কুরআন-হাদীসের জাহেরী ও বাতেনী শিক্ষা

 

কুরআন-হাদীসের জাহেরী ও বাতেনী শিক্ষা


১.        কুরআন-হাদীসের মাধ্যমে জাহেরী শিক্ষা লাভ করা যায়। আর বাতেনী শিক্ষার জন্য আমাদের যেতে হবে সূফী সাধক বা পীরের কাছে। সূফীগণ এই শিক্ষা সিনা-বসিনা হুযুর (ﷺ) হতে লাভ করেন। আল্লাহ্ হুযুর (ﷺ)কে সিরাজুম্মুনীরা করেছেন- বাতেনী নিয়ামত ঐ চেরাগের আলো হতে প্রাপ্ত হয়ে অলীগণ তা বিতরণ করে থাকেন। স্মরণ রাখতে হবে যে, কুরআন-হাদীসের বাহ্যিক শিক্ষা গ্রহণ হলো কুফরীর মূল।



২.        পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন,



هُوَ الَّذِىْ أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ أَيَاتِ مُحْكَمَاتِ هُنَّ أُمَّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ فَاَمَّا الَّذِيْنَ فِىْ قُلُوْبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُوْنَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ اِبَتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَاَبْتِغَاءَ تَأوِيْلَهِ-



        অর্থ : তিনিই তোমার প্রতি এ কিতাব অবতীর্ণ করেছেন যার কতেক আয়াত ‘মুহকাম’ (স্পষ্টভাবে নির্দেশিত), এগুলো কিতাবের মূল; আর অন্যগুলো ‘মুতাশাবিহ’ (অস্পষ্ট), যাদের অন্তরে সত্য-লংঘন প্রবণতা আছে শুধু তারাই ফিত্না এবং ভূল ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে (মানুষকে ধোকা দেয়ার জন্য) মুতাশাবিহাতের অনুসরণ করে। ৫৮


➥৫৮. আল কুরআন : সূরা আলে ইমরান ৩:৭।



৩.        পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন,



وَإِذَا قِيْلَ لَهُمْ تَعَالُوْا إِلىَ مَا أَنْزَلَ اللهُ وَإِلىَ الرَّسُوْلِ رَأَيْتَ الْمُنَافِقِيْنَ يَصُدُّوْنَ عَنْكَ صُدُوْدًا-



        অর্থ : তাদেরকে যখন বলা হয় আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন তার দিকে এবং রাসূলের দিকে এসো, তখন মুনাফিকদেরকে তুমি তোমার নিকট হতে একেবারে মুখ ফিরিয়ে নিতে দেখবে।  ৫৯


➥৫৯. আল কুরআন : সূরা আন-নিসা, ৪:৬১।



নোট :



(১)        সত্য লংঘন প্রবনতা ও কুরআনের অপব্যাখ্যা ও মুনাফেকী হতে বাঁচার জন্য প্রয়োজন কামেল মুরশিদ।



(২)        আল্লাহ্ ও কুরআনের প্রতি বিশ্বাস রেখে ও রাসূল (ﷺ) হতে মুখ ফিরালে মুনাফিক।

_________________

কুরআন-হাদীসের আলোকে তরীকার প্রয়োজনীয়তা

গ্রন্থনা ও সংকলনেঃ

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আলম (অবঃ)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন