যিয়ায়ে দরূদ ও সালাম (২)


👉(১১) “যে ব্যক্তি আমার প্রতি ভালবাসা ও আগ্রহের 

কারণে প্রতিটি দিন ও রাতে তিন তিন বার করে দরূদ শরীফ পাঠ 

করবে, আল্লাহ্ তাআলা তার বদান্যতার দায়িত্বে একথা অপরিহার্য 

করে নেন যে, তিনি তার ওই দিন ও রাতের গুনাহ ক্ষমা করে 

দিবেন।” 

______

তথ্যসূত্র

▪মু’জামুল কবীর, ১৮তম খন্ড, ৩৬২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৯২৮

______

👉(১২) “তোমরা যেখানেই থাক, আমার উপর দরূদে পাক 

পাঠ করো, কেননা তোমাদের দরূদ আমার নিকট পৌছে থাকে।”

______

তথ্যসূত্র

▪মু’জামুল কবীর, ৩য় খন্ড, ৮২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৭২৯

______

👉(১৩) “নিশ্চয় তোমাদের নাম পরিচয় সহ আমার কাছে 

পেশ করা হয়, এজন্য আমার উপর সুন্দর (অর্থাৎ- সর্বোত্তম 

শব্দাবলীর মাধ্যমে) দরূদ পাক পাঠ কর। 

______

তথ্যসূত্র

▪মুসান্নিফ আবদুল রাজ্জাক, ২য় খন্ড, ১৪০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩১১৬

______

👉(১৪) নিশ্চয় জিব্রাইল আলাইহি ওয়া সাল্লাম

আমাকে সুসংবাদ 

দিয়েছেন: “যে (ব্যক্তি) আপনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর 

দরূদ শরীফ পড়ে, আল্লাহ্ তাআলা তার উপর রহমত নাযিল 

করেন। আর যে আপনি  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর সালাম 

প্রেরণ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার উপর নিরাপত্তা নাযিল করেন।” 

______

তথ্যসূত্র

▪মুসনাদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ১ম খন্ড, ৪০৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৬৬৪

______

👉(১৫) হযরত সায়্যিদুনা উবাই বিন কা’ব �(রা)

আরজ করল যে, আমি (সমস্ত ভির্দ, ওয়াজিফা ছেড়ে দেব আর) 

নিজের পরিপূর্ণ সময় দরূদ শরীফ পাঠ করাতে ব্যয় করব। তখন 

ছরকারে মদীনা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

ইরশাদ করলেন: “তা তোমার 

পেরেশানী সমূহ দূর করার জন্য যথেষ্ট হবে এবং তোমার গুনাহ 

ক্ষমা করে দেয়া হবে।”

______

তথ্যসূত্র

▪তিরমিযী, ৪র্থ খন্ড, ২০৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৪৬৫

👉(১৬) “যে (ব্যক্তি) আমার উপর সকালে দশ বার ও 

সন্ধ্যায় দশ বার দরূদ শরীফ পাঠ করে, তার জন্য কিয়ামতের দিন 

আমার সুপারিশ নসীব হবে।”

______

তথ্যসূত্র

▪মাজমাউয যাওয়ায়িদ, ১০ম খন্ড, ১৬৩ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৭০২২

______

👉(১৭) “আমার উপর অধিক হারে দরূদ শরীফ পাঠ কর, 

নিশ্চয় আমার উপর তোমাদের দরূদ শরীফ পাঠ করা তোমাদের 

জন্য পবিত্রতা।”

______

তথ্যসূত্র

▪মুসনাদে আবি ইয়ালা, ৫ম খন্ড, ৪৫৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৬৩৮৩

______

👉(১৮) “আল্লাহ্ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য পরস্পরের মধ্যে 

ভালবাসা পোষণকারী যখন দু’জন বন্ধু পরস্পর সাক্ষাত করে। ও 

মুসাফাহা করে (অর্থা- হাত মিলায়) আর প্রিয় নবী, রাসুলে আরবী

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

এর উপর দরূদ পাক পাঠ করে, তবে তারা 

উভয়ে পরস্পর পৃথক হবার পূর্বে আগের ও পরের গুনাহ সমূহ 

ক্ষমা করে দেয়া হয়।”

______

তথ্যসূত্র

▪মুসনাদে আবি ইয়ালা, ৩য় খন্ড, ৯৫ পৃষ্ঠা, হাদীস-২৯৫১

______

👉(১৯) “যে এটা বলে: 

অর্থঃ- হে আল্লাহ্! হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

এর উপর রহমত

নাযিল কর এবং তাঁকে কিয়ামতের দিন তোমার দরবারে 

নৈকট্যতম স্থান প্রদান কর।


তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব 

হয়ে যাবে।”

______

তথ্যসূত্র

▪মুজাম কবীর, ৫ম খন্ড, ২৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৪৮০

______

👉(২০) “যে (ব্যক্তি) কিতাবে আমার উপর দরূদ পাক 

লিখেছে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার নাম তাতে থাকবে, ফিরিশতারা 

তার জন্য ইস্তিগফার (অর্থাৎ- ক্ষমা প্রার্থনা) করতে থাকবে।” 

______

তথ্যসূত্র

▪মুজাম আওসাত, ১ম খন্ড, ৪৯৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৮৩৫)

_______________

কিতাব : যিয়ায়ে দরূদ ও সালাম 

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন