নবী করীম (ﷺ)-এর ইন্তেকাল হতে কিয়ামত পর্যন্ত সংঘটিতব্য ফিতনা ও তার সংখ্যা সম্পর্কে অভিহিতকরণ (৫)
হাদিস - ৪১
হযরত সালমা ইবনে নুকাইল (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তোমরা আমার পর এমন কিছু সময় অবস্থান করবে, যার মধ্যে তোমরা একে অপরের শত্র“তে পরিণত হবে এবং অতিসত্ত্বর তোমরা কিছু সন্যের উপর হামলা করবে, যারা এক দল অন্য দলের উপর হামশে পড়বে। কিয়ামতের পূর্বে ব্যাপক হত্যা প্রকাশ পাবে এবং এর পর কিছু বৎসর এমনভাবে অতিবাহিত হবে যেন সেগুলো ভুমিকম্পের বৎসর।➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪১]
হাদিস - ৪২
হযরত মাকহুল (رحمة الله) থেকে বর্ণিত, আল্লাহতায়ালর বাণী ------ অর্থাৎ “তোমরা এক সিঁড়ি থেকে আরেক সিঁড়িতে আরোহন করবে।” (সূরা ইনশিক্বাক্বঃ ১৯) (বর্ণনাকারী এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ) প্রত্যেক বিশ বছরের মধ্যে তোমরা যে অবস্থাতে ছিলে, সেটা ছাড়া অন্য অবস্থাতে থাকবে। (অর্থাৎ প্রতি বিশ বছর পর পর তোমাদের অবস্থা পরিবর্তন হতে থাকবে।) ➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪২]
হাদিস - ৪৩
হযরত সা’য়াদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন, তথা --------------------------------- অর্থাৎ “হে নবী আপনি বলে দিন ঃ তিনিই (আল্লাহ) শক্তিমান যে, তোমাদের উপর কোন শাস্তি উপর দিক থেকে অথবা তোমাদের পদতল থেকে প্রেরণ করবেন।” (সূ (رضي الله عنه) আন’আমঃ ৬৫)। অতঃপর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, জেনে রেখ! নিশ্চয় তা সংঘটিত হবে। (বর্ণনাকারী বলেন) এর পর তার আর কোন ব্যাখ্যা করেননি।➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৩]
হাদিস - ৪৪
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত মুআম ইবনে জাবাল (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিঃ সন্দেহে তোমরা দুনিয়াতে ফিৎনা ফাসাদ এবং বালা-মসিবতই দেখতে পাবে। ধীরে ধীরে মোয়ামালা কঠিন থেকে কঠিনতর হতে থাকবে। যেসব বালা মসিবতগুলো তোমাদের কাছে ভয়াবহ এবং মারাত্মক মনে হবে কিন্তু তোমাদের পরবর্তীদের কাছে খুবই সহজলভ্য মনে হবে, যেহেতু তারা এর থেকে আরো কঠিন বিপদ আপদের সম্মুখিন হবে।➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৪]
হাদিস - ৪৫
মির ইবনে হুবাইশ (رحمة الله) থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আলী (رضي الله عنه) কে বলতে শুনেছেন, তোমরা আমার কাছে জানতেচাও, আল্লাহর কসম! কিয়ামতের পূর্বে প্রকাশ পাওয়া শত শত দল যারা যুদ্ধে লিপ্ত হবে তাদের সম্বন্ধে আমার কাছে জানতে চাওয়া হলে,আমি তাদের সেনাপ্রধান, পরিচালনাকারী এবং আহবানকারী সকলের নাম বলে দিতে পারব। তোমাদের এবং কিয়ামতের মাঝখানে যা কিছু সংঘটিত হবে সবকিছু পরিস্কারভাবে বলতে পারব।➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৫]
হাদিস - ৪৬
হযরত মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, জেনে রাখ! দুনিয়াতে বিপদ ও ফিতনা ছাড়া কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৬]
হাদিস - ৪৭
হযরত যুবায়ের ইবনে আদী আনাস ইবনে মালেক (رضي الله عنه)-কে বলতে শুনেছেন যে, আগামীতে তোমাদের উপর যে বছর আসবে তা অতীত অপেক্ষা আরো মন্দ হবে। একথাগুলো আমি তোমাদের নবী (ﷺ) হতে শুনেছি।➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৭]
হাদিস - ৪৮
হযরত আবুল জিল্দ জিলান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয় মুসলমানরা বিপদে আপতিত হবে পর মানুষ তাদের চতুর্দিকে ঘোরাঘুরি করতে থাকবে। ফলে মুসলমান কষ্টের কারণে ইহুদী ও খৃষ্টান হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে।➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৮]
হাদিস - ৪৯
হযরত হুযায়ফা (رضي الله عنه) ও হযরত আবু মুসা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তারা উভয়ে রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছেন, যে, কিয়ামতের পূর্বে এমন দিন আসবে যে তাতে মুর্খতা অবতীর্ণ হতে থাকবে এবং ‘হারজ’ বেড়ে যাবে। লোকেরা প্রশ্ন করলো ইয়া রাসূলাল্লাহ ‘হারজ’ কী? তিনি বললেন হত্যা। ➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৯]
হাদিস - ৫০
বিশিষ্ট তাবেঈ হযরত আ’নাস (رحمة الله) থেকে বর্ণিত, তার কাছে যিনি বর্ণনা করেছে তার কাছ থেকে তিনি নকল করেছেন, তিনি বলেন, তোমাদের কাছে যখনই এমন কোনো বালা মসিবত প্রকাশ পায়,যার কারণে তোমরা চিল্লাচিল্লি করবে, কিন্তু পিছনে এমন আরো বালা-মসিবত অপেক্ষা করছে যা এর থেকেও মারাত্মক। যে বালা মসিবত তোমাদেরকে পূর্বের মসিবতকে ভুলিয়ে দিবে। ➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৫০]
_______________
আল ফিতান
কৃত:নুয়াইম বিন হাম্মাদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন