তরীকত বা বেলায়তের উৎস

 

তরীকত বা বেলায়তের উৎস


১.        নবুয়তের শেষ মোহর- হুযুর (ﷺ)।

২.        বেলায়েতের শুরু- হযরত আলী (رضي الله عنه)। গাদীরে খুমে হুযুর (ﷺ) এর ঘোষণা-



مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ.



        অর্থ : আমি যার মওলা আলী তার মওলা। ৬০


➥৬০.


ক) তিরমিযী : আস্ সুনান, বাবু মানাক্বিবি আলী ইবনে আবী তালেব, ১২:১৭৫, হাদিস নং : ৩৬৪৬।


খ) ইবনে মাজাহ : আস্ সুনান, বাবু ফদ্বলি আলী ইবনে আবী তালেব, ১:১৩৪, হাদিস নং : ১১৮।


গ) তাবরিযী : মিশকাতুল মাসাবীহ, বাবু মানাক্বিবি কুরাইশ ওয়া যিকরি ফাদ্বায়িলি, পৃ. ৩২৮, হাদিস নং : ৬০৮২।


ঘ) আহমদ ইবনে হাম্বল : আল মুসনাদ, বাবু মুনসানি আলী ইবনে আবী তালেব, ২:১১২, হাদিস নং : ৬০৬।



৩.        বেলায়েতের ও তরিকতের বাহকগণ হলেন আল্লাহর অলী, নায়েবে রাসূল, অলীয়ে কামেলগণ।



৪.        হাদীস- হযরত আবু বকর (رضي الله عنه)র সিনায় হুযুর (ﷺ) সব কিছু ঢেলে দিয়েছিলেন।



৫.        হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে যে,



أَنَا دَارُ الْحِكْمَةِ وَعَلِيٌّ بَابُهَا.



        অর্থ : হযরত আলী (رضي الله عنه) জ্ঞানের দরজা।৬১


➥৬১.


ক) তিরমিযী : আস্ সুনান, বাবু মানাক্বিবি আলী ইবনে আবী তালেব, ১২:১৮৬, হাদিস নং : ৩৬৫৭।


খ) তাবরিযী : মিশকাতুল মাসাবীহ, বাবু মানাক্বিবি কুরাইশ ওয়া যিকরি ফাদ্বায়িলি, পৃ. ৩২৯, হাদিস নং : ৬০৮৭।


গ) তাবারী : তাহযিবুল আসার, বাবু আনা দারুল হিকমাতি..., ৪:১২৩, হাদিস নং : ১৪১৪।



নোট :



        উপরোক্ত হাদীসের আলোকে দেখা যাচ্ছে যে, এই সাহাবীদ্বয় (رضي الله عنه)মার মাধ্যমেই তরিকার বিস্তার লাভ করে। শাখা-প্রশাখা অনেক হলেও মূল তরিকা ৪টি- কাদেরীয়া, চিশতিয়া, নকশ্বন্দীয়া ও মোজাদ্দেদীয়া। এই তরিকার ধারা ইমাম মেহেদী আলাইহিস্ সালাম পর্যন্ত জারি থাকবে।



        হাদীস মতে শেষ জামানায় ৭৩টি ফিরকা হবে যার মধ্যে মাত্র ১টি নাজাতপ্রাপ্ত। কাজেই সঠিক দল, মত, পথ বাঁচাই করা খুবই জরুরী। তাই দেখা যায় তামাম দুনিয়ায় আল্লাহর অলীগণই কোন না কোন তরিকার এবং কোন না কোন মাযহাবের অনুসারী ছিলেন বা আছেন।



        ইমাম গাজ্জালী (رحمة الله) আল্লাহর পরিচয় লাভের জন্য ১২ বৎসর নির্জনতা অবলম্বন করেছিলেন। মাওলা রুমী (رحمة الله) বলেছেন যে তিনি সাম্ছ তিবরিযি (رحمة الله) সোহবত না পেলে ধ্বংস হয়ে যেতেন। ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) ইমাম জাফর সাদেক (رحمة الله) সোহবতের বিষয়ে প্রায় একই উক্তি করেছেন।



        ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন, তিনি নিজে আল্লাহকে জানতেন, কিন্তু হযরত বিশর ইবনে হাফী (رحمة الله) আল্লাহকে চিনতেন। তাই তিনি জগৎ বিখ্যাত আলেম হওয়া সত্ত্বেও বিশর হাফী (رحمة الله) সোহবত এখতিয়ার করেছেন।



        অতএব, এই আলোচনার ভিত্তিতে আমরা তরীকত বা তাসাউফকে আমাদের জন্য অপরিহার্য বলতেই পারি।

_________________

কুরআন-হাদীসের আলোকে তরীকার প্রয়োজনীয়তা

গ্রন্থনা ও সংকলনেঃ

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আলম (অবঃ)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন