দুনিয়া হচ্ছে বালির ন্যায়!
প্রিয় ইসলামী বােনেরা! আপনারা শুনলেন তাে! বর্ণনাকৃত হাদীসে মুবারাকায়।দুনিয়ার প্রতি ভালবাসা পােষনকারীদের কিরূপ নিন্দা (Condemnation) বর্ণনা করা হয়েছে, সুতরাং আমাদের উচিৎ যে, শুধুমাত্র দুনিয়ার জন্যই যেনাে অস্থির না হই, আখিরাতের জন্যও নেকীর ভান্ডার জমা করুন, কেননা দুনিয়ার উদাহরন হলাে বালির ন্যায়, বালি দ্বারা মুষ্টি যতই বড় করে ভরে নিন না কেন, তা ধীরে ধীরে কণা কণা মুষ্টি থেকে বের হয়ে যায় এবং অবশেষে মুষ্টি খালি হয়ে যায়। এমনই অবস্থা এই ধোকাবাজ দুনিয়ার।
টাকা উপার্জন করা অতঃপর তা অসুস্থতায় ব্যয় করা
মানুষ সারা জীবন দুনিয়ার আনুগত্য করে, দুনিয়া অর্জনের টানে দিনরাত এক করে দেয়, পার্ট টাইম চাকুরী করে, ২০ ঘন্টা পর্যন্তও কাজ কর্ম করে, শুধুমাত্র এই কারণেই যে, টাকা উপার্জন করতে হবে, মােটকথা দিন অতিবাহিত হয় এই ভেবে যে, টাকা উপার্জন করতে হবে এবং কদম বাড়ায় এই চিন্তায় যে, টাকা উপার্জন করতে হবে। কিন্তু আহ! সেই টাকা, যার জন্য নিজের শরীরের তােয়াক্কা করেনি, সেই দুনিয়া, যার জন্য দিনরাত এক করেছিলাে, সেই সম্পদ, যা পাওয়ার সংগ্রামে ওভারটাইম (Overtime) করেছিলাে, সেই ধন, যা অর্জনের জন্য হালাল হারামের তােয়াক্কা করেনি, সেই টাকা, যা পাওয়ার জন্য নিজের জীবনের মূল্যবান মাস ও বছর সমূহ নষ্ট করে দিয়েছিলাে, সেই টাকা পয়সাই কিছুদিনের মধ্যেই অসুস্থতায় ব্যয় হয়ে যায়। জি হ্যাঁ! বান্দা যখন বার্ধক্যে উপনিত হয় তখন বিভিন্ন রােগ বালাই স্বাগত জানানাের জন্য প্রস্তুত থাকে, এবার না সে দুনিয়ার থাকে, না আখিরাতের জন্য কিছু করতে পারে।
_______________
কিতাব : দুনিয়া আমাদেরকে কি দিয়েছে
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
এই মন্তব্যটি একটি ব্লগ প্রশাসক দ্বারা মুছে ফেলা হয়েছে।
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন