রোযার ফযীলত (২)
*** হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
নবী করীম ﷺ বলেছেন," যে ঈমানের সাথে ও
সাওয়াবের নিয়তে রমযানের রোযা রাখবে তার পূর্বের
( সগীরা) গুনাহসমূহ মাফ করা হবে এবং যে ঈমানের সাথে ও সাওয়াবের নিয়তে রমযানের রাত্রি ইবাদতে কাটাবে তার পূর্বের গুনাহসমূহ মাফ করা হবে, আর
যে ঈমানের সাথে ও সাওয়াবের নিয়তে ক্বদরের রাতে ইবাদতে কাটাবে তার পূর্বকৃত গুনাহসমূহ মাফ করা হবে।(বুখারী ও মুসলীম শরীফ,মিশকাত শরীফ,হাদীস নং- ১৮৬২,পৃ:- ২৯৫)।
যে ঈমানের সাথে ও সাওয়াবের নিয়তে ক্বদরের রাতে ইবাদতে কাটাবে তার পূর্বকৃত গুনাহসমূহ মাফ করা হবে।(বুখারী ও মুসলীম শরীফ,মিশকাত শরীফ,হাদীস নং- ১৮৬২,পৃ:- ২৯৫)।
*** নবী করীম ﷺ ইরশাদ করেছেন," মুহাররাম মাসের
প্রতিদিনের রোযা, এক মাসের রোযার সমান।( আল - মু'জামুস সাগীর লিত তাবরানী,খন্ড - ২য়,পৃ:- ৭১,
প্রতিদিনের রোযা, এক মাসের রোযার সমান।( আল - মু'জামুস সাগীর লিত তাবরানী,খন্ড - ২য়,পৃ:- ৭১,
খাবারের ইসলামী নিয়মাবলী,পৃ:- ২৮২)।
*** নবী করীম ﷺ ইরশাদ করেছেন,"যে ব্যক্তি মুহাররাম মাসে তিনদিন বৃহস্পতিবার,শুক্রবার ও শনিবার দিন রোযা রাখে,তার জন্য দু' বছরের ইবাদতের সাওয়াব লিখা হবে।( মাজমাউয যাওয়ায়িদ,খন্ড - ৩য়,হাদীস নং- ৫১৫১,পৃ:- ৪৩৮,
খাবারের ইসলামী নিয়মাবলী,পৃ:- ২৮২)।
*** নবী করীম ﷺ বলেছেন," আরাফার দিনের
রোযা রাখা একাধারে দু'বৎসর রোযা রাখার সমান ফায়দা আর আশুরার দিনে রোযা রাখা এক বৎসর রোযা রাখার সমতুল্য।( তানযীহুশ শরীআহ,খন্ড - ২য়,পৃ :- ১৬৫,মুসনাদে আহমদ,তাম্বিহুল গাফিলীন,পৃ:- ২৬২)।
রোযা রাখা একাধারে দু'বৎসর রোযা রাখার সমান ফায়দা আর আশুরার দিনে রোযা রাখা এক বৎসর রোযা রাখার সমতুল্য।( তানযীহুশ শরীআহ,খন্ড - ২য়,পৃ :- ১৬৫,মুসনাদে আহমদ,তাম্বিহুল গাফিলীন,পৃ:- ২৬২)।
*** হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে,নবী করীম ﷺ এর দয়াময় বানী হচ্ছে," রজবের ১ম দিনের রোযা তিন বছরের গুনাহের কাফফারা। ২য় দিনের রোযা দুই বছরের এবং ৩য় দিনের রোযা ১ বছরের গুনাহের
কাফফারা। এরপর প্রতিদিনের ১টি রোযা ১মাসের গুনাহের কাফফারা স্বরুপ। ( আল জামেউস সাগীর,
কাফফারা। এরপর প্রতিদিনের ১টি রোযা ১মাসের গুনাহের কাফফারা স্বরুপ। ( আল জামেউস সাগীর,
হাদীস নং- ৫০৫১,পৃ:- ৩৩১,রমযানের ফযীলত,পৃ:- ৩৮৫)।
*** হযরত সায়্যিদুনা আনাছ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,নবী করীম ﷺ ইরশাদ করেছেন," যে ব্যক্তি রজব মাসের একটি রোযা রাখলো, তবে তা পরিপূর্ণ এক বছর রোযা রাখার মত হবে। যে সাতটি রোযা রাখবে, তার জন্য জাহান্নামের সাতটি দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। যে ব্যক্তি আটটি রোযা রাখবে,তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে।যে ব্যক্তি ১০টি রোযা রাখবে,সে আল্লাহর কাছে যাই চাইবে তা আল্লাহ
তাকে দান করবেন।যে ব্যক্তি পনেরটি রোযা রাখবে,
তাকে দান করবেন।যে ব্যক্তি পনেরটি রোযা রাখবে,
তখন আসমান থেকে এক আহবানকারী আহবান করে বলবে যে,তোমার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়েছে।তুমি আজ থেকে নতুন করে আমল শুরু কর।তোমার গুনাহ সমূহ নেকী দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়া
হয়েছে। আর যারা এর বেশী করবে,আল্লাহ তায়ালা তাকে বেশী পরিমানে দান করবেন।
আর রজব মাসেই হযরত নূহ আলাইহিস সালাম
হয়েছে। আর যারা এর বেশী করবে,আল্লাহ তায়ালা তাকে বেশী পরিমানে দান করবেন।
আর রজব মাসেই হযরত নূহ আলাইহিস সালাম
কিশতিতে আরোহন করেছিলেন,তখন তিনি নিজেও রোযা রেখেছেন,সাথে সাথে সাথীদেরকে রোযা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।তার কিশতি ১০ই মুহাররম পর্যন্ত
ছয় মাস সফর অবস্থায় ছিল।( শুআবুল ঈমান,খন্ড
- ৩য়,হাদীস নং- ৩৮০১,পৃ:- ৩৬৮,রমযানের ফযীলত,
ছয় মাস সফর অবস্থায় ছিল।( শুআবুল ঈমান,খন্ড
- ৩য়,হাদীস নং- ৩৮০১,পৃ:- ৩৬৮,রমযানের ফযীলত,
পৃ:- ৩৮৭ - ৩৮৮)।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন