খতম

  

খতম


**গেয়ারভী শরীফ

**ফযীলত :-

** যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে প্রতি চাঁদের ১১ তারিখে গেয়ারভী শরীফ পালন করবে,সে অল্প দিনের মধ্যে ধনী ও সচ্ছল হবে এবং তার দারিদ্র দূর হবে। যে ব্যক্তি ইহাকে অস্বীকার বা ঘৃণা করবে,সে দারিদ্রের মধ্যে থাকবে।

** " তানায যালুর রহমাতু ইনদা যিকরিছ

সোয়ালিহীন " র বর্ণনা অনুযায়ী গেয়ারভী

শরীফ যেখানে পালিত হয় - আল্লাহর রহমত

সেখানে অবতীর্ণ হয়।

** যে ব্যক্তি এটা পালন করবে সে খায়র ও

বরকত লাভ করবে এবং পৃথিবীর পূর্ব হতে

পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত এটা কিয়ামত অবধি

জারী থাকবে।

** যে ব্যক্তি সব সময় ইহা পালন করবে, সে

বিপদ হতে রক্ষা পাবে।দু:খ ও চিন্তামুক্ত

হয়ে সুখ ও শান্তিতে জীবন যাপন করবে।

( সংক্ষেপিত)।

অতএব,অজুর সাথে ঝাকজমক পূর্ণ পরিবেশে সম্মান সহকারে গেয়ারভী শরীফ পালন করা।প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।



গেয়ারভী শরীফ আদায়ের নিয়ম

______________

দরুদে তাজ ( দরুদ অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে)

পাঠের পর প্রত্যেক তসবীহ ১১ বার করে

পড়বেন।

১/বিছমিল্লাহির রহমানির রহিম -- ১১ বার।

২/ আছতাগফিরুল্লা হাল্লাযী লা ইলাহা

ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়ুম ওয়া আতূবু

ইলাইহি -- ১১ বার।

৩/ দুরুদ শরীফ - ১১ বার। আল্লাহুম্মা সল্লি

'আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ওয়া 'আলা

আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ওয়া বা রিক

ওয়া সাল্লিম।

৪/ সূরা ফাতিহা :- ১১ বার।

বিছমিল্লাহির রহমানির রহিম। " আল হামদু

লিল্লাহি রব্বিল 'আলামীন।আর রহমানির

রহীম। মা লিকি ইয়াও মিদ্দীন।ইয়্যাকা

না'বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাছ তা'ঈন। ইহদিনাছ

ছিরা তল মুস্তাক্বিম।ছিরা ত্বল্লাযীনা 'আন

আমতা 'আলাইহিম। গইরিল মাগ দ্বুবি

'আলাইহিম ওয়ালাদ দ্বল্লীন। আমীন।

৫/ সূরা ইখলাছ:- ১১ বার।

ক্বুলহু ওল্লাহু আহাদ।আল্লাহুছ সামাদ। লাম

ইয়ালিদ ওলাম ইউলাদ।ওলাম ইয়া কুল্লাহু

কুফুয়ান আহাদ।

৬/ আস সলাতু ওয়াস সালামু আলাইকা

সাইয়্যাদি ইয়া রাসূলাল্লাহ -- ১১ বার।

৭/আস সলাতু ওয়াস সালামু আলাইকা

সাইয়্যাদি ইয়া হাবীবাল্লাহ -- ১১ বার।

৮/ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ -- ১১ বার।

৯/ ইল্লাল্লাহ -- ১১ বার।

১০/ আল্লাহু -- ১১ বার।

১১/ আল্লা হু -- ১১ বার।

১২/ হু ওয়াল্লা - হ -- ১১ বার।

১৩/ হু -- ১১ বার।

১৪/হুওয়াল্লাহুল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা হুওয়া

-- ১১ বার।

১৫/ আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহু -- ১১ বার।

১৬/ আঁল লা ইলাহা ইল্লাহু -- ১১ বার।

১৭/ আন্তাল হাদী আন্তাল হক্ব,লাইসাল

হাদী ইল্লাহু --১১ বার।

১৮/ হাসবী রব্বী জাল্লাল্লাহ -- ১১ বার।

১৯/ মা -ফী ক্বলবী গইরুল্লাহ -- ১১ বার।

২০/ নূর মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহ --১১ বার।

২১/ লা মা'বুদা ইল্লাল্লাহ -- ১১ বার।

২২/ লা মাওজুদা ইল্লাল্লাহ -- ১১ বার।

২৩/ লা মাক্বসুদা ইল্লাল্লাহ -- ১১ বার।

২৪/ হুওয়াল মুছাও উয়িরুল মুহীত্বো আল্লাহ --

১১ বার।

২৫/ ইয়া হাইয়্যু, ইয়া ক্বাইয়্যুম -- ১১ বার।

২৬/ আস সলাতু ওয়াস সালামু আলাইকা

সাইয়্যাদি ইয়া রাসুলাল্লাহ -- ১১ বার।

২৭/ আস সলাতু ওয়াস সালামু আলাইকা

সাইয়্যাদি ইয়া হাবীবাল্লাহ -- ১১ বার।

২৮/ ইয়া শায়খ সুলতান সৈয়্যদ আবদুল কাদির

জীলানী শাইআঁল্লিল্লাহ -- ১১ বার।

২৯/ দরুদ শরীফ ( পূর্ব বর্ণিত নিয়মে)। ১১ বার।

৩০/ ক্বসীদায়ে গাইসিয়া শরীফ।(বারভী

শরীফের পর বর্ণিত হয়েছে)।

৩১/ মিলাদ শরীফ। (গাইসিয়া খতমের পর

উল্লেখ করা হয়েছে)।

৩২/ যিক্বর শরীফ :-

(ক) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ --১০০ বার।

(খ) ইল্লাল্লাহ -- ১০০ বার।

(গ) আল্লাহু -- ১০০ বার।

৩৩/ শাজরা শরীফ পাঠ। ( ক্বসিদায়ে

গাউসিয়ার পর উল্লেখ করা হয়েছে)।

৩৪/ আখেরী মুনাজাত।



বারাভী শরীফ আদায়ের নিয়ম

____________

** বারভী শরীফ আদায় গেয়ারভী

শরীফের মতই; তবে বারভী শরীফে উপরোক্ত

প্রত্যেক তাছবীহ ১২ বার করে পড়তে হবে।

ক্বসিদায়ে গাউসিয়া শরীফ

____________

আস সালাম আয় নূরে চশমে আম্বিয়া

আস সালাম আয় বাদশাহে আউলিয়া।

__________________

** " আল - কাসিদাতুল গাউসিয়া শরীফ" ৩১ টি বয়াত এবং অতিরিক্ত ২ টি বয়াত বা পংতির সমষ্টি। তরীকত জগতের অলী আল্লাহগণ মহব্বতের সাথে এই ক্বাসীদা শরীফ পাঠ ও আমল করে আসছেন।ক্বাদেরিয়া তরীকাপন্থী মুরিদগণ গেয়ারভী শরীফে উক্ত ক্বাসিদা পাঠ করে মিলাদ শরীফের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করেন।

এছাড়াও জ্বীন বা ভূতের আছর হলে এই

ক্বাসিদা শরীফ পাঠ করে রোগীর উপর ফুঁক

দিলে জ্বীন চলে যায় এবং রোগী আরোগ্য

লাভ করে। নিম্নে ক্বাসিদা গাইসিয়া শরীফের উপকারিতা উল্লেখ করা হলো :- 

১/ সর্ব প্রকার বালা - মুসিবত দূর হয়। 

২/ যে কোনসৎ উদ্দেশ্য পূরণ হয়। 

৩/ ব্যবসা বানিজ্যে ও হালাল রুজীতে বরকত হয়।

 ৪/ কঠিন রোগ নিরাময় হয়।

 ৫/ নিয়মিত পাঠে স্মৃতীশক্তি বৃদ্ধি হয়। 

৬/ মনে এশকে এলাহী জাগরিত হয়।

৭/ হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

এর দীদার নসীব হয়।

 ৮/ প্রথম পংতি পাঠের

পূর্বে নিম্নোক্ত ছালাম পেশ করতে হয়।

তারপর প্রতি পংতি পাঠ করার পর পড়তে হয়।



আচ্ছালাম আয় নূরে চশমে আম্বিয়া

আচ্ছালাম আয় বাদশাহে আউলিয়া

------------------------------

ছাক্বানিল হুব্বু কা'ছাতিল উইছালি,

ফাক্বুলতু লিখমরাতি নাহউই তা'আলি।।

ছা'আত ও মাশাত লিনাহউই ফি কু’ উছিন,

ফাহিমতু বিছুকরাতি বাইনাল মাওয়ালি।।

ফাক্বুলতু লিছায়িরিল আক্বত্ববি লুম্মু,

বিহালী ওদখুলু আনতুম রিজালি।।

ওহুম্মু ওশরবু আনতুম জুনুদি,

ফাছাক্বিল ক্বওমি বিল ওয়া ফিল মালালি।।

শারবতুম ফুদ্বলাতি মিম বা'দি ছুকরি,

ওলা নিলতুম 'উলু উই ওত তিচ্বলি।।

মুক্বামুকুমুল 'উলা জাম'আঁও ওলা কিন,

মাক্বামি ফাওক্বাকুম মা জালা 'আলি।।

আনা ফি হাদ্বরতিত তাক্বরিবি ওহদি,

ইউচ্বররিফুনি ও হাছবি যুল জালালি।।

আনাল বাজিয়্যু আশহাবু কুল্লি শাইখিন,

ওমান যা ফির রিজালি আ'ত্ব- মিছালি।।

কাছানি খিল'আতান বিত্বরজি 'আজমি,

ওতাও ওজ্জানি বিতি জানিল কামালি।।

ও আত্ব লা'আনি 'আলা ছিররিন ক্বদিমিন,

ওক্বল্লাদানি ও 'আ ত্বনি ছুওয়া লি।।

ও ওল্লানি 'আলাল আক্বত্ববি জাম'আন,

ফাহুকমি নাফিযুন ফি কুল্লি হালি।।

ওলাও আলক্বাইতু ছিররি ফি জিবালি,

লাচ্বারল কুল্লি গওরন ফি জাওয়ালি।।

ওলাও আল ক্বইতু ছিররি ফি জিবালিন,

লাদুক্কাত ওখতাফাত বাইনার রিমালি।।

ওলাও আল ক্বইতু ছিররি ফাওক্বা নারিন,

লা খমাদাত ওংত্বফাত মিং ছিররি হালি।।

ওলাও আল ক্বইতু ফাওক্বা মাইতিন,

লাক্বামা লিক্বুরতিল মাওলা তা'আলি।।

ওমা মিনহা শুহুরুন আও দুহুরুন,

তামুররু ওতাং ক্বদ্বি ইল্লা আতালি।।

ওতুখ বিরুনী বিমা ইয়া'তি ও ইয়াজরি,

ওতু 'আল্লিমুনি ফা আক্বচ্বির 'আং জিদালি।।

মুরিদিহিম ওত্বিব ওশত্বাহ ও গন্নিন,

ওইফ'আল মা তাশাউ ফাল ইছমু 'আলি।।

মুরিদিহিম লা তাখাফাল্লাহু রব্বি,

'আত্বানি রিফ'আতান নিলতুল মানালি।।

ত্বুবুলি ফিছ ছামায়ি ওল আরদ্বি দুক্ক্বত,

ওশা উছুছ ছা'আদাতি ক্বদ বাদালি।।

বিল্লাদুল্লাহু মুলকি তাহতা হুকমি,

ওওক্বতি ক্ববলা ক্ববলি ক্বদ চ্বিফালি।।

নাযারতু ইলা বিলাদিল্লাহি জাম'আন,

কাখর দালাতিন 'আলা হুকমিত তিচ্বালি।।

ওকুল্লু ওলিয়্যিন 'আলা ক্বদামিঁও ওইন্নী,

'আলা ক্বদামিন নাবি বাদরিল কামালি।।

মুরিদি লা তাখফ ওয়াশিং ফাইন্নি,

'আজুমুং ক্বতিলুন 'ইংদাল ক্বিতালি।।

দারাছতুল 'ইলমা হাত্তা চ্বিরতু ক্বুত্ববান,

ওনিলতুছ ছা'দা মিম মাওলাল মাওয়ালি।।

ফামাং ফি আউলিয়াল্লহি মিছলী,

ওমাং ফিল 'ইলমি ওত্তাচ্বরিফি হালি।।

কাযা ইবনুর রিফা'য়ি কানা মিন্নী,

ফাইয়াছলুকু ফি ত্বরিক্বি ওশ তিগালি।।

রিজালুং ফি হাওয়া জিরহুম চুইয়ামুন,

ওফি যুলামিল লায়ালি কাল্লালা লি।।

নাবিয়্যুন হাশিমি মাক্কি হিজাযী,

হুয়া জাদ্দি বিহি নিলতুল মাওয়ালি।।

আনাল হাছানি ওল মাখদা মাক্বামি,

ও আক্বদামি 'আলা 'উনুক্বির রিজালি।।

ও 'আবদুল ক্বদিরিল মাশহুদি ইছমি,

ওজাদ্দি চ্বহিবুল 'আইনিল কামালি।।

আনাল জীলী মুহিউদ্দীনু ইছমি,

ও আ'লামি 'আলা র'ছিল জিবালী।।

তাক্বব্বালানি ওলা তারদুদ ছুওয়ালি,

আগিছনি ছাইয়াদি আংযুর বিহালী।।

ফাহাল্লিল ইয়া ইলাহি কুল্লা চ্ব'বিন,

বিহাক্ক্বিল মুচত্বফা বাদরিল কামালি।।

আচ্ছালাম আয় নূরে চশমে আম্বিয়া

আচ্ছালাম আয় বাদশাহে আউলিয়া।।



শাজরা শরীফের ফযীলত

_______________


** শাজরা শরীফ পড়ার কয়েকটা উপকার রয়েছে :- 

১/ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত নিজের মিলিত হওয়ার সনদ মুখস্ত বা হিফাযাত করা হয়।

২/ সালেহীনকে স্মরণ করা হয়,যা রহমত

নাযিল হবার কারণ।

৩/ নিজের নি'মাত - প্রাপ্তির মাধ্যম

বুযুর্গদের নামে নামে ঈসালে সাওয়াব করা

হয়।ফলে তা তাঁদের দরবারে কৃপাদৃষ্টি পাবার মাধ্যম হয়ে যায়।

৪/ নিরাপদ থাকাবস্থায় যখন তাঁদের নাম

নিতে থাকবে,তখন তাঁরাও ( সিলসিলার

বুযুর্গগণ) মুসীবতের সময় তাকে রক্ষা করবেন। (আহকাম - ই শরীয়ত,খন্ড - ১ম,পৃ:- ৮০,সামনানী।কুতুব খানা মীরাঠ ও ইরশাদাত -ই আলা হযরত রহমাতুল্লাহি তায়ালা আলাইহি, পৃ:- ৬৩ - ৬৪)।



শাজরা শরীফ

____

ইয়া ইলাহী আপনি জাতে কিবরিয়াকে ওয়াস্তে,

খোলদে দরওয়াজায়ে রহমত গদা কে

ওয়াস্তে।

রহমাতুল্লীল আলামীন খতমে রসূল জানে

জাঁহা,

আহমদ ও হামেদ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুস্তফাকে ওয়াস্তে।

মুশকিলেঁ আ - ছা -ন ফর্মা রঞ্জ ও গম ছব দূর

কর

ছাহেবে জু - দ ও ছখা শের এ খোদাকে

ওয়াস্তে।

নূরে চশমে ফাতিমা ইয়া'নী হোসাইন ইবনে

আলী,

সৈয়্যদুশ শুহাদা শহীদে কারবালায়ে

ওয়াস্তে।

মাল ও দৌলত জাহের ও বাতিন আতা কর

গয়েবছে,

শাহে জয়নুল আবেদীন শম এ হুদাকে ওয়াস্তে।

হযরতে বাক্বের ইমামে আরেফীন ও

কামিলীন,

জা'ফরোস সাদিক্ব ইমাম ও পেশওয়া কে

ওয়াস্তে।

উহ আমল সরযদ হো মুজছে জিছমে হো তেরী

রেজা,

মুছা কাযেম আওর শাহ মুছা রেজাকে

ওয়াস্তে।

হযরতে মা'রুফে করখী ছাহেবে এলম ও আমল,

ছিররিউছ ছকতী সিরাজে আউলিয়াকে

ওয়াস্তে।

রিযক ওয়াফের কর আতা মোহতাজ গায়রুঁকা না কর,

হযরতে জুনায়েদ ছবকে রাহনুমাকে ওয়াস্তে।

খাজায়ে বু'বকর ইয়া'নী জা'ফরুশ শিবলী অলী,

আবদুল ওয়াহেদ আত - তামীমী পারছাকে

ওয়াস্তে।

ফরহাতে দিল বখশ এলমে মা'রিফাতছে শাদ

কর,

বুল ফারাহ তর তুছিয়ে বদরুদ্দুজাকে ওয়াস্তে।

ক্বরশীয়ো হাংকারী আওর মোবারক বূ -

সাঈদ,

হো ছাআদাত জাদেরাহ ইয়াওমে জাযাকে

ওয়াস্তে।

সৈয়্যদ হাছানী হোসাইনী ইয়াযদাহ ইছমে

আযীম,

আবদুল কাদের বাদশাহে দো - ছরাকে

ওয়াস্তে।

বে নেয়াযুঁ মে মুঝেহ কর ছরফরায ও বে

নেয়ায,

শাহে জীলাঁ মুহীউদ্দীন ক্বদমূল উলাকে

ওয়াস্তে।

ক্বিবলায়ে ওশশাক্ব হযরত সৈয়্যদ আবদুর

রাযযাক্ব,

খাজা বূ - ছালেহ নজর গাউছুল ওয়ারাকে

ওয়াস্তে।

হযরতে সৈয়্যদ শিহাবুদ্দীন আহমদ যুলকরম,

শরফুদ্দীন ইয়াহইয়া বুযুর্গ ও পারছাকে

ওয়াস্তে।

খাজা সৈয়্যদ শামছুদ্দীন মুহাম্মদ বা

ওয়াকার,

শাহ আলাউদ্দীন আলীয়ে মাহলেকাকে

ওয়াস্তে।

শাহ বদরুদ্দীন হোছাইন আরেফে আকমল তরীন,

শরফুদ্দীন ইয়াহইয়া ফারুক্বে বা ছফাকে

ওয়াস্তে।

খাজা সৈয়্যদ শরফুদ্দীন ক্বাসিম বক্বা

বিল্লাহ মকাম,

সৈয়্যদ আহমদ ছরগোরোহে আতক্বিয়াকে

ওয়াস্তে।

খাজা সৈয়্যদ হোসাইন নূরে জানে আরেফাঁ,

সৈয়দ আবদুল বাছেতে শাহ আছখিয়াকে

ওয়াস্তে।

সৈয়্যদ আবদুল ক্বাদের সানী অলিয়ে

নামদার,

সৈয়্যদে মাহমুদ ছাহেব বা হায়াকে ওয়াস্তে।

ফানী ফিল্লাহ বাক্বী বিল্লাহ শাহ আবদুল্লাহ অলী,

শাহ ইনায়াতুল্লাহ ছাহেব বা - ওয়াফাকে

ওয়াস্তে।

হাফেয আহমদ বারামূলী শাইখুনা আবদুছ ছবুর,

গুল মুহাম্মদ খাছ মাহবুবে খোদাকে ওয়াস্তে।

ওরফ হায় কাঙ্গাল আওর ছারী খোদায়ী

হাতমে,

এক নেগাহে মেহরে বছ হ্যায় দোছরাকে

ওয়াস্তে।

খাজা মুহাম্মদ রফীক্ব আলিমে ইলমে খোদা,

শাইখ আবদুল্লাহ অলীয়ে বা ছফাকে ওয়াস্তে।

শাহ মুহাম্মদ আনওয়ারে শাইখ আকাবের নূর ও নূর,

আঁ শাহ ইয়া'কুব মুহাম্মদ যুল আতাকে ওয়াস্তে।

ক্বুতবে আলম গাউছে দাওরাঁ আবদুর রহমান

চৌহরভী,

উনকা ছদক্বা হাত উঠাতা হোঁ দো'আকে

ওয়াস্তে।

মাফ করদে আয় খোদায়ে দোজাহাঁ মেরে

গুনাহ,

সৈয়্যদ আহমদ শাহ ক্বুতবুল আউলিয়াকে

ওয়াস্তে।

পাক ত্বীনত পাক বাতেন পাক দিল করদে

মুঝেহ,

হযরতে তৈয়্যব শাহান শাহ ও গদাকে

ওয়াস্তে।

জিসমে ত্বহের, ক্বলবে ত্বহের রুহে ত্বহের

দে মুঝেহ,

সৈয়্যদ শাহ পীর তাহের বা - খোদাকে

ওয়াস্তে।

হো মেরা ঈমান কামেল আওর হো রওশন

জমীর,

সৈয়্যদ শাহ পীর ছাবের বা - জিয়াকে

ওয়াস্তে।

জিছনে ইয়ে শাজরা পড়হা আওর জিছনে ইয়ে

শাজরা ছুনা,

বখশে দে ছব কো তূ জুমলা পেশওয়াকে

ওয়াস্তে।

( বিশেষ দ্রষ্টব্য:- শাজরা শরীফ পাঠকালে

শ্রোতাগণ শুধু আ -মীন বলবেন এবং তাশাহহুদ বৈঠকের মত বসবেন।

জ্ঞাতব্য যে, প্রত্যেকেই শাজরা শরীফের

জায়গায় নিজ নিজ পীরের শাজরা শরীফ

পড়বেন।)



খতমে গাউছিয়া শরীফ

___________

** উপকারীতা :- রোগ - শোক,বিপদ -

আপদ,বালা - মুসিবত থেকে উদ্ধার ও রুযী

রোযগারে বরকত, ব্যবসা - বানিজ্যে উন্নতি

এবং দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবির

জন্যে কাদেরিয়া তরীকার মাশায়েখগণের

আমলকৃত ও খতম অত্যন্ত বরকতময় এবং

পরিক্ষীত।


নিয়ম ও তা

১/ দরুদে তাজ। ( দরুদ অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে) ১ বার।

২/ ইস্তিগফার :- ১১১ বার।

আস্তাগফিরুল্লা - হাল্লাযী লা - ইলাহা

ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া আতূবু

ইলাইহি।

৩/ দুরুদ শরীফ :- ১১১ বার। ( গেয়ারভী শরীফে বর্ণিত হয়েছে।)

৪/ সূরা ফাতিহা :- ১১ বার। ( গেয়ারভী

শরীফে বর্ণিত হয়েছে)

৫/ সূরা আলাম নাশরাহ :- ১১১ বার।

বিছমিল্লাহির রহমানির রহীম। আলাম

নাশরাহ লাকা সদরকা ওয়া ওয়া দ্বোয়া'না

'আনকা উইযরাক।আল্লাযী আনক্বাদ্বা

যোয়াহরাকা ওয়া রফা'না লাকা যিকরাক।

ফা ইন্না মা'আল 'উছরি ইউছরান।ইন্না মা'আল

উইছরি ইউছরান।ফা - ইযা ফারগতা ফানছব।

ওয়া ইলা রব্বিকা ফারগব।

৬/ সূরা ইখলাছ :- ১১১১ বার। (গেয়ারভী

শরীফে বর্ণিত হয়েছে)।

৭/ কালিমা তামজীদ :- ৫৫৫ বার।

সুবহানাল্লহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা

ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর। ওয়া লা

- হাওলা ওয়া লা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল

'আলিয়্যিল আযীম।

৮/ হাসবুনাল্লহু ওয়া নি'মাল ওয়াকীল; নি'মাল

মাওলা ওয়া নি'মান নাসীর :- ৫৫৫ বার।

৯/ সূরা ফাতিহা :- ১১ বার।( পূর্বে বর্ণনা করা

হয়েছে)।

১০/দরুদ শরীফ :- ১১১ বার।( পূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে)

১১/ দোয়া :- ১১ বার।

সাহহিল ইয়া ইলা -হি 'আলাইনা - কুল্লা স'বিম

বিহুরমাতি ছাইয়্যিদিল আবর - র।

১২/ ইলাহি বিহুরমাতী হযরত খাজা শায়খ

সুলতান ছাইয়িদ আবদুল ক্বাদির জিলানী

রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।

১৩/ বিরাহমাতিকা ইয়া আর হামার রহিমীন:-

১১১ বার।

১৪/ আল্লহুম্মা আমীন :- ১১১ বার।

১৫/ ইয়া রব্বাল আলামীন :- ১১১ বার।


নিম্নের তিনটি তসবীহ অতিরিক্ত পাঠ করা

উত্তম।

________________________

১/ আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাযী লা ইলাহা

ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ুমু ওয়া আতুবু

ইলাইহি :- ১১১ বার।

২/ সুবহা নাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী সুবহা

নাল্লাহিল আলিয়্যিল আযী -মী ওয়া

বিহামদিহী আস্তাগফিরুল্লাহ :- ১১১ বার।

৩/ বিসমিল্লা হিল্লা -যী লা ইয়া দূররু মা'আ

ইসমিহী শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিছ

ছামা -ই ওয়াহুওয়াছ ছামী'উল 'আলী-ম :- ১১১ বার।


** শাজরা শরীফ।

** মীলাদ শরীফ।

** আখেরী মুনাজাত।



মিলাদ শরীফ

__________

আ'উযু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রাজীম।

বিছমিল্লাহির রহমানির রহিম।

লাক্বদ জা আকুম রছুলুম মিন আন ফুছিকুম

আযিযুন আলাইহি মা আনিত্তুম হারিছুন

'আলাইকুম বিল মু'মিনিনা রউফুর রহিম।

ইন্নাল্লাহা ওয়া মালায়িকাতাহু ইউছল্লুনা

আলান নাবিয়্যি।

ইয়া আইয়্যু হাল্লাযিনা আমানু ছল্লু 'আলাইহি

ওয়া ছাল্লিমু তাছলিমা।

" আল্লহুম্মা ছল্লি 'আলা ছাইয়িদিনা

মাওলানা মুহাম্মাদ,

ওয়া 'আলা আলি ছাইয়িদিনা মাওলানা

মুহাম্মাদ।।"

** নূর নবীজি নূর হইয়া -

 আসলেন মানব ছুরতে,

তাই তো তাঁহার হয় না ছায়া - 

চাঁদ সুরুযের আলোতে।।

** আরশের নীচে সিজদায় পড়ে - 

কাঁদবেন নবীজি জারেজার,

মাফ করে দাও মাবুদ মাওলা - 

উম্মত আমার গুনাহগার।।

** ওগো আল্লাহ দয়া কর - 

নছীব কর মদীনা,

নবীজীকে না দেখাইয়া - 

কবরেতে নিওনা।।

** যার লাগিয়া কান্দরে মন - 

সে তো সোনার মদীনা,

স্বপ্নযোগে দেখতে পাবো - 

হইলে তাহার দেওয়ানা।।

** লক্ষ কোটি সালাম জানাই - 

জিন্দা নবীজির কদমে,

দয়া করে পার করিবেন - 

রোজ হাশরের ময়দানে।।


ছালাতুন ইয়া রসূলুল্লাহ আলাইকুম

ছালামুন ইয়া হাবীবাল্লাহ আলাইকুম


** দো - আলম কেঁউ না হো ক্বোরবা উছি পর,

খোদা ভী হ্যায় রেজা জোয়ে মুহাম্মাদ

(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।

** আবু বকর ও ওমর ওসমান ও হায়দার,

বেলাশক চার হ্যাঁয় ইয়ারে মুহাম্মাদ।

(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।)

______________

মারহাবা ইয়া মারহাবা ইয়া মারহাবা

রহমাতাল লিল আলামীনা মারহাবা।

** জ্বলওয়াগরহো ইয়া ইমামাল মুরছালিন,

জ্বলওয়াগরহো রহমাতাল লিল আলামীন।।

** জ্বলওয়াগরহো জ্বলওয়ায়ে নূরে খোদা,

জ্বলওয়াগরহো আয় হাবীবে কিবরিয়া।।

__________________

আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহু - লা ইলাহা ইল্লাহু

( ২ বার )

** কাউছারের মালিক আপনি - 

নবীদের সর্দার,

রোজ হাশরে পিলাইবেন -

 হাউযে কাওছার - নবীজী।।

** আপনাকে দেখিলে একবার - 

দোযখ হয় হারাম,

স্বপ্ননেতে দিবেন দেখা -

 হাবীব দোজাহান - নবীজী।।

** ইয়াছিন ত্বহা কামলিওলা - 

কোরআন কি তাফসীর,

হাজের ও নাজের শাহেদ ও ক্বসেম - 

আয়া ছিরাজুম মুনির - নবীজী।।

** আউয়াল আখের ছবকুচ জানে - 

দেখে বাঈদ ও কারিব,

গায়েব কি খবর দেনে ওয়ালা - 

আল্লাহ কা হাবীব - নবীজী।।



কিয়াম

______


ফেরেশতূঁ কি সালামী দেনে ওয়ালী 

ফওজ গা তী থি

হযরতে আমেনা ছুনতি থি

 তো ইয়ে আওয়াজ আতি থি।।



ইয়া নবী সালামু আলাইকা -

 ইয়া রসূল সালাম আলাইকা

 ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা -

সালাওয়াতুল্লাহ আলাইকা।।


** হাশরে নবী দোজাহান - 

কান্দিয়া হবেন পেরেশান,

বলবেন হে পরওয়ার দিগার - 

মাফ করো উম্মত গুনাহগার।।

** সাধ্য নাই যেতে মদীনা - 

দিন ও রাত এহি ভাবনা,

দেখা দেন নবীজি স্বপনে - 

এই আরয আপনার চরণে।।

** বখতোকা ছমকো সেতারা -

 হাজেরী কা হো ইশারা,

দেখ কর রওজা পিয়ারা - 

পের কহে উম্মত তুমহারা।।

** ওয়াসেতা আলে আ'বা কা - 

সদক্বয়ে নূরে ফাতিমা কা,

আওর শহীদে কারবালা কা -

 গম নাহো রোযে জাযা কা।।



লাখো সালাম

_________

মুস্তাফা জানে রহমত পে লাখোঁ সালাম

শময়ে বজমে, হেদায়ত পে লাখোঁ সালাম।।

** মেহরে চরখে নবুয়্যত পে রওশন দুরুদ,

গুলে বাগে রিসালাত পে লাখোঁ সালাম।।

মোস্তফা...

** ছাইয়িদা ফাতেমা যওজায়ে মুর্তযা,

ইয়ানে খাতুনে জান্নাত পে লাখোঁ সালাম।।

মোস্তফা...

** শহীদে কারবালা হুছাইনে মুজতবা,

বে - কছে দশতে গোরবত পে লাখোঁ সালাম।।

মোস্তফা...

** গাউছে আযম ইমামুত তুক্বা ওয়ান নুক্বা,

জলওয়ায়ে শানে কুদরত পে লাখোঁ সালাম।।

মোস্তফা...

** সানজারী আজমেরী খাজা গরীব নেওয়ায,

উছ মঈনুদ্দীন ও মিল্লাত পে লাখোঁ সাল্লাম।।

মোস্তফা...

** নকশায়ে নকশবন্দ খাজা বাহাউদ্দীন,

আওর মুজাদ্দেদ আলফেসানী পে লাখোঁ

সালাম।। মোস্তফা...

** চৌহরভী হযরতে খাজা আবদুর রহমান,

উছ নগীণে বেলায়ত পে লাখোঁ সালাম।।

মোস্তফা...

** মুর্শেদী হযরতে ক্বিবলা সৈয়্যদ আহমদ শাহ,

পেশওয়ায়ে আহলে সুন্নাত পে লাখোঁ

সালাম।। মোস্তফা...

** মুর্শিদী হযরতে ক্বিবলা তৈয়্যব শাহ,

হাদীয়ে দ্বীন ও মিল্লাত পে লাখোঁ

সালাম।। মোস্তফা...

** মুর্শিদী হযরতে ক্বিবলা তাহের শাহ,

যীনতে ক্বাদেরিয়ত পে লাখোঁ সালাম।।

মোস্তফা...

** মুর্শিদী হযরতে ক্বিবলা ছাবের শাহ,

রওনকে আহলে সুন্নাত পে লাখোঁ সালাম।।

মোস্তফা...

** মেরে উছতাযো মা -বাপো ভাই - বহিন,

আহলে ওলদো আশীরত পে লাখোঁ সালাম।।

মোস্তফা...

** সৈয়্যদী হযরতে ক্বিবলা আহমদ রেজা,

উছ মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত পে লাখোঁ

সালাম।। মোস্তফা...

** ডাল দি ক্বলব মে আজমতে মুস্তফা,

হেকমতে আলা হযরত পে লাখোঁ সালাম।।

মোস্তফা...

ইয়া নবী সালামু আলাইকা - ইয়া রসূল সালামু

আলাইকা

ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা -

সালাওয়াতুল্লাহ আলাইকা।

----------------

আচ্ছালাম আয় 'মিম' ও 'হা' ও 'মিম' ও দাল

আচ্ছালাম আয় বে - নযীর ওয়া বে মে ছাল;

আচ্ছালাম আয় ছবজে গুম্বদ কে মকীন

আচ্ছালাম আয় রহমাতাল লিল আলামীন।।

________________

আয় খোদাকে লাড়লে পেয়ারে রসূল,

ইয়ে ছালামী ইয়ে দুরুদ শরীফ আজে যানা হো

ক্ববুল।

মদীনে কে চাঁন্দ হাজারো সালাম

মদীনে কে চাঁন্দ লাখো সালাম,

মদীনে কে চাঁন্দ কোরোড়োঁ সালাম

মদীনে কে চাঁন্দ বে -হদ সালাম।।

-------------

বালাগাল উলা বিকামালিহী

কাশাফাদ দুজা বিজামালিহী

হাসুনাত জামী'উ খিছালিহী

ছল্লু আলাইহি ওয়া আলিহী।।

----------------

আখেরী মুনাজাত

( সম্পূর্ণ মিলাদ শরীফ, সিলসিলায়ে

কাদেরিয়া ছিরিকোটিয়া আলিয়া,সিলসিলা ক্বাদেরিয়া ছিরিকোটিয়া বাগদাদীয়া,

সিলসিলায়ে আলা হযরত - শাজরাহ শরীফ ও গেয়ারভী শরীফের ইতিহাস, কিতাবগুলো থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে)।



খতমে ক্বাদেরিয়া

__________

** রোগ মুক্তি,বালা - মুসিবত বিদূরন,

মুশকিল আসান এবং অন্যান্য সমগ্র

সমস্যা সমাধানের জন্য আল্লাহর ফযলে

( পরিক্ষীত)।

১/ দুরুদে গাউছিয়া :- ১১১ বার।( দুরুদ অধ্যায়ে বর্ণিত নিয়মে)

২/ সুবহানাল্লহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার = ১১ বার।

৩/ সূরা ইনশিরাহ - আলাম নাশরাহ লাকা - ১১ বার।( গাউছিয়া খতমে বর্ণিত)

৪/ সূরা ইখলাছ = ১১ বার।( গাউছিয়া খতমে

বর্ণিত)

৫/ ইয়া বাক্বী আনতাল বাক্বী = ১১ বার।

৬/ ইয়া শাফীর,আনতাল শাফীর = ১১ বার।

৭/ ইয়া কাফী,আনতাল কাফী = ১১ বার।

৮/ ইয়া রসূলাল্লাহি উনযুর হা লানা = ১১ বার।

৯/ ইয়া হাবীবাল্লাহি ইসমা ক্বলানা = ১১ বার।

১০/ ইন্নানা ফি বাহরে হামমীন মুগরাক = ১১

বার।

১১/খুজ আইদিনা সাহহিল লানা আশকালানা

=১১ বার।

১২/ ইয়া সিদ্দক্,ইয়া উমার,ইয়া ওসমান,ইয়া

হায়দার দাফয়ে শারফুন খায়ের আওয়ার ইয়া

শাব্বির ইয়া শাব্বার = ১১ বার।

১৩/ ইয়া শায়খ আবদুল ক্বাদির জিলানী

শাইয়ান লিল্লাহ =১১ বার।

১৪/ তোফায়েলে হযরত দস্তগীর দুশমন হয়ে

যের =১১ বার।

১৫/ সূরা ইয়াছিন = ১বার। ( ২২ পারা - আল

কুরআন)

১৬/ দুরুদে গাউছিয়া =১ বার।



খতমে খাজেগান

_________

** মারাত্মক কঠিন রোগ,বালা - মুসিবত

দূর ও সৎ উদ্দেশ্যে হাসিলের জন্য এই খতমটি

পরিক্ষীত। নিজে একা বা কিছু লোক মিলে

একসাথে খতমে খাজেগান পাঠ করা যায়।

১/ ইস্তেগফার শরীফ = ১১ বার ( গেয়ারভী

শরীফে বর্ণিত)

২/ সূরা ফাতিহা = ১০০ বার। ( গেয়ারভী

শরীফে বর্ণিত)

৩/ দুরুদ শরীফ = ১০০ বার।

৪/ সূরা ইখলাছ = ১০০০ বার।( খতমে গাউসিয়া শরীফে)

৫/সূরা ফাতিহা = ৭০ বার।।

৬/ দুরুদ শরীফ = ১০০ বার।

৭/ ফাসাহহিল ইয়া ইলাহি কুল্লা ছা'বিম

বিহুর মাতী সায়্যিদিল আবরারি সাহহিল =

১০০ বার।

৮/ সাহহিল বিফাদ্বলিকা ইয়া আযীযু = ১০০

বার।

৯/ ইয়া ক্বদ্বিয়াল হাজাত = ১০০ বার।

১০/ ইয়া কাফিয়াল মুহিম্মাত = ১০০ বার।

১১/ ইয়া দাফিয়াল বালিয়াত = ১০০ বার।

১২/ ইয়া রফিয়াদ্দারাজাত = ১০০ বার।

১৩/ ইয়া হাল্লালাল মুশকিলাত = ১০০ বার।

১৪/ ইয়া মুসাব্বিবাল আসবাব = ১০০ বার।

১৫/ ইয়া শাফিয়াল আমরজ = ১০০ বার।

১৬/ ইয়া মুজিবাদ্দা'ওয়াত = ১০০ বার

১৭/ ইয়া মুফাত্তিহাল আবওয়াব = ১০০ বার।

১৮/ রব্বি আন্নি মাগলুবুন ফানতাছির = ১০০

বার।

১৯/ ইলাহি বিহুরমাতি গাউছে আগিছনী

ওয়াম দুদনী = ১০০ বার।

২০/ ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি

রজিউন = ১০০ বার।

২১/ লা - ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা

ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন = ১০০ বার।

২২/ ফাসতাজাবনা লাহু ওয়া নাজ্জাইনাহু

মিনাল গম্মি ওয়া কাযালিকা নুনজিল

মু'মিনীন = ১০০ বার।

২৩/ ইয়া আরহামার রহিমীন = ১০০ বার।

খতম শেষে দুরুদ শরীফ পড়ে আল্লাহর দরবারে

খালেছ নিয়তে দো'আ করতে হবে।



খতমে ইউনুছ

_________

** " লা ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহানাকা

ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বলিমীন।"

এই আয়াতটি নির্দিষ্ট সংখ্যায় তিলাওয়াত

করাকে " খতমে ইউনুছ " বলা হয়। ইহা সোয়া

লক্ষ বার পড়িতে হয়।অনেক লোক একত্র হইয়া এই খতম পড়িতে হয়।



খতমে তাসমিয়া

__________

** " বিছমিল্লাহির রহমানির রহিম।" এই

খতমকে " খতমে তাসমিয়া " বলে।

ফযীলত :-

 ১/ এই খতমের ফযীলত ও বরকত

অফুরন্ত। যে কোন রকমের গুরুতর বাসনা

আল্লাহ তায়ালা এই খতমের উসিলায় পূর্ণ

করিয়া দেন।

২/ এই খতম পড়িয়া যে কোন

কঠিন কাজে হাত দিলে আল্লাহ তায়ালা

তাহা আসান করিয়া দিবেন।

পড়িবার নিয়ম :- পাঁচ জন লোকের প্রত্যেকে

পাঁচ হাজার করিয়া মোট পঁচিশ হাজার বার।

এই খতম এক বৈঠকে পাঠ করিতে হয়।



খতমে জালাল

________

** " আল্লাহু আকবর" এর খতমকে " খতমে জালাল " বলা হয়।

ফযীলত :-

 ১/ দৈনিক দশ হাজার বার করে পর পর দশ দিন এই কালেমা পাঠ করলে সকলের উপর তার অতুলনীয় প্রভাব - প্রতিপত্তি সৃষ্টি হয়। 

২/ এই কালাম সর্বদা বিনা হিসাবে পাঠ

করতে থাকলে কোন লোক তার সাথে শত্রুতা

করে জয়লাভ করতে পারে না।

৩/ সোয়া লাখ বার পাঠ করে আল্লাহ পাকের নিকট যে কোন বিষয় প্রার্থনা করা যায়,আল্লাহ তা কবুল করেন।

পড়ার নিয়ম :- এই খতম সাধারনত একা একা

পড়াই উত্তম।তবে একত্রে তিন জনে,পাঁচ জনে

কিংবা তার অধিক বিজোড় সংখ্যার লোকও

পড়তে পারে। একত্রে সোয়া লাখ কিংবা

দৈনিক দশ হাজার বারও পড়া যায়।



খতমে তাহলীল

_________

** " লা - ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর

রসূলুল্লাহ।"

এই খতমকে " খতমে তাহলীল " বলে।এই খতম দ্বারা কঠিন কঠিন বিপদ হতে মুক্তি লাভ হয় বলে এটা বিপদমুক্তির খতম রুপে পরিচিত।

এই খতমের উছিলায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও

বিপদাপদ এবং নেক আশা পূর্ণ হয়।

পড়ার নিয়ম :- কয়েকজন লোক একত্র হয়ে

সোয়া লাখ বার পাঠ করতে হবে। এক দিনে

না পারলে দুই কিংবা পর পর তিন দিনেও

শেষ করা চলে।তবে প্রত্যেক ১০০ বার পড়ার

পর সাথে " সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া

সাল্লাম " এই দুরুদ শরীফ পড়ে নিবেন।

__________________

ফয়যানে শরিয়ত ও মারফত (আমলের ভান্ডার)

লেখক : মুহাম্মাদ আবদুল কাদির মাহী

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন