নবী করীম (ﷺ)-এর ইন্তেকাল হতে কিয়ামত পর্যন্ত সংঘটিতব্য ফিতনা ও তার সংখ্যা সম্পর্কে অভিহিতকরণ (৩)
হাদিস - ২১
কায়েস ইবনে আবু হোসেন থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, বৃষ্টির ন্যায় পৃথিবীতে ফিতনা বিস্তার লাভ করবে।➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ২১]
হাদিস - ২২
হযরত ওবাইদুল্লাহ ইবনে আবু জাফর (رحمة الله) বলেন, যখন আল্লাহ তাআলা হযরত মুসা আঃ এর কাছে উম্মাতে মুহাম্মাদিয়া মর্যাদা সম্বন্ধে আলোচনা করলেন তখন হযরত মুসা আঃ উম্মাতে মুহাম্মাদিয়ার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করলেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, হে মুসা! উক্ত ওম্মতের মাঝে আখেরী যুগে অনেক ধরনের বালা মসিবত প্রকাশ পাবে। একথা শুনে হযরত মুসা আঃ বললেন, হে আল্লাহ! এধরনের বালা মসিবতকালীন কে ধৈর্য্য ধারন করতে পারবে? জবাবে আল্লাহ তাআলা বললেন, ঐ মুহূর্তে যারা ধৈর্য্য ধারন করে ঈমানের উপর অটল থাকবে তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বালা মসিবত সহজ হয়ে যাবে। ➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ২২]
হাদিস - ২৩
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল’আস থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, অচিরেই আমার উম্মতের মধ্যে এমন ফিতনা আসবে যে, তাতে মানুষ তার পিতা ও ভাই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এমনকি মানুষ তার বিপদের ব্যাপারে অপমান বোধ করবে, যেমন ব্যভিচারীনি মহিলা তার ব্যভিচারের অপমান বোধ করে।➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ২৩]।
হাদিস - ২৪
আবু তামীম জায়শানী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অবিরাম বৃষ্টির ন্যায় তোমাদের নিকট ফিতনা প্রবলভাবে বর্ষন হতে থাকবে।➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ২৪]
হাদিস - ২৫
হযরত উসামা ইবনে যায়েদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা নবী করীম (ﷺ) একটি দুর্গের উপর আরোহন করে (লোকদেরকে) বললেন, আমি যা দেখছি তোমরাও কি তা দেখছ? নিশ্চয় আমি দেখছি যে, তোমাদের গৃহের ফাঁকে ফাঁকে বৃষ্টির ন্যায় ফিতনা পতিত হচ্ছে।➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ২৫]
হাদিস - ২৬
মিশর-শাম এলাকায় মতপার্থক্য সৃষ্টিকারী ঝান্ডার বর্ননা ও তাদের বিজয়➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ২৬]
হাদিস - ২৭
হযরত হুজাইফা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর কসম শহরের রাস্তাগুলো থেকে এমন কোনো রাস্তা কিংবা গ্রামের গলিসমূহ থেকে এমন কোনো গলি নেই যার সম্বন্ধে আমি জানিনা যে, হযরত ওসমান (رضي الله عنه) কে শহীদ করার পর যাবতীয় ফিৎনা ফাসাদ প্রকাশ পাবে। অর্থাৎ, সবকিছু আমার কাছে পূর্ব থেকে জানা আছে।➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ২৭]
হাদিস - ২৮
হযরত আবু সালেম জায়শানী (رحمة الله) বলেন, আমি হযরত আলী (رضي الله عنه) কে কূফাতে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের পূর্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এমন তিনশত লোক প্রকাশ পাবে আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে পরিচালনাকারী এবং উৎসাহদাতাদের নাম ঠিকানা সবকিছু বলে দিতে পারব।➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ২৮]
হাদিস - ২৯
হুযাইফা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট কল্যাণ সম্পর্কে প্রশ্ন করত। আর আমি ক্ষতিকর বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতাম এই ভয়ে যেন আমি তাতে লিপ্ত না হই। হযরত হুযায়ফা (رضي الله عنه) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা এক সময় মুর্খতা ও মন্দের মধ্যে নিমজ্জিত ছিলাম অতঃপর আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে এই কল্যাণ (অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম) দান করেন। তবে কি কল্যাণের পর পুনরায় অকল্যাণ (ফিতনা-ফাসাদ) আসবে? রাসূল (ﷺ) বললেন হ্যাঁ, আসবে। আমি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলাম সেই অকল্যাণের পরে কি আবার কল্যাণ আসবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ আসবে। তবে তা হবে ধোঁয়াযুক্ত। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, সেই ধোঁয়া কি প্রকৃতির? তিনি বললেন, লোকেরা আমার সুন্নত বর্জন করে অন্য তরিকা গ্রহণ করবে এবং আমার পথ ছেড়ে লোকদেরকে অন্য পথে পরিচালিত করবে। তখন তুমি তাদের মধ্যে ভাল কাজও দেখতে পাবে এবং দেখতে পাবে মন্দ কাজও। আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, সেই কল্যাণের পরও কি অকল্যাণ আসবে? তিনি বললেন হ্যাঁ, দোজখের দ্বারে দাঁড়িয়ে কতিপয় আহ্বানকারী লোকদেরকে সেই দিকে আহ্বান করবে। যারা তাদের আহ্বানে সাড়া দেবে তাদেরকে তারা জাহান্নামে নিক্ষেপ করে ছাড়বে। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাকে তাদের পরিচয় জানিয়ে দিন। তিনি বললেন, তারা আমাদের মতোই মানুষ হবে এবং আমাদের ভাষায় কথা বলবে।➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ২৯]
হাদিস - ৩০
হযরত হাসসান ইবনে আতিয়্যাহ হযরত হুযায়ফা (رضي الله عنه) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন, (অর্থাৎ ২৯ নং হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন)।➥[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৩০]
_______________
আল ফিতান
কৃত:নুয়াইম বিন হাম্মাদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন