প্রিয় নবীজি (ﷺ) এর রওজা যিয়ারত ও তার উদ্দেশ্যে সফর (২)
যিয়ারতের ক্ষেত্রে রাসূলে পাক (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর রওজা মােবারক যিয়ারত করা সবচেয়ে উত্তম আমল। প্রিয় নবীজি (ﷺ) এর রওজা মােবারক যিয়ারত ও তদ্বউদ্দেশ্যে সফর করা অত্যন্ত ফজিলত ও বরকতময় আমল। বিষয়টি নিম্নোক্ত হাদিস সমূহের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত। যেমন নিচের হাদিস গুলাে লক্ষ্য করুনঃ
●হাদিস নং ৬
حدثنا محمد بن رشدي قالঃ نا علي بن الحسن بن هارون الأنصاري قالঃ ځي اللي ابن ابنة اللي بن أبي سلم قالঃ ثني عايزه ابنه و ، امر لي بن أبي سليم ، عن مجاهد ، عن ابن عمر ، عين التي صلى الله عليه وسلم قالঃ من زار قبري بعد موتي ، كان كمن زارني في حياتي
-”হজরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) নবী করিম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, প্রিয় নবীজি (ﷺ) বলেছেন ; যারা আমার ওফাতের পরে যিয়ারত কৰে সে যেন আমার জিবদ্দশায় যিয়ারত করল।”
(ইমাম তাবারানীঃ মুজামুল আওছাত, হাদিস • ২৮৭ ; ইমাম তাবারানী মুজামুল কবীর, হাদিস নং ১৩৪৯৪ ; ইন ইবনে শাহিনঃ আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, ১০৮০ নং হাদিস)
ইমাম ইবনে শাহিন (رحمة الله) এর সনদটি ভিন্ন, যেমনঃ-
أخبرنا أحمد بن عبد الغفار أشتة ، أنبأ أبو سعيد النقاش ، أنبأ أبو بكر محمد بن عبيد الله بن إبراهيم الخوخاني ، ثنا الحسن بن الطيب البلخي ، ثنا علي بن حجر ، ثنا حفص بن سليمان ، عن ليث ، عن المجاهد ، عن ابن عمر رضي المجاهد ، عن ابن عمر رضي الله عنه قالঃ قال رسول الله صلی الله عليه وسلمঃ من زار قبري بعد موتي كان كمن زارني في حياتي
-”আহমদ ইবনে আব্দুল গাফফার ইবনে আসতাহ-আবু সাঈদ নাক্কাস আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে উবাইদুল্লাহ ইবনে ইব্রাহিম খাওছানী-হাছান ইবনে তায়্যেব বালখী-আলী ইবনে হাজার-হাফছ ইবনে সুলাইমান-লাইছ মুজাহিদ-ইবনে উমর (রাাঃ)........। (ইমাম ইবনে শাহিন ; আত্তারগীব ওয়াত্তরহীব, ১০৮০ নং হাদিস)
●হাদিস নং ৭
العمان بن شبل من أهل البصرة يروي عن أبي عوانة ومالك أخبرنا عنه الحسن بن سفيان يأتي عن القات بالطامات وعن الأثبات بالمقلوبات روي عن مالك عن نافع عن بن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من حب البيت ولم يزني فقد جفاني
-”হজরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হজ করল কিন্তু আমার যিয়ারত করল না সে যেন আমার উপর যুলুম করল।”(ইমাম ইবনে ছালেই ; সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১২ তম খন্ড, ৩৭৯ ; ইমাম ইবনে আলীঃ আল-কামিল, ৮ ম খন্ড, ২৪৮ পৃঃ ; ইমাম ইবনে হিব্বান ; মাকরুহীন, হাদিস নং ১১২৮)।
●হাদিস নং ৮
হাদিসটি আরেকটি সনদেও বর্ণিত আছে, যেমনঃ
حدثنا على بن إسحاق ، حنا محمد بن محمد بن النعمان بن شبل ، حدثني جدي ، حدثني مالك عن نافع ، عن ابن عمر ، قالঃ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من حين البيت ولم يزرني فقد جفاني
-”হজরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হজ্ব করল কিন্তু আমার যিয়ারত করল না সে যেন আমার উপর যুলুম করল।
(ইমাম ইবনে ছালেহী: সুবুলুল ফুলা ওর বাশার, ১২ ৩ম খন্ড, ৩৭৯ ; ইমাম ইবনে আদী আল-কামিল, ৮ ম খন্ড, ২৪৮ পৃঃ ইমাম ইবনে হিব্বানঃ মাজরুহীন, হাদিস নং ১১২৮ ; কাজী শাওকানী; নাইলুল আওতার, ৫ম খন্ড, ১১৪ পৃঃ ২০৭৩ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়)
●হাদিস নং ৯
وعن علي بن أبي طالب رضي الله عنه قالঃ قال النبي صلى الله عليه وسلمঃ من زار قبري بعد موتي فكأنما زارني في حياتي ، ومن لم يزر قبري فقد جفاني .
-”হজরত আলী (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেনঃ যারা আমার ওফাতের পরে যিয়ারত করবে সে যেন আমার জিবদ্দশায় যিয়ারত করল যে আমার যিয়ারত না করবে সে যেন আমার উপর যুলুম করল।”(ইমাম খারকুশীঃ শরফুল মুস্তফা, হাদিস নং ৮৬২, ৩ য় খন্ড, ১৭২ পৃঃ ; ইবনে ছালেহীঃ সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১২ তম খন্ড, ৩৭৭ পৃঃ)।
●হাদিস নং ১০
وعن أنس بن مالك رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قالঃ من زار قبري بالمدينة محتسبا کنت له شفیعا
-”হজরত আনাস ইবনে মালেক (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার মদিনায় প্রতি নিয়ত করে রওজা যিয়ারত করবে, আমি তার সুপারিশকারী হব।”(ইমাম খারকুশীঃ শরফুল মুস্তফা, হাদিস নং ৮৬৩, ৩ য় খন্ড, ১৭২ পৃঃ; ইমতাউল আসমা ', ১৪ তম খন্ড, ৬১৪ পৃঃ)।
_______________
সহিহ হাদিসের আলােকে মাজার যিয়ারত পূজা নয় ও কদমবুছির সমাধান
গ্রন্থনায়ঃ মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আলাউদ্দিন জিহাদী
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন