তাবলীগ জামাতের মূখ্য উদ্দেশ্য ও মৌঃ আশরাফ আলী থানভীর আক্বীদা
তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মৌঃ ইলিয়াস বলেন- ‘‘হযরত থানবী বহুত বড় কাজ করে গিয়েছেন, আমার অন্তর চায় তা’লীম হবে তার- আর তাবলীগের তরীকা হবে আমার। এভাবে তার তা’লীম (শিক্ষা) যেন ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে” (মালফুজাত নং-৫৬)। তাই নি:সন্দেহে ইহা বলা যায় যে তাবলীগ জামাতের মূখ্য উদ্দেশ্য হলো মাওলানা আশরাফ আলী থানভীর শিক্ষা ও আক্বীদার প্রচার ও প্রসার। এখন দেখা যাক তার আক্বীদা কিরূপ ছিল।
থানবী সাহেবের আক্বীদাঃ-
১। তার এক মুরীদের ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আশরাফ আলী রাসুলুল্লাহ’ এইরূপ স্বপ্নের ব্যখ্যায় বলেন- “আমার প্রতি তোমার মহব্বত খুব বেশী, এসব তারই ফল।” (রেসালায়ে ইমদাদ)
২। হিফজুল ঈমানের ১৫ পৃষ্ঠায়- “রাসুলের যে এলমে গায়েব আছে এমন এলমে গায়েব তো যায়েদ, ওমর বরং সমস্ত শিশু, পাগল এবং সমস্ত জীব জানোয়ারের ও চতুষ্পদ জন্তুু (গরু, ছাগল, শিয়াল, কুকুর ইত্যাদি) সবার মধ্যেই আছে।” (নাউজুবিল্লাহ)
৩। “কছদুস সাবিল” গ্রন্থে বলেন- আকীকা, খাতনা, ছেলে মেয়েদের বিসমিল্লাহখানী (সর্বপ্রথম আরবী সবকদান অনুষ্ঠান), মৃত ব্যক্তির চল্লিশা, শবে বরাতের হালুয়া, মহররমের অনুষ্ঠান ইত্যাদি ছেড়ে দাও, নিজেও করোনা অন্যের ঘরে হলেও যোগদান করো না।
৪। মৃত ব্যক্তির জন্য ‘‘তিজা” (তৃতীয় দিনের দোয়া অনুষ্ঠান), দশওয়া, বিশওয়া এবং চল্লিশার অনুষ্ঠানকে নাজায়েয বলেছেন এবং এই কাজ থেকে বিরত থাকার আহবান করেছেন।
৫। আলী বখশ্, গোলাম আলী ইত্যাদি নাম রাখা এবং এভাবে বলা- যদি আল্লাহ্ ও রাসুল চান তাহলে অমুক কাজ সম্পন্ন হবে- শিরক।
৬। ঈদে মিলাদুন্নবীতে খুশী হওয়া জায়েয নয় এবং পরকালে ইহা পালনে সওয়াব পাওয়া যাবে না।
অথচ উপরোক্ত ৬টি বিষয়ই হলো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদার পরিপন্থি।
_________________
কিতাব : হক্ব-বাতিলের পরিচয় ও ঈমান রক্ষা
গ্রন্থনা ও সংকলনে:
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আলম (অবঃ)
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন