জুমা ওয়াজিব হওয়ার শর্তাবলীর বর্ণনা
بيان شروط وجوب الجمعة
شروط وجوب الجمعة سبعة : تجب صلاة الجمعة على المسلم , الحر, البالغ, العاقل, القادر على السعى اليها, الخالى من الاعذار المبيحة للتخلف عنها ومن الاعذار المبيحة لعدم حضور الجماعة .
(১) المرأة (২) والصبى فلاتجب عليهم الجمعة .
(৩) والمريض الذى يشق عليه الذهاب الى الجمعة اويخاف لايادة المرض اوتاخر الشفاء ويلحق به من يقوم بتمريضه – اذا كان لايمكن الاستغناء عنه وذلك لماروى عن طارق بن شهاب رضى الله عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم قال, الجمعة حق واجب على كل مسلم فى جماعة الااربعة- عبد مملوك او امرأة اوصبى او مريض (رواه ابوداؤد) وقال النووى صحيح على شرط المسلم .
(৪) المسافر وان كان نازلا وقت اقامتها- فعن عبدالله بن عمر رضى الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ليس على مسافر جمعة (رواه الطبرانى) .
وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم يسافر فلايصلى الجمعة فى سفره – وكان فى حجة الوداع بعرفة يوم الجمعة فصلى الظهر والعصر جمع تقديم ولم يصلى جمعة – كذلك فعل الخلفاء وغيرهم من الصحابة رضى الله عنهم.
(৫) المدين المعسر الذى يخاف الحبس .
(৬) والمختفى من حاكم طالم- فعن ابن عباس رضى الله عنهما ان النبى صلى الله عليه وسلم قال , من سمع النداء فلم يجبه فلاصلاة له الامن عذر, قالوا : يا رسول الله وما العذر؟ قال خوف اومرض (رواه ابوداؤد باسناد صحيح ) .
وكل هؤلاء لاجمعة عليهم وانمايجب عليهم ان يصلوا الظهر – ومن صلى منهم الجمعة, صحت منه وسقطت عنه فريضة الظهر .
(فائده) وكانت النساء تحضر الجمعة فى المسجد على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم وتصليها معه – ثم منعهن فى عهد عمر بن الخطاب رضى الله عنه بافسادهن .
জুমা ওয়াজিব হওয়ার জন্যে শর্ত সাতটি। জুমা ওয়াজিব মুসলমান, স্বাধীন, প্রাপ্ত বয়স্ক, জ্ঞানী, মুকিম, জুমা পর্যন্ত যাওয়ার সক্ষম ব্যক্তি, এমন ওজর মুক্ত ব্যক্তি যাহা জুমা বর্জন করাকে বৈধ করে দেয়। এমন অপারগতাও থাকে না যা জমাতে উপস্থিত না হওয়াকে বৈধ করে দেয়। যেমন- (১) মহিলা (২) শিশু সুতরাং তাদের উপর জুমা ওয়াজিব নয়।
(৩) এমন অসুস্থ ব্যক্তি যার জুমার নামাজের জন্য যাওয়া কষ্টকর হয় বা অসুস্থতা বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা হয় বা আরোগ্যতা লাভে বিলম্ব হওয়ার আশংকা থাকে বা চিকিৎসক তার নিকট চিকিৎসা করার জন্যে আসবে যা ছাড়া তার বিকল্প ব্যবস্থা নেই। যা হযরত তারেক বিন শিহাব কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের মর্ম হতে বুঝা যায়, নবী করিম (ﷺ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, জুমা এমন সত্য বিষয় যা প্রত্যেক মুসলমানের উপর জামাতের সাথে ওয়াজিব। তবে চার জনের জন্যে নয়- অধীন গোলাম, মহিলা, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তি। (আবু দাউদ শরীফ) ইমাম নববী (رحمة الله) বলেন, মুসলিমের শর্ত মোতাবেক শুদ্ধ।
(৪) মুসাফির যদিও ইকামতের সময় অবতরণ করেন। হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন মুসাফিরের জন্য জুমা নেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সফর করতেন সফরে জুমা পড়তেন না। হজ্জতুল বিদায় জুমার দিন আরাফাত ময়দানে ক্রমান্বয়ে জোহর ও আসরের নামাজ একত্রিত করে আদায় করেছেন জুমা আদায় করেননি। অনুরূপ খোলাফায়ে কেরামগণ ও অন্যান্য সাহাবাগণও করেছেন।
(৫) সংকটাপন্ন ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি জুমায় আগমন করলে বন্দী হওয়ার আশংকা থাকলে।
(৬) জালেম হাকিম হতে আত্মগোপনকারী ব্যক্তি। হযরত ইবনু আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত নিশ্চয় নবী করিম (ﷺ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আজান শুনার পর জওয়াব দেয় না (মসজিদে যায় না) তার কোন নামাজ গ্রহণযোগ্য নয়। তবে ওজর সম্পন্ন ব্যক্তি ব্যতীত। সাহাবারা আরজ করলেন হে আল্লাহর রাসূল! ওজর কি? উত্তরে বললেন, ভয় ও রোগ। (আবু দাউদ বিশুদ্ধ সনদে রেওয়ায়ত করেছেন) উলেখিত সকল লোকদের জন্যে জুমা ওয়াজিব নয় জোহরের নামাজ ওয়াজিব। তথাপিও জুমা আদায় করলে পরিশুদ্ধ হবে এবং জোহরের নামাজের ফরজিয়ত রহিত হবে।
উপকারিতা: হুজুর (ﷺ) এর সময় মহিলারা জুমা আদায় করার জন্যে মসজিদে উপস্থিত হতেন এবং তাঁর সাথে জুমা আদায় করতেন। পরবর্তীতে হযরত ওমর (رضي الله عنه) এর খেলাফতকালে তাদের ফসাদের কারণে আগমন করতে নিষেধ করলেন।
___________________
কিতাবঃ তরিকুস সালাত আ’লা ছাবিলিল ইজাজ বিল্-মাযহাবিল হানাফী
রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)
অনুবাদক: মাওলানা ছালেহ আহমদ
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন