - ১০মম,পৃ:- ৬৪৮,রমযানের ফযীলত,
পৃ:- ৩৮৯ - ৩৯০)।
*** হযরত সায়্যিদুনা সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,নবী করীম ﷺ এর বানী হচ্ছে," রজবে এমন একটি দিন ও রাত রয়েছে যে,সেই দিনে যে রোযা রাখবে ও রাতে কিয়াম তথা ইবাদত বন্দেগী করবে সে যেন একশত বছর রোযা রাখলো।আর সেই দিন হলো ২৭শে রজব।
এই দিন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম কে আল্লাহ তায়ালার প্রতি প্রেরণ করেছেন।
সাল্লাম কে আল্লাহ তায়ালার প্রতি প্রেরণ করেছেন।
( শুআবুল ঈমান,খন্ড - ৩য়,হাদীস নং- ৩৮১১,পৃ:- ৩৭৪,
রমযানের ফযীলত,পৃ:- ৩৯০)
*** হযরত আবু আইয়ুব আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু
বলেন,নবী করীম ﷺ বলেছেন," যে রমযানের রোযা
রেখেছে শাওয়ালের ছয় দিন ( রোযা), এটা তার পূর্ণ বছরের রোযার সমান।( মুসলীম শরীফ,মিশকাত শরীফ,হাদীস নং- ১৯৪৯,পৃ :- ৩০৫)।
রেখেছে শাওয়ালের ছয় দিন ( রোযা), এটা তার পূর্ণ বছরের রোযার সমান।( মুসলীম শরীফ,মিশকাত শরীফ,হাদীস নং- ১৯৪৯,পৃ :- ৩০৫)।
*** হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত,নবী করীম ﷺ ইরশাদ করেন," যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখলো,তারপর শাওয়াল মাসে ছয়দিন রোযা রাখলো,তবে সে গুনাহসমূহ থেকে এমনিভাবে মুক্ত হয়ে যাবে,যেন সে আজই মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হলো।( মাজমাউয যাওয়ায়িদ,খন্ড - ৩য়,
হাদীস নং- ৫১০২,পৃ:- ৪২৫,রমযানের ফযীলত,পৃ:- ৪১৭)।
*** হযরত সায়্যিদুনা আবু আইয়ুব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,হযরত নবী করীম ﷺ এর সুগন্ধময় বানী হচ্ছে," যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখলো,তারপর আরো ছয়টি রোযা শাওয়াল মাসে রাখলো,সে যেন সারা জীবনই রোযা রাখলো।( সহীহ মুসলীম,হাদীস নং-
১১৬৪,পৃ:- ৫৯২,রমযানের ফযীলত,পৃ:- ৪১৭)।
১১৬৪,পৃ:- ৫৯২,রমযানের ফযীলত,পৃ:- ৪১৭)।
*** হাদীসে পাকে রয়েছে,আল্লাহ তায়ালার মহান দরবারে যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন ইবাদত অন্য দিনের তুলনায় অধিক পছন্দনীয়। সেগুলোর মধ্যে প্রতিদিনের রোযা এক বছরের রোযা এবং প্রতি রাতে
জাগ্রত রয়ে ইবাদত করা শবে ক্বদরের সমান।
( জামে তিরমিযী,খন্ড - ২য়,হাদীস নং- ৭৫৮,পৃ:- ১৯২,
জাগ্রত রয়ে ইবাদত করা শবে ক্বদরের সমান।
( জামে তিরমিযী,খন্ড - ২য়,হাদীস নং- ৭৫৮,পৃ:- ১৯২,
রমযানের ফযীলত,পৃ:- ৪১৯)।
*** হযরত সায়্যিদুনা আবু ক্বাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করীম ﷺ এর মহান বানী,"আল্লাহ
তায়ালার প্রতি আমার ধারনা হচ্ছে," আরাফার দিবসে যে রোযা রাখে তার এক বছর পূর্বের ও এক বছর পরের গুনাহ ক্ষমা করে দেন।( সহীহ মুসলীম,হাদীস নং- ১৯৬,পৃ:- ৫৯০,রমযানের ফযীলত,পৃ:- ৪১৯)।
তায়ালার প্রতি আমার ধারনা হচ্ছে," আরাফার দিবসে যে রোযা রাখে তার এক বছর পূর্বের ও এক বছর পরের গুনাহ ক্ষমা করে দেন।( সহীহ মুসলীম,হাদীস নং- ১৯৬,পৃ:- ৫৯০,রমযানের ফযীলত,পৃ:- ৪১৯)।
*** উম্মুল মু'মিনীন সায়্যিদুনা আয়েশা সিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত নবী করীম ﷺ এর
সুগন্ধিময় বানী, " যে ব্যক্তি ঈমান সহকারে এবং সাওয়াব হাসিলের উদ্দেশ্যে ইতিকাফ করে,তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।( জামিউ সগীর,হাদীস নং- ৮৪৮০,পৃ:- ৫১৬,রমযানের ফযীলত,পৃ:- ২৪৭ - ২৪৮)।
সুগন্ধিময় বানী, " যে ব্যক্তি ঈমান সহকারে এবং সাওয়াব হাসিলের উদ্দেশ্যে ইতিকাফ করে,তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।( জামিউ সগীর,হাদীস নং- ৮৪৮০,পৃ:- ৫১৬,রমযানের ফযীলত,পৃ:- ২৪৭ - ২৪৮)।
*** হযরত সায়্যিদুনা আলী মুরতাজা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,নবী করীম ﷺ আলাইহি ওয়া সা এর এরশাদ হচ্ছে," যে ব্যক্তি রমযান মাসে ( দশ দিনের) ই'তিকাফ করলো,তা দুই হজ্জ্ব ও দুই ওমরার মতো হলো। ( শুআবুল ঈমান,খন্ড - ৩য়,হাদীস নং- ২৯৬৬,
পৃ:-৪২৫,রমযানের ফযীলত,পৃ:- ২৫১)।
পৃ:-৪২৫,রমযানের ফযীলত,পৃ:- ২৫১)।
*** হযরত সায়্যিদুনা হাসান বসরী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,ইতিকাফকারী প্রতিদিন এক হজ্জ্বের সওয়াব পায়।"(শুআবুল ঈমান,খন্ড - ৩য়,হাদীস নং- ৩৯৬৮,পৃ:- ৪২৫,রমযানের ফযীলত,পৃ:- ২৫২)।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন