হুজুর (ﷺ) ও সাহাবায়ে কেরামের তাবলীগের সাথে প্রচলিত তাবলীগের পার্থ্যকের কিছু নমুনা

 

হুজুর (ﷺ) ও সাহাবায়ে কেরামের তাবলীগের সাথে প্রচলিত তাবলীগের পার্থ্যকের কিছু নমুনা


১।        হুজুর (ﷺ) ও সাহাবায়ে কেরাম (رضي الله عنه)-দের তাবলীগে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াত ছিল শুধু কাফের মোশরেকদের নিকট। আর প্রচলিত তাবলীগে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াত দেওয়া হয় মসজিদের মুসল্লিদের নিকট।



২।        প্রচলিত তাবলীগ ছয় উছূল ভিত্তিক; কিন্তুু হুজুর (ﷺ) ও সাহাবায়ে কেরামের তাবলীগে ছিল পাঁচ উছূল বা রোকন।



৩।        প্রচলিত তাবলীগে গাশ্ত ও বিভিন্ন প্রকার চিল্ল­ার ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু হুজুর (ﷺ) ও সাহাবায়ে কেরামের তাবলীগে এ ধরনের কোন ব্যবস্থা ছিল না।



৪।        প্রচলিত তাবলীগ জামাতের কর্মীরা তাদের থাকা খাওয়ার জন্য মসজিদকে ব্যবহার করছেন, অথচ হুজুর (ﷺ) ও সাহাবায়ে কেরামের তাবলীগে এ ধরনের কোন ব্যবস্থা ছিলনা।



৫।        প্রচলিত তাবলীগে যে ধরনের বড় বড় সওয়াবের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, বিশেষ করে টঙ্গীর ইজতেমায় গেলে হজ্জের সওয়াব পাওয়া যায়। অথচ হুজুর (ﷺ) ও সাহাবায়ে কেরামের তাবলীগে এ ধরনের সওয়াবের কোন ঘোষনা ছিল না।



৬।        হুজুর (ﷺ) ও সাহাবায়ে কেরামের তাবলীগের মধ্যে দ্বীনের দাওয়াতের দায়িত্ব পালন করতেন শুধুমাত্র দ্বীন সম্পর্কে বিজ্ঞজন, অথচ প্রচলিত তাবলীগে সাধারন শিক্ষিত ও মুর্খ ব্যক্তিবর্গও দ্বীনের দাওয়াতের দায়িত্ব পালন করে থাকেন ইত্যাদি।



৭।        হুজুর (ﷺ) এবং সাহাবায়ে কেরামদের তাবলীগের মূল বিষয় ছিল ইসলাম। ইলিয়াসী তাবলীগের আসল উদ্দেশ্য হলো মৌঃ আশরাফ আলী থানভীর তালীম (দর্শন) প্রচার করা। (মালফুযাতে ইলিয়াস; মালফুজাত নং- ৫৬ ও ৫৭)



৮।        হুজুর (ﷺ) এবং সাহাবায়ে কেরামগনের আমলে এমন কি বিগত সাড়ে চৌদ্দশত বৎসরে মহিলাদের তাবলীগ বা ইজতেমার কোন নজির আছে বলে জানা নাই। অথচ ইদানিং তাবলীগ জামাত মহিলাদের তাবলীগ ও ইজতেমার প্রচলন শুরু করেছে।



অনেকে প্রশ্ন করেন, তাবলীগ জামাতের অনুসারীগণ তো আমাদেরকে নামাজ, রোজা, অযু ও গোসল ইত্যাদি বিষয় শিক্ষা দেন। তাদের বিরোধিতা করা হয় কেন? এর জবাবে বলতে চাই; নামাজ, রোজা, অযু, গোসল ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ায় কোন দোষ নাই এবং বিরোধিতাও নাই। তবে তাবলীগ জামাতের অনুসারীদের এমন কিছু আক্বীদা ও আমল রয়েছে যেগুলো সঠিক ইসলামের পরিপন্থি। তারা সঠিক শিক্ষার অন্তরালে ভ্রান্ত আক্বীদার প্রচার ও প্রসার করেন। এ কারনেই আপত্তি ও বিরোধীতা। উদাহরন স্বরূপ- দুধ-ভাত বিড়ালের জন্য ক্ষতিকর নয় যতক্ষন না উহাতে বিষ মিশানো হয়। তদ্রূপ তাবলীগের অনুসারীদের ভাল কাজে আপত্তি নাই। আপত্তি হলো তাদের ভালো কাজের সাথে ভ্রান্ত আক্বীদার সংমিশ্রন যা মুসলিম উম্মাহর জন্য ঈমান বিনষ্টকারী বিষ টোপের কাজ করছে। (ভ্রান্ত আক্বীদাগুলো উপরে বর্নিত হয়েছে)



তাবলীগ জামাতের সর্বশেষ সর্বনাশা সংযোজন হলো মহিলাদের তাবলীগ ও মহিলাদের ইজতেমা। যেখানে উম্মাহর ইজমা হলো, মহিলাদের জন্য সর্বোত্তম ইবাদতের স্থান ঘরের নিভৃত কোন, সেখানে মহিলাদের তাবলীগ ও ইজতেমা কতটুকু যুক্তিসংগত তা সম্মানিত পাঠকগণের বিবেচনার জন্যই ছেড়ে দিলাম।

_________________

কিতাব : হক্ব-বাতিলের পরিচয় ও ঈমান রক্ষা

গ্রন্থনা ও সংকলনে:

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আলম (অবঃ)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন