মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম
রায়পুর, আনােয়ারা, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন : আমাদের বাড়িতে গাছ ও টিন দ্বারা নির্মিত পুরাতন একটি ইবাদতখানা আছে। এক লােক একে জামে মসজিদ করে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করেন। কিন্তু ইবাদতখানার জায়গার মালিক মসজিদের নামে জায়গা ওয়াকফ করার জন্য রাজি নয়। আমরা পার্শ্ববর্তী জমিনে মসজিদ নির্মাণ করেছি। এখন প্রশ্ন হল- গাছ এবং টিনগুলাে দ্বারা মকতব ঘর নির্মাণ করা যাবে কিনা এবং পুরাতন ইবাদতখানার জায়গা খালি থাকার কারণে আমাদের কোন গুনাহ বা ক্ষতি হবে কিনা? জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
উত্তর : পুরাতন ইবাদতখানার প্রকৃত মালিক যদি ওই জায়গা আল্লাহর ওয়াস্তে খালেস নিয়্যতে ইবাদতখানা বা মসজিদের নামে ওয়াকফ বা দান না করে (লিখিত বা মৌখিক) তবে তা শরীয়ত সমর্থিত মসজিদ বা ইবাদতখানারূপে স্বীকৃতি পাবে না। সুতরাং, ওই পুরাতন ইবাদতখানার পুরাতন কাঠ ও টিন প্রকৃত মালিকের অনুমতি সাপেক্ষে মকতব বা অন্য পবিত্র জায়গায় লাগাতে পারবে। প্রকৃত মালিকের অনুমতি ছাড়া লাগানাে যাবে না।
উল্লেখ্য যে, উপরিউক্ত স্থানে দীর্ঘদিন যাবৎ পাঞ্জেগানা নামায আদায়ের দরুন ওইজায়গাকে সম্মান করা, অপবিত্র না করা বরং পবিত্রতা রক্ষা করা এলাকাবাসীর ঈমানী কর্তব্য। তবে পুরাতন ইবাদতখানার প্রকৃত মালিক জায়গাটি মসজিদ বা ইবাদতখানার জন্য আল্লাহর ওয়াস্তে পূর্বে বা পরে দান বা ওয়াকফ না করলে তবে ওই স্থানে মালিক
স্বীয় ঘর-বাড়ি, অফিস-আদালত হিসেবে বা প্রয়ােজন ব্যবহার করতে পারবে। আর যদি পূর্বে বা পরে ওই স্থানকে ইবাদতখানা বা মসজিদের নামে দান বা ওয়াকফ করলে (মৌখিক হােক বা লিখিত হােক) তা কখনাে দোকান-পাট, ঘর-বাড়ি স্বীয় দুনিয়াবী কাজে ব্যবহার করা যাবে না। অবশ্যই গুনাহগার হবে। (ফতােয়া-ই হিন্দিয়া ও রদ্দুল মুহতার, মসজিদ অধ্যায় ইত্যাদি)(যুগ জিজ্ঞাসা,পৃষ্ঠা - ৩০৩)।
উত্তর দিয়েছেন :- মুফতি অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান (মা:জি:আ:)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন