ইবনে তাইমিয়ার অনুসারী এই আহলে হাদীস/ সালাফী/ লা-মাযহাবী
এরা আসলে গায়ের মুকাল্লিদ (কোন মাযহাবের ইমামের অনুসারী নয়)। শুরুতে এরাও ওহাবী নামেই পরিচিত ছিল। কিন্তু ১৮১৮ সাল থেকে তারা এই উপমাহাদেশে সর্বপ্রথম “আহলে হাদীস” নামে পরিচয় দেওয়া শুরু করে। তারপর ও তাদের বদ আক্বীদার কারনে মানুষ তাদের ঘৃনা করত এবং ওহাবী বলেই সম্বোধন করত।
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে তারা ইংরেজদের সহযোগীতা করায় রাজকীয় আনুকুল্য পেয়ে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় তাদের নেতা “মাও: মুহাম্মদ হোসাইন বাটলাভী” ওহাবী নামের কলঙ্ক মুছার জন্য “ওহাবী” নামের পরিবর্তে “আহলে হাদীস” নামকরন পাঞ্জাবের ইংরেজ শাসকের মাধ্যমে আবেদন পূর্বক রেজিষ্ট্রেশন লাভ করে (১৮৮৬ সালে)।
মূলত সালাফী, আহলে হাদীস, লা-মাযহাবী, নজদী, মওদুদী, জামাত, তাবলীগ, দেওবন্দী, কওমী-ওরা সবাই হলো ওহাবী, তবে বিভিন্ন নামে পরিচিত।
দ্রষ্টব্য:- হুজুর (ﷺ) বলেছেন - “তোমরা আমার সুন্নতের অনুসরন কর।” ইহা বলেননি যে, তোমরা আমার হাদীসের অনুসরন কর।
_________________
কিতাব : হক্ব-বাতিলের পরিচয় ও ঈমান রক্ষা
গ্রন্থনা ও সংকলনে:
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আলম (অবঃ)
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন