মিসর ও সিরিয়া বাসীর মিলাদ

 

 মিসর ও সিরিয়া বাসীর মিলাদ

فاكثر هم بذالك عناية اهل مصر و الشام ولسلطان مصر فى تلك الليلة من العام اعزم مقام . قال ولقد حضرت فى سنة خمس وثمانين وسبعمائة ءلبلة المولد عند الملك الظاهر برقوق رحمة الله.... بقلعة الجبل العلية فرايت ماهالنى وسرنى وما ساء نى وحررت ما انفق فى تلك الليلة على القراء و الحاضرين من الوعاظ والمنشدين و غيرهم من الاتباع والغلمان والخدام المترددين بنحو عشرة الاف مشقال من الذهب ما بين خلع و مطعوم ومشروب ومشموم ومشموع وغيرها ما يستقيم به الضلوع. وعددت فى ذالك خمسا وعشرين من القراء الصيتين المرجوكونهم مثبتين ولا نزل واحد منهم الا بنحو عشرين خلعة من السلطان ومن الامراء الا عيان قال السخاوى قلت ولم يزل ملوك مصر خدام الحرمين الشريفين ممن وفقهم الله لهدم كثير من المناكير والشين ونظر وا فى امر الرعية كالوالد لولده وشهروا انفسهم بالعدل فاسعفهم الله بجنده ومدده.



মীলাদ মাহফিলে সবচেয়ে অগ্রগামী ছিলেন মিসর ও সিরিয়াবাসি। মিসরের সুলতান প্রতি বছর পবিত্র বেলাদতের রাত্রে মিলাদ মাহফিলের আয়োজনের অগ্রনী ভূমিকা রাখতেন। ইমাম সামছুদ্দীন সাখাবী বর্ণনা করেন- আমি ৭৮৫ হিজরীতে মীলাদের রাতে সুলতান বরকুকের উদোগে আলজবলুল আলীয়া নামক কিল্লায় আয়োজিত মীলাদ মাহফিলে হাজীর হয়ে ছিলাম। ওখানে আমি যা কিছু দেখেছিলাম, তা আমাকে হতবাক করেছে অসীম তৃপ্তি দান করেছে। কোন কিছুই আমার কাছে অসস্থিকর লাগেনি। সে পবিত্র রাতের বাদশাহের ভাষন, উপস্থিত বক্তাগনের বক্তব্য, কারীগনের তেলাওয়াতে কোরআন এবং নাত পাঠকারীগনের না’ত আমি সাথে সাথে লিপিবদ্ধ করে নিয়েছি। এছাড়া উপস্থিত জনতা, শিশু ও নিয়োজিত সেবকদের মধ্যে প্রায় দশ হাজার মিছকাল (একশত ভরী) স্বর্ণ, কাপড় ছোপড়, নানা প্রকারের পানাহার, সুগন্ধি বাতি এবং অনান্য জিনিস পত্র প্রদান করেন যেটা দ্বারা ওরা সাংসারিক জীবনে অনেকটা সচ্ছলতা অর্জন করতেন ঐ সময় আমি এমন পচিশঁ জন “কারী” বাছাই করেছি যাদের সুমিষ্ট কন্ঠের জন্য অন্য সবের উপর তাদের স্থান দিয়েছি। তাদের মধ্যে এমন কেউ ছিল না যিনি বাদশাহ ও বাদশাহের বিশিষ্ট লোকদের কাছ থেকে প্রায় বিশটি বিশেষ পোষাক উপহার না নিয়ে মঞ্চ থেকে অবতরন করেছেন। ইমাম ছাখাবি বলেন, আমার চাক্ষুস বর্ণনা হচ্ছে, মিসরের বাদশাহগন যারা হরমাইন শরীফের খাদিম ছিলেন, তারা এসব লোকদের অন্র্Íগত ছিলেন। যাদেরকে আল্লাহ তাআলা অধিকাংশ দোসত্রুটি প্রতিরোধে তৌফিক দান করে ছিলেন। তারা প্রজাদের সাথে এমন আচরন করতেন যেমন পিতা নিজ সন্তানের সাথে করে থাকে। তারা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা দ্বারা সুনাম অর্জন করে ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে এ কাজে স্বীয় ফেরেস্থা দ্বারা গায়বী সাহায্য করেন। যেমনঃ বাদশা আবু সাঈদ জামাক্ক মাক্ক (رضي الله عنه) র আলোচনা উল্লেখযোগ্য। তিনি মীলাদ মাহফিলে সমবেত হয়ে ওকে সত্যায়ন করেন এবং এর প্রতি গভীর মনোযোগ প্রদান করত: একদল কারীগনের সমবেত করে জৌলুস পূর্ণ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে দুই তৃতীয়াংশের ও বেশী সময় সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও উত্তম দিক গুলো পর্যালোচনায় ব্যয় করতেন।

_______________

আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ)

মূলঃ ইমাম নূরুদ্দীন মুল্লা আলী কারী আল হারুবী (رحمة الله)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন