নজদীর- ৬ দফা

 

নজদীর- ৬ দফা


১।        যারা ওহাবী আক্বীদায় সামীল হবে না তারা এক বাক্যে কাফের। তাদের ধন-সম্পদ, ইজ্জত, সম্মান বিনষ্ট করা হালাল। তাদের পশুর হাটে নিয়ে বেচাকেনা অপরিহার্য।


২।        মূর্তিপূজার বহানায় কা’বা ঘরকে ধ্বংস করা, মুসলমানকে হজ্বব্রত থেকে বিরত রাখা এবং হাজীদের মালামাল লুন্ঠনের জন্য আরব যাযাবর জাতিকে উত্তেজিত করা।



৩।        ওসমানিয়া (তুর্কী) খলিফার আদেশ অমান্য করা এবং যুদ্ধের মাধ্যমে খলিফাকে উৎখাত করা।



৪।        নবী, সাহাবা, আওলীয়া ও বুর্জগানে দ্বীনকে অবহেলা করা।



৫।        মুসলিম দেশসমূহের মধ্যে মাযহাব প্রচারের নামে ফেৎনা ফাসাদ সৃষ্টি করা।



৬।        নবী ওলী সংক্রান্ত আয়াতসমূহ বাদ দিয়ে সংক্ষেপে একটি আধুনিক কোরআন তৈয়ার করা।




চরম বিরোধীতার মুখে নজদী সাহেব ২নং এবং ৬নং দফা স্থগিত করে নিম্নোক্ত দফাসমূহ ৬ দফার সাথে সংযোজন করেঃ



১।        মহানবী (ﷺ)-এর রওজা শরীফ যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর সূচী গ্রহন করা হারাম ও নিষেধ। যেমন ইবনে তাইমিয়া ৬২৬হিঃ রওজা শরীফ যিয়ারত হারাম ফতোয়া দিয়েছিল যার জন্য দামেশকের ধর্মপ্রান মুসলমান তাকে গ্রেফতার করে অবশেষে দামেশকের কিল্লায় কতল করে।



২।        হযরত নবী করিম (ﷺ)-এর জীবদ্দশায় অচল মানুষরূপে চিহ্নিত ছিলেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর থেকে কোন উপকারের আশা করা যায় না। (নাউযুবিল্লাহ)



৩।        হযরত নবী করিম (ﷺ)-এর গায়েবের জ্ঞান বলতে কিছুই ছিল না। গায়েব জানার আক্বীদা পোষন করা র্শিক। (দেওবন্দীরা ঐক্যমত)



৪।        আম্বীয়া, সাহাবা, গাউস, কুতুবদের সঙ্গেঁ মহব্বত রাখা হারাম। (দেওবন্দীরা ঐক্যমত)



৫।        সাহাবা, আওলাদে রাসুল ও নবীদের কবর ভেঙ্গেঁ দেয়া ফরজ।

_________________

কিতাব : হক্ব-বাতিলের পরিচয় ও ঈমান রক্ষা

গ্রন্থনা ও সংকলনে:

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আলম (অবঃ)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন