জুমা পরিশুদ্ধ হওয়ার শর্তাবলীর বর্ণনা
بيان شروط صحة صلاة الجمعة
شروط لصحة صلاة الجمعة ستة اشياء – نذكرها .
(১) إيقاعها فى وقت الظهر وهو من زوال الشمس حتى يصير ظل كل شئ مثله بعدظل الإستواء .
وذلك لماروى عن انس رضى الله تعالى عنه ان النبى صلى الله عليه وسلم كان يصلى الجمعة اذا زالت الشمس (رواه احمد والبخارى وابوداؤد والبيهقى) .
وعن سلمة بن الاكوع رضى الله عنه قال كنا نصلى مع رسول الله صلى الله عليه وسلم الجمعة اذا زالت الشمس ثم نرجع نتتبع الفئ أى الظل (رواه أحمد و مسلم ) .
(২) الجماعة فيها فلاتصح صلاتها فرادى – وذلك لماروى عن طارق بن شهاب إن النبى صلى الله عليه وسلم قال الجمعة حق واجب على كل مسلم فى جماعة (رواه أبوداؤد) .
(৩) وتصح صلاة الجمعة بثلاثة غير الامام حيث ان الثلاثة جماعة ولايشترط فيها غير الجماعة .
(৪) إتحاد الجمعة بحيث تقام فى مكان واحد الأ اذا تعددت الجمعة لعذر – كضيق المكان او لخشية فتنة تحدث بين فئتين بينهما نزاع, لايشترط إتحاد الجمعة لصحة صلاتها وان كان هو الأفضل .
(৫) أن يكون البلد مصرا أوفناءه – وأن يكون امام الجمعة ولىُ الامر اونائبه وان اذن ولى الامر باقامة الجمعة عند بناء المسجد جازتْ صلاة الجمعة فيه ولايلزم اذن لكل جمعة – واما صلاة الجمعة فى المصر والقرية على السواء صحيح – فعن ابن عباس رضى الله عنهما ان اول جمعة فى الاسلام بعد جمعة جمعة فى مسجد رسول الله صلى الله عليه وسلم بالمدينة لجمعة جمعت بجوائى (اى قرية من قرى البحرين) رواه البخارى و ابوداؤد).
وعن ابن عمر رضى الله عنهما انه كان يرى اهل المياه بين مكة والمدينة يجمعون فلا يعتب عليهم (رواه عبد الرزاق بسند صحيح) .
(৬) الخطبتان – وللخطبة شروط – المذكورة فيما يلى فلاتصح الخطبة إذا اختل احد شروطها .
(১) تقدمها على الصلوٰة – وهذا هو الماثور عن الرسول صلى الله عليه وسلم وخلفائه ومجمع عليه لاخلاف بين المسلمين فيه .
(২) النيّة , فلو خطب بغير النية لم يعتد بها .
(৩) ان تكون باللغة العربية , فان عجز عن العربية يكفى ان تكون الاية بالعربية , قال بعضهم : تجوز الخطبة بغير العربية ولو انه لقادر عليها سواء كان القوم عربا او غيرهم , كما ذكره عبد القادر الرحباوى .
(৪) ان تكون فى الوقت, فلو خطب قبله وصلى فيه لم تصح وقد علمت تحديد الوقت كما بيناه .
(৫) الجهر فى الخطبتين , بحث يسمع العدد الذى تجب عليه الجمعة , فعن جابر بن عبد الله رضى الله عنهما قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا خطب احمرت عيناه وعلاصوته واشتد غضبه حتى كانه منذر جيش (رواه مسلم والنسائى) .
(৬) الموالاة بين الخطبتين, ويشترط الموالاة بين الخطبتين والصلاة بحيث لايفصل بينهما بفاصل طويل .
(৭) القيام فيهما , فعن ابن عمر رضى الله عنهما قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يخطب خطبتين كان يجلس اذا صعد على المنبر حتى يفرغ المؤذن ثم يقوم فيخطب ثم يجلس فلايتكلم ثم يقوم فيخطب – القيام فى الخطبة سنة لافرض .
(৮) الجلوس بين الخطبتين بقدر الطمأنية سنة .
(৯) ان يكون الخطيب طاهرا من الحدث والنجاسة ومستور العورة فى الخطبتين – فلو احدث اثناء الخطبة قطع الخطبة حتى يسبغ الوضؤ وذلك سنة لماروى عن عمر بن الخطاب رضى الله عنه انه كان يخطب على المنبر اذا أحس من نفسه بريح خرجت منه فقال ايها الناس انى قد ميلتُ يعنى ترددت بين ان اخافكم فى الله وبين ان أخاف الله فيكم فكانىّ ان أخاف الله فيكم احب الىّ الا انى قد احدثت وها آنذا أنزل لإعيد الوضوء (عيون الاخبار) .
(১০) ان يكون الخطيب ممن تجب عليه الجمعة بنفسه (سنة) ولاتجزى عندالشافعية والحنابلة خطبة عبد مملوك او مسافر ولونوى مدة ينقطع بها السفر اذا كان العدد لايتم الابالخطيب واما اذا كان العدد تامامن غير الخطيب فلا يشترط ذلك .
الخطبة لهاركن واحد, وهو مطلق الذكر فيتحقق ولو بتحميدة أو تسبيحة وتهليلة الاانه يكره الاقتصار عليها وذلك لقوله تعالى ’’فاسعو إلى ذكر الله وذروالبيع‘‘ .
وذكر الله المقصود فى الاية هوالخطبة وماسوى ذلك فهو سنة – وقال المالكية ركن الخطبة ان يكون مشتملة على تبشير وتحذير واماسوى ذلك فانه سنة وعند الشافعية والحنابلة للخطبة اركان .
الصلوٰة على النبى صلى الله عليه وسلم فى كل من الخطبتين وذلك لقوله تعالى يا ايها الذين امنوا صلوا عليه وسلموا تسليما, ولموا ظبة الرسول صلى الله عليه وسلم على الصلوة على نفسه فى خطبة – الوصية بالتقوى فى كل من الخطبتين ولو بغير لفظها فيكفى ’’أطيعوا الله‘‘ حيث ان هذا هوالمقصود من الخطبة .
قرآة آية من القرآن فى احداهما وكونها فى الاولىٰ –
الدعاء للمؤمنين والمؤمنات خصوصا فى الخطبة الثانية – عن سمرة بن جندب رضى الله عنه ان النبى صلى الله عليه وسلم كان يستغفر للمؤمنين والمؤمنات كل جمعة (رواه البزار والطبرانى فى الكبير) وكل ذلك عند الحنفية سنن .
জুমা শুদ্ধ হওয়ার শর্ত ছয়টি। নিম্নে উহার বর্ণনা দেয়া হচ্ছে-
১) জোহরের সময় উহা আদায় করা। উহা সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়া থেকে প্রত্যেক বস্তুর মূল ছায়া ব্যতীত উহার দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত। যা হযরত আনাস (رضي الله عنه) এর হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। নিশ্চয় নবী করিম (ﷺ) সূর্য ঢলে পড়ার পর জুমা আদায় করতেন। (আহমদ, বুখারী, আবু দাউদ ও বাইহাকী)
হযরত সালমা বিন আকওয়া (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, সূর্য ঢলে পড়ার পর আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে জুমার নামাজ আদায় করতাম। অত:পর নামাজ শেষে বাড়ি ফিরার সময় ছায়া আমাদের পিছনে থাকত। (আহমদ ও মুসলিম শরীফ)
২) জুমার জন্য জামাত শর্ত: সুতরাং উহা একাকীত্বভাবে শুদ্ধ হবে না। ইহা হযরত তারেক বিন শিহাব হতে বর্ণিত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, নবী করিম (ﷺ) এরশাদ করেছেন জুমা সত্য ওয়াজিব ইহা প্রত্যেক মুসলিমের উপর জামাতের সাথে ওয়াজিব (ফরজ)। (আবু দাউদ শরীফ)
৩) ইমাম ব্যতীত তিনজন মুকতাদী হওয়া শর্ত, কেননা তিনজনকে জামাত বুঝায়; জামাত বিহীন জুমা শর্ত নয়।
৪) জুমার জামাত এক জায়গাতে হওয়া; তবে কোন কারণ বশত: যেমন- জায়গা সংকুলান না হওয়া বা এমন দু’দলের লোকজন যাদের মাঝে সংঘাত বিদ্যমান আছে; উভয় দল একই স্থানে একত্রিত হলে সংঘাত বৃদ্ধি পাওয়ার বা সংঘাত সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে; এমতাবস্থায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য এক জায়গায় হওয়া শর্ত নয়, যদিও তা উত্তম।
৫) শহর কিংবা শহর সংলগ্ন স্থান হওয়া এবং জুমার ইমাম আমির কিংবা আমিরের প্রতিনিধি বা তার প্রতিনিধি হওয়া। আমির বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে যদি মসজিদ নির্মাণ করার সময় জুমা পড়ার অনুমতি প্রদান করা হয় তাহলে সে মসজিদে জুমা জায়েজ হবে। প্রত্যেক জুমার জন্য আলাদাভাবে অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নেই। জুমার নামাজ শহরে ও গ্রামে কোন ভেদাভেদ ছাড়া জায়েজ। হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, ইসলামে প্রথম জুমা যা মদিনা শরীফে নবী করিম (ﷺ) এর মসজিদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এরপর বাহরাইনের জাওয়ী নামক গ্রামে কায়েম হয়। (বুখারী ও আবু দাউদ শরীফ)
হযরত ইবনে ওমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত যে, মক্কা ও মদিনার মধ্যবর্তী এলাকায় পানির অধিকারীরা জুমা জায়েজ করতে দেখা গিয়েছে; এতে তাদেরকে বাধা দেয়া হয়নি মন্দও বলা হয়নি। (আবদুর রাজ্জাক পরিশুদ্ধ সনদে রেওয়ায়ত করেছেন)
৬) দু’খুতবা- খুতবার জন্যে নিম্নে বর্ণিত শর্তাবলীর যে কোন শর্তবিহীন খুতবা শুদ্ধ হবে না।
শর্তাবলী:
১) খুতবা নামাজের পূর্বে দেয়া; এরূপ নবী করিম (ﷺ) খোলাফায়ে রাশেদীন থেকে বর্ণিত এবং এতে সকল মুসলমানের ঐক্যমত কারো দ্বিমত নেই।
২) নিয়ত: সুতরাং নিয়তবিহীন খুতবা গ্রহণযোগ্য নয়।
৩) খুতবা আরবী ভাষায় দিতে হবে। যদি কেউ আরবী ভাষায় খুতবা দিতে অপারগ হয় কোরআন শরীফের আয়াত তেলাওয়াত করলে আদায় হয়ে যাবে।
কতিপয় ইমামদের মতে অনারবীতেও বৈধ হবে যদিও আরবী বলতে সক্ষম হয়; মুসলিগণ আরবী হউক কিংবা অনারবী। আবদুল কাদের আর রহবারী এরূপ বর্ণনা করেছেন।
৪) জুমার সময় হতে হবে; তাই কেউ সময়ের পূর্বে খুতবা পাঠ করলে এবং নামাজ সময় হওয়ার পর আদায় করলে বৈধ হবে না। উপরের বর্ণনা থেকে সময়ের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানা গিয়েছে।
৫) উভয় খুতবা উচ্চ স্বরে পাঠ করা; যাতে উপস্থিত সকল মুসলি শুনতে পায় যাদের উপর জুমা ওয়াজিব হয়েছে।
হযরত জাবের বিন আবদুল্লাহ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন; রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খুতবা দানকালে তাঁর চক্ষুদ্বয় লাল হয়ে যেত, আওয়াজ বড় হয়ে যেত এবং রাগ বৃদ্ধি পেত, এমন মনে হত যে, তিনি কোন সৈন্য দলকে ভীতি প্রদর্শন করাচ্ছেন। (মুসলিম ও নাসায়ী শরীফ)
৬) উভয় খুতবা বিরতিহীনভাবে পড়া; যাতে খুতবা ও নামাজের মাঝখানে দীর্ঘ ব্যবধান না হয়।
৭) উভয় খুতবাতে দন্ডায়মান হওয়া; হযরত ইবনু ওমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন; রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু’টি খুতবা পাঠ করতেন; যখন মিম্বরে আরোহণ করতেন মুয়াজ্জিন আজান শেষ করা পর্যন্ত বসতেন অত:পর দাঁড়াতেন ও খুতবা দিতেন তারপর বসতেন কোন কিছু বলতেন না এরপর দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় খুতবা দিতেন। খুতবার সময় দাঁড়ানো সুন্নাত, ফরজ নয়।
৮) উভয় খুতবার মাঝখানে প্রশান্তি পরিমাণ বসা সুন্নাত।
৯) খতিব উভয় খুতবায় হাদস ও নাজাসত থেকে পবিত্র হওয়া এবং সতর ঢাকা; খুতবা পাঠ করা অবস্থায় হাদস যুক্ত হলে খুতবা বন্ধ করে অজু করবে, ইহা সুন্নাত। কেননা হযরত ওমর বিন খাত্তাব (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত যে, তিনি মিম্বরে খুতবা পাঠ করতেন যখন তাঁর অনুভব হয় যে স্বীয় শরীর হতে হাওয়া বের হয়েছে তখন তিনি উপস্তিত জনতার উদ্দেশ্যে বলতেন, আমি ইতস্তত করছি যে, তোমাদেরকে আল্লাহ তায়ালার ভয় প্রদর্শন করাব এবং আমিও আল্লাহকে তোমাদের সম্মুখে ভয় করব। আমার নিকট অতি প্রিয় বিষয় হল, আমি তোমাদের মধ্যে আল্লাহকে ভয় করব কিন্তু আমি হাদস যুক্ত হয়েছি তাই এখন পুনরায় অজু করার জন্য ভয় প্রদর্শনকারী অবতীর্ণ হয়েছে। (উয়ুনুল আখবার)
১০) খতিব এমন ব্যক্তি হওয়া যার উপর জুমা ওয়াজিব হয়েছে। শাফেয়ী ও হাম্বলী কোন মাজহাবে অন্যের অধীনস্থ গোলাম বা মুসাফিরের খুতবা যথেষ্ট নয়।
খুতবার রুকন একটি, তা হল সাধারণত জিকির; ইহা বাস্তবায়ন হবে হামদ দ্বারা হউক কিংবা তাসবীহ, তাহলীল দ্বারা হউক তবে ইহার উপর সংক্ষিপ্তাকারে সম্পন্ন করা মাকরূহ। ইহা এ জন্যে- আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তোমরা আল্লাহ তায়ালার জিকিরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা কর এবং ক্রয়-বিক্রয বর্জন কর। আয়াতের উদ্দেশ্যে হল আল্লাহ তায়ালার জিকির আর তা হল খুতবা। তাছাড়া অন্যান্যগুলো সুন্নাত। মালেকীদের মতে খুতবার রুকন হল- সুসংবাদ ও ভীতি প্রদর্শন সম্বলিত খুতবা প্রদান করা; এ ছাড়া বাকী অংশ সুন্নাত। শাফেয়ী ও হানাবিলাদের মতে খুতবার কয়েকটি রুকন আছে। যেমন- দুনো খুতবার মধ্যে নবী (ﷺ) এর উপর দরূদ পঠন। ইহা এ জন্যে আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে ঈমানদার লোক তোমরা নবী (ﷺ) এর প্রতি অতি সম্মানের সাথে দরূদ ও সালাম প্রেরণ কর। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও খুতবা প্রদানকালে নিজের উপর দরূদ পাঠ করাকে কখনো বর্জন করেননি।
সরাসরি তাকওয়া শব্দ উলেখ না করে হলেও উভয় খুতবায় খোদাভীতির উপদেশ দেয়া। যেমন এভাবে বলা, ‘‘আল্লাহর আনুগত্য কর’’। কেননা ইহাই খুতবার মৌলিক উদ্দেশ্য। যে কোন খুতবায় কোরআন শরীফের আয়াত পাঠ করা; উহা প্রথম খুতবায় হওয়া এবং বিশেষত দ্বিতীয় খুতবায় মুসলমান নর-নারীর জন্যে দোয়া করা। সামুরা বিন জুনদাব (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, অবশ্যই নবী করিম (ﷺ) প্রত্যেক জুমায় মুমিন নর-নারীদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। (বাজার ও তাবরানি কবির নামক কিতাবে) এ সবগুলো হানাফীদের মতে সুন্নাত।
___________________
কিতাবঃ তরিকুস সালাত আ’লা ছাবিলিল ইজাজ বিল্-মাযহাবিল হানাফী
রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)
অনুবাদক: মাওলানা ছালেহ আহমদ
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন