দরূদ পাঠে শাফায়াত নসীব হবে
◼ হযরত আবু বকর ইবনে আসেম (ওফাত ২৮৭হি:) (রহঃ) কিতাবুস সালাত আ'লান নাবিয়্যিন এর ৬১ পৃষ্টায় একখানা হাদীস শরীফ সংকলন করেছেন।
◼ হযরত আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণীত তিনি বলেন, হুযুর (ﷺ) এর নূরানী ফরমান হচ্ছে-
من صلى على حين يصبح عشرا وحين يمس عشر اأد ركته شفاعتي يوم القيامة
অর্থাৎ, যে ব্যাক্তি আমার উপর সকালে দশবার বিকালে দশবার দরূদ পাঠ করে সে কিয়ামত দিবসে আমার শাফায়াত পাবে। (বার মাসের আমল ও ফযীলত- ১৭২)
◼ কাজী আবু ইসহাক (ওফাত ২৮২ হি:) (রহঃ) ফযলুস সালাত আ'লান নাবিয়্যি এর ৫০ পৃষ্টায় উলেখ করেন-
من صلى على اوسأل لى الوسيلة حقت عليه شفاعتى يوم القيامة অর্থাৎ যে ব্যাক্তি আমার উপর দরূদ পাঠ করবে অথবা আমাকে উচিলা বানাবে কিয়ামতের দিন তার উপর আমার শাফায়াত আবশ্যক হবে। উক্ত হাদীসে তিনটি দিক পাওয়া যায়।
প্রথমত : দরূদ পাঠের গুরুত্ব ও তার তাগিদ সম্পর্কিত।
দ্বিতীয়ত : উচিলা বানানোর ব্যাপারে। আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের প্রধান মাধ্যমই হচ্ছে হুজুর (ﷺ) এর উচিলা। তার উচিলা ছাড়া সরাসরি আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব নয়।
তৃতীয়ত : রাসূল (ﷺ) এর উচিলা ধরতে হলে চাই তার উপর অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ।
________________
কিতাব :দরূদে মোস্তফা (দরূদ পাঠের উপকারিতা ও ফযিলত)
লেখক : মুহাম্মদ হোসাইন আহমেদ আলকাদেরী
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন