কবরকে মসজিদে পরিণত করার অর্থ

 

কবরকে মসজিদে পরিণত করার অর্থ


কবরকে মসজিদে পরিণত করার অর্থ কবরের প্রতি সিজদা করা। আর সিজদা দু’প্রকার:

১.        ইবাদতের উদ্দেশ্যে বিশেষ বিশেষ কবরসমূহকে সিজদা করা। যেমন- মূর্তি উপাসকগণ যেরূপ পূজা করে থাকে।

২.        সিজদার উদ্দেশ্য আল্লাহর ইবাদত করা কিন্তু সাথে এ আকিদা পোষণ করা যে, নামায তার ইবাদত আর কবরমুখী হয়ে নামায পড়া আল্লাহর সান্নিধ্য ও সন্তুষ্টি লাভের অন্যতম উপায়। আর তার জন্য রয়েছে আল্লাহর নিকট উত্তম মর্যাদা। কারণ এ ধরনের ইবাদতের মধ্যে নিহিত রয়েছে আল্লাহর আনুগত্য ও নবীদের প্রতি পরম শ্রদ্ধাবোধ।



ইসলামের দৃষ্টিতে উভয় প্রকারের সিজদা অবৈধ ও অনভিপ্রেত। প্রথমোক্ত সিজদা ‘শিরকে জলি’ বা প্রকাশ্য শিরক ও খাঁটি কুফরি কাজ। আর শেষোক্ত কাজটি ‘শিরকে খফি’ বা অপ্রকাশ্য শিরক। তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর লা‘নত ও অভিশাপ। আলিমদের মধ্যে এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই যে, বরকত ও সম্মানের উদ্দেশ্যে নবী ও বুযর্গগণের মাযারসমূহের দিকে নামায পড়া হারাম।



তবে যদি নামাযের জন্য মাযার সংলগ্ন কোন মসজিদ নির্মিত হয় এবং কবরমুখী হয়ে নামায পড়া তার উদ্দেশ্য না থাকে, বরং পূণ্যাত্মা ওলির বরকত এবং তার রুহানি ও নুরানি সাহায্য আমাদের ইবাদাত কবুল ও পরিপূর্ণ হওয়ার বাসনা রাখে, তাহলে শরিয়তের আলোকে এ ধরনের মাযার সংলগ্ন মসজিদ প্রতিষ্ঠার ব্যপারে কোন অসুবিধা নেই।



এ আলোচনা দ্বারা আপত্তিকারীদের উপস্থাপিত হাদিসের ব্যাখ্যা হয়ে গেল এবং সুস্পষ্ট বোঝা গেল যে, রাসুল পাক (ﷺ) ও ফকিহগণ গম্বুজ তৈরী করা থেকে নিষেধ করেন নি বরং কবরকে সিজদাগাহে পরিণত করা থেকে নিষেধ করেছেন। যদি ইমারত নির্মাণকারীর এ ধারণা থাকে যে ইমারতের দ্বারা মৃতব্যক্তির আরাম ও উপকার হয়, তাহলে নাজায়িয, কেননা এটা ভুল ধারণা। কিন্তু যিয়ারতকারীদের আরামের জন্য যদি ইমারত তৈরী করা হয়, তাহলে জায়িয।

________________

কিতাবঃ মাযারে ইমারত ও গম্বুজ নির্মাণের ফায়সালা

গ্রন্থনা ও সংকলন: মুফতি মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন আন-নাজিরী

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন