সালাম ও মুসাফাহার ফযীলত

 

সালাম ও মুসাফাহার ফযীলত


** হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করল,কোন ইসলাম (তার কোন কাজ) উত্তম। তিনি বললেন: (অভূক্তকে) খানা খাওয়ান এবং যাকে চিন এবং যাকে চিন না সবাইকে সালাম করা। (বুখারী ও মুসলীম শরীফ,মিশকাত শরীফ,হাদীস নং- ৪৪২৪,

পৃ:-৬৫৮)।


** হযরত আনাছ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে

বর্ণিত,রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া

সাল্লাম ( আমাকে লক্ষ্য করে) বললেন: হে

বৎস! যখন তুমি ( ঘরে) পরিজনদের কাছে

প্রবেশ কর, তখন তুমি সালাম করিও। এতে

তোমার ও তোমার গৃহবাসীদের জন্য কল্যান

হবে।( তিরমিযী শরীফ,মিশকাত শরীফ,হাদীস

নং- ৪৪৪৭,পৃ:- ৬৬০)।


** হযরত বারা ইবনে আ'যিব রদ্বিয়াল্লাহু

আনহু বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি

ওয়া সাল্লাম বলেছেন," যখন দুজন মুসলমানের পরস্পর সাক্ষাত হয় এবং তারা মুসাফাহা করে - পৃথক হওয়ার পূর্বেই তাদের উভয়ের গুনাহসমূহ মাফ হয়ে যায়।(আহমদ,তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ।আবু দাউদের রেওয়ায়েতে আছে,যখন দুজন মুসলমান মিলিত হয়ে পরস্পর মুসাফাহ এবং আল্লাহর প্রশংসা করে এবং তারা আল্লাহর কাছে মাফ চায়, তখন তাদের উভয়কে মাফ করে দেয়া হয়।( মিশকাত শরীফ,হাদীস নং- ৪৪৭৪,পৃ:- ৬৬৪)।


** হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাহু

আনহু বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি

ওয়া সাল্লাম বলেছেন," যে ব্যক্তি দ্বিপ্রহরের পূর্বে চার রাকা'আত নামায আদায় করে, সে যেন তা ' ক্বদরের রাতে' আদায় করল।আর দুজন মুসলমান যখন পরস্পর মুসাফাহা করে,তখন তাদের সমস্ত গুনাহ ঝরে যায়,ফলে কোন গুনাহ অবশিষ্ট থাকে না। (বায়হাকী শুআবুল ঈমান,মিশকাত শরীফ,হাদীস নং- ৪৪৮৯,পৃ:- ৬৬৫)।

__________________

ফয়যানে শরিয়ত ও মারফত (আমলের ভান্ডার)

লেখক : মুহাম্মাদ আবদুল কাদির মাহী

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন