প্রিয় নবীজি (ﷺ) এর যিয়ারত প্রসঙ্গে ফোকাহাদের অভিমত
এ বিষয়ে হানাফী মাজহাবের সিদ্ধান্ত হচ্ছে,
قال مايا رحمهم الله تعالىঃ إنها أفضل المندوبات وفي مناسبي القاريي وشرح المختار أنها قريبه من الوجوب لمن له سعة ، والحج إن كان فضا قاس أن يب به ممي بالتيار وإن كان فلا كان بالخيار ، فإذا نوى زيارة القبر فينو معه زيارة مسجد رسول الل صلى الله عليه وسلم
-”আমাদের হানাফী মাজহাবের ইমামগণ বলেছেনঃ রাসূল (ﷺ) এর রওজা মােবারক যিয়ারত করা সর্বোত্তম মুস্তাহাব। মানাসেক ফারছী এবং শরহুল মুখতার কিতাবে রাসূল (ﷺ) এর রওজা মােবারক যিয়ারতের বিষয়ে বলেনঃ যে ব্যক্তির জন্য আর্থিক সচ্ছলতা রয়েছে তার জন্য রওজা যিয়ারত করা ওয়াজিব। যদি হজ্ব ফরজ হয়ে থাকে তাহলে প্রথমে হজ্বের কাজ সম্পাদন করে পরে রওজা মােবারক যিয়ারত করা উত্তম। পরে রাসূল (ﷺ) এর রওজা মােবারক যিয়ারত করবে। আর যদি হজ্ব নফল হয় তাহলে যেকোন একটি আগে করা ইচ্ছাধীন। যখন নবী পাক (ﷺ) এর রওজা যিয়ারতের নিয়ত করবে তখন এর সাথে মসজিদে নববী যিয়ারতের নিয়ত করবে। (ফাতওয়ায়ে আলমগিরী, ১ ম খন্ড, ২৬৫ পৃঃ)
শাফেয়ী মাজহাবের অন্যতম ইমাম আল্লামা হাফিজ ইবনে হাজার হায়তামী মক্কী (رحمة الله) ওফাত ৯৭৪ হিজরী তদীয় কিতাবে বলেন,
و يسن بل قيل يجب والله والممتاز في طلبها ضال مضل زياره قبر رسول الله صلى الله عليه وسلم
-”রাসূল (ﷺ) এর রওজা মােবারক যিয়ারত করা সুন্নাত। কেউ কেউ বলেছেন ওয়াজিব, আর ওয়াজিব হওয়া স্বপক্ষে শক্ত দলিলও দেওয়া হয়। রাসূল (ﷺ) এর রওজা মােবারক যিয়ারত নিয়ে বিতর্ককারী নিজেও পথভ্রষ্ট অন্যকে পথভ্রষ্টকারী।”(তুহফাতুল মুহতাজ ফি শরহে মিনহাজ, ৪ র্থ খন্ড, ১৪৪ পৃঃ)।
হাম্বলী মাজহাবের অন্যতম ফকিহ্ আল্লামা ইবনে কুদামা (رحمة الله) তদীয় কিতাবে বলেন,
فإذا فرغ من الحج استحب زيارة قبر النبي صلى الله عليه وسلم وقبر صاحبيه رضي الله عنهما تستحب زيارة قبر النبي صلى الله عليه وسلم لما روى الدارقطني بإسناده عن ابن عمر رضي الله عنهما قالঃ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من حج نزار قبري بعد وفايي فكأنما زارني في حياتي وفي رواية من زار قبري وجبت له شفاعتي
-”যখন হাজী সাহেব হজ্বের কাজ থেকে অবসর হবে তখন রাসূল (ﷺ) রওজা মােবারক ও তার দুই সাথীর মাজার যিয়ারত করা অধিক উত্তম কাজ। আর রাসূল (ﷺ) এর রওজা মােবারক যিয়ারত করা মুস্তাহাব। যেমন ইমাম দারে কুতনী (رحمة الله) হজরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেনঃ আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হজ করল ও আর রওজা যিয়ারত করল সে যেন আমার জিবদ্দশায় যিয়ারত করল। আরেক রেওয়াতে আছেঃ যে ব্যক্তি আমার রওজা যিয়ারত করবে তার জন্য আমার শাফায়াত করা ওয়াজিব।”(শরহে কবীর, ৩ য় খন্ড, ৪৯৪ পৃঃ)।
এ সম্পর্কে আল্লামা ইমাম শরফুদ্দিন নববী শাফেয়ী (رحمة الله) বলেন,
أن زيارة قبر رسول الله صلى الله عليه وسلم من أهم الممرات أجج المساعي فإذا انصرف الحجاج والمعتژون من مگه أستجب لهم استحبابا متأكدا أن يتوجهوا إلى المدينة لزياته صلى الله عليه وسلم
-”রাসূলে পাক (رحمة الله) এর রওজা মােবারক যিয়ারত করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ নৈকট্য ও সফলময় প্রচেষ্টার প্রতিফলন যখন হজ্ব ও উমরা আদায়কারী যাবতীয় কার্যবলী থেকে অবসর হবে তখন রাসূলে পাক (ﷺ) এর রওজা যিয়ারত করা উচিৎ, যা অতীব গুরুত্বপূর্ণ মুস্তাহাব আমল।”
(ইমাম নববীঃ আল-মাজমু শরহে মুহাজ্জান, ৮ ম খন্ড, ২৭২ পৃঃ)।
ইমাম শরফুদ্দিন নববী (رحمة الله) আরাে বলেন,
ويستحب زيارة قبر رسول الله صلى الله عليه وسم لما روى ابن عباس رضي الله عنهما إثر النبي صلى الله عليه وسلم قال (من زار قبري وجبت له شفاعتي)
-”রাসূল (ﷺ) এর রওজা মােবারক যিয়ারত করা মুস্তাহাব, যেমন ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ যে আমার রওজা যিয়ারত করবে তার জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হবে।”(ইমাম নববীঃ আল মাজমু ' শরহে মুহাজ্জাব, ৮ ম খন্ড, ২৭২ পূ.)
অতএব, রাসূলে পাক (ﷺ) এর রওজা মােবারক যিয়ারত করা অতীব জরুরী একটি আমল যা প্রিয় নবীজি (ﷺ) এর জিবদ্দশায় যিয়ারতের সমতুল্য। এর বিরুধীতা করা চরম বেয়াদবী ও পথভ্রষ্টতা।
_______________
সহিহ হাদিসের আলােকে মাজার যিয়ারত পূজা নয় ও কদমবুছির সমাধান
গ্রন্থনায়ঃ মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আলাউদ্দিন জিহাদী
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন