ঋণ মুক্ত হওয়ার কোন অযীফা


ঋণ মুক্ত হওয়ার অযীফা 

প্রশ্ন: ঋণ মুক্ত হওয়ার কোন অযীফা বলে দিন। 

উত্তর: ঋণ মুক্ত হওয়ার তিনটি অযীফা উপস্থাপন করছি:

آلهم إني أعوذبك من الهم والحزن ، وأعوذ بك من العجز والكسل ، 1

 

وأعوذبك من الجبن والبخل ، وأعوذبك من غلبة الدين وقهر الرجال، 2

এই অযীফাটি যে ব্যক্তি একবার পাঠ করবে ইনশাআল্লাহ কষ্ট দুঃখথেকে নিরাপদ থাকবে এবং যে ব্যক্তি ঋণগ্রস্ত হয়, তবে ঋণ মুক্তির জন্য এই অযীফাটি উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সকাল ও সন্ধ্যা এগারো বার করে (পূর্বে ও পরে একবার করে দরূদ শরীফ) পাঠ করাতে ِইনশাআল্লাহ  অদৃশ্য থেকে তার ঋণ আদায়ের উপায় হয়ে যাবে।(আমল শুরু করার পূর্বে হুযুর গউসে আযম (رحمة الله) এর ইসালে সাওয়াবের জন্য কমপক্ষে ১১ টাকার নিয়ায এবং কাজ হয়ে গেলে ইমাম আহমদ রযা খান (رحمة الله) এর ইসালে সাওয়াবের জন্য কমপক্ষে পচিঁশ টাকার নিয়ায বন্টন করুন। উল্লেখিত টাকার দ্বীনি কিতাবও বন্টন করা যেতে পারে। (ফয়যানে মাদানী মুযাকারা বিভাগ) 


(২) একজন মুকাতিব(মুকাতিব ঐ গোলামকে বলে, যে তার মুনিব থেকে সম্পদ আদায়ের বিনিময়ে মুক্তির চুক্তি করেছে। (আল মুখতাচারুল কুদুরী, কিতাবুল মুকাতিব, ৩০৮ পৃষ্ঠা) আমিরুল মুমিনিন হযরত সায়্যিদুনা মওলায়ে কায়েনাত, মওলা মুশকিল কোশা, আলিউল মুরতাদা শেরে খোদা (رضي الله عنه) এর দরবারে উপস্থিত হয়ে আরয করলো: আমি মুক্তিপণ আদায়ে অপারগ, আমাকে সাহায্য করুন। তিনি (رضي الله عنه) বললেন: আমি কি তোমাকে কয়েকটি বাক্য শিখাবো না, যা রাসূলুল্লাহ (صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ) আমাকে শিখিয়েছেন, যদি তোমার উপর জাবালে সীর (একটি পাহাড়ের নাম) সমপরিমাণ ঋণ হয় তবে আল্লাহ তায়ালা তোমার পক্ষ থেকে আদায় করবেন, তুমি এভাবে বলো: 

اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏


(৩) আপনারাও উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক নামাযের পর এগারো বার করে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা ১০০ বার (পূর্বে ও পরে একবার করে দরূদ শরীফ সহকারে) এই বাক্য পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ َঋণ শোধ হয়ে যাবে। (তিরমিযী, আহাদীসে শশী, অধ্যায় (তা:১২১), ৫/৩২৯, হাদীস নং-৩৫৭৪) হযরত সায়্যিদুনা মুয়াজ বিন জাবাল (رضي الله عنه) বলেন: আমি একবার জুমার নামাযে অংশগ্রহন করতে পারিনি, হুযুর পুরনূর (صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ) এর কারণ জানতে চাইলেন, তখন আমি আরয করলাম যে, আমার ইউহান্না বিন বারইয়া ইহুদীর কিছু ঋণ পরিশোধ করা বাকী ছিলো, সে আমার দরজায় তার লাগিয়ে বসে ছিলো যে, আমি বের হলেই সে আমাকে আটক করবে এবং আপনার দরবারে উপস্থিত হওয়াতে বাধাঁ প্রদান করবে। হুযুর পুরনূর (صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ) ইরশাদ করলেন: “হে মু’য়াজ (رضي الله عنه)

! তুমি পছন্দ করো যে, আল্লাহ তায়ালা তোমার ঋণ শোধ করে দিক?” আমি আরয করলাম: জি হ্যাঁ! তখন হুযুর পুরনূর (صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ) ইরশাদ করলেন: প্রতিদিন এটি পাঠ করতে থাকো:

قُلِ اللّٰہُمَّ مٰلِکَ الۡمُلۡکِ تُؤۡتِی الۡمُلۡکَ مَنۡ تَشَآءُ وَ تَنۡزِعُ الۡمُلۡکَ مِمَّنۡ تَشَآءُ ۫ وَ تُعِزُّ مَنۡ تَشَآءُ وَ تُذِلُّ مَنۡ تَشَآءُ ؕ بِیَدِکَ الۡخَیۡرُ ؕ اِنَّکَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۲۶﴾ 

تُوۡلِجُ الَّیۡلَ فِی النَّہَارِ وَ تُوۡلِجُ النَّہَارَ فِی الَّیۡلِ ۫ وَ تُخۡرِجُ الۡحَیَّ مِنَ الۡمَیِّتِ وَ تُخۡرِجُ الۡمَیِّتَ مِنَ الۡحَیِّ ۫ وَ تَرۡزُقُ مَنۡ تَشَآءُ بِغَیۡرِ  حِسَابٍ ﴿۲۷﴾

رحمن الدنيا والآخرة ورحيمهما تعطي منهما من تشاء وتمنع منهما من تشاء اقض عني ديني.

(অর্থাৎ এরূপ আরয করো, ’হে আল্লাহ, বিশ্ব-সম্রাজ্যের মালিক! তুমি যাকে চাও সম্রাজ্য দান করো এবং যার থেকে চাও সাম্রাজ্য ছিনিয়ে নাও আর যাকে চাও সম্মান দান করো এবং যাকে চাও লাঞ্চনা দাও। সমস্ত কল্যাণ তোমারই হাতে। নিঃসন্দেহে তুমি সব কিছুই করতে পারো। তুমি দিনের অংশ রাতের মধ্যে প্রবিষ্ট করো এবং রাতের অংশ দিনের মধ্যে প্রবিষ্ট করো আর মৃত থেকে জীবিত বের করো এবং জীবিত থেকে মৃত বের করো আর যাকে চাও অগণিত দান করো। হে দুনিয়া ও আখিরাতে খুবই দয়া ও রহমত দানকারী! দুনিয়া ও আখিরাতে তুমি যাকে চাও তা থেকে দান করো এবং যাকে চাও তা থেকে আটকে দাও, আমার থেকে আমার ঋণ মুক্ত করে দাও।) যদি তোমার উপর জমিনের সমপরিমাণ স্বর্ণও ঋণ হয় তবে আল্লাহ তায়ালা আদায় করিয়ে দিবেন।(তাফসীরে কুরতুবী, ৩য় পারা, সূরা আলে ইমরান, ২৬ নং আয়াতের পাদটিকা, ২/৪২, ৪র্থ অংশ)।

___________

মসজিদের আদব

মূলঃ আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন