হযরত ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আব্বাস (رضي الله عنه) এর আক্বীদা
দান ও বদান্যতা-
হযরত ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন- হুযূর আঁক্বা (ﷺ) কল্যাণের পথে সবচেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন। তাঁর দানশীলতার দিকটি সর্বাধিক প্রকাশিত হতো রমযান মাসে। হযরত জিবরা‘ঈল (عليه السلام) প্রতি বছর মাহে রমযানের শেষ অবধি তাঁর সাথে সাক্ষাতে আসতেন। রাসূলে কারীম (ﷺ) তাঁকে [হযরত জিবরা‘ঈল আ. কে] পবিত্র কুরআন পাঠ করে শুনাতেন।
فَإِذَا لَقِيَهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ، كَانَ أَجْوَدَ بِالخَيْرِ مِنَ الرِّيحِ المُرْسَلَةِ
-“হযরত জিবরাঈল (عليه السلام) যখন নবীজি (ﷺ) এর সাথে সাক্ষাতে মিলিত হতেন, তখন তিনি বৃষ্টি বর্ষণের ন্যায় কল্যাণমুখী বড় দানবীর হিসেবে থাকেন।” ৬২
{৬২. ইমাম মুসলিম, আস-সাহীহ, ৪/১৯৯৫ পৃ. হা/২৫০১, পরিচ্ছেদ: بَابُ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدَ النَّاسِ بِالْخَيْرِ مِنَ الرِّيحِ الْمُرْسَلَةِ , ইমাম বুখারী, আস-সহীহ, হা/১৯০২, সহীহ ইবনে খুজায়মা, হা/১৮৮৯, ইমাম হাকেম, আল-মুস্তাদরাক, ২/৬৭০ পৃ. হা/৪২২৩, মুসনাদে আহমদ, হা/২০৪২, ইমাম বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, ৪/৫০৩ পৃ. হা/৮৫১৫, সুনানে নাসাঈ, ৪/১২৫ পৃ. হা/২০৯৫ এবং আস-সুনানুল কোবরা, হা/২৪১৬, মুসনাদে আবি ই‘য়ালা, হা/২৫৫২, ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী, হিলইয়াতুল আউলিয়া, ৫/৩৬২ পৃ. , ইমাম বুখারী, আদাবুল মুফরাদ, হা/২৯২}
‘আক্বীদা:
বাতাসের অবস্থান সমগ্র জায়গাজুড়ে। আর নবীয়ে কায়েনাতের (ﷺ) দানশীলতা বাতাস অপেক্ষা ঢের বেশিই তেজোদ্দীপ্ত। তাই তাঁর অনুদান-অনুগ্রহ সমগ্র সৃষ্টির প্রান্তে প্রান্তে বিদ্যমান। দানশীলতা একটি গুণ। যে স্বত্ত¡াধিকারির জন্য এটি একটি গুণের স্তর। আর যাঁর গুণের এই মর্যাদা তাহলে ঐ গুণসমৃদ্ধ সত্ত্বার প্রাচুর্যতার মর্যাদা কী পাবে!
جس طرف اٹہ گئ دم مي دم آگيا
اس نگاه عنايت پہ لاكهوں سلام
هاتہ جس سمت اٹها تو غنى كر ديا
موج بحر سماحت پہ لاكهوں سلام
উঠে যার তবে দয়া, হয় মুহুর্তে আগাম
আনুকূল্য চাহনীর ধারে ঐ, লাখো সালাম।
যেদিকে উঠে হাত করে ধনবান
সে সায়র ঢেউয়ে ঢেউয়ে লাখো সালাম।
দানশীলতা ও অনুদান-
❏ সাইয়্যিদুনা হযরত ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবীজি (ﷺ) এর অতুলনীয় অভ্যাস ছিল-
لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُسْأَلُ شَيْئًا إِلَّا قَالَ: نَعَمْ
-‘‘তিনি কোনো প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা (কিছু তালাশ) কে ফেরত দিতেন না।’’ ৬৩
{৬৩.ইমাম বুখারী, আস-সাহীহ, ৩/২৬ পৃ. হা/১৯০২, ইমাম মুসলিম, আস-সাহীহ, ৪/১৮০৩ পৃ. হা/২৩০৮, ইমাম বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, ৭/২২৬ পৃ. হা/১৩৮০০, ইমাম ইবনে আছির, জামেউল উসূল, ৯/১০৬ পৃ. হা/৬৬৫৫}
‘আক্বিদা
নবীয়েপাক সাহেবে লাওলা-ক (ﷺ) এর রাজ দরবার থেকে কেউ রিক্তহস্তে বিমুখ হয়নি। তাঁর বাদশাহী দ্বার সমগ্র বছরজুড়ে সবার জন্য উন্মুক্ত। বাস্তবিকপক্ষে তাঁর নিকট কোনো কিছুরই স্বল্পতা নেই।
زمانہ نے زمانہ ميں سخى ايسا كهيں ديكها
زباں جس كے سائل نےنهيں آ تے نهيں ديكها
কাল তার মহাকালে দেখেছে বদান্য এমনি কোথা
দেখেনি দানপ্রার্থী মুখবলিতে তাঁর ‘না’ যথার্থতা।
____________________
আকাইদে সাহাবাহ
(সাহাবায়ে কিরামদের সাথে সুন্নি আক্বিদার সাদৃশ্য)
মূল:আল্লামা আবুল হামিদ মুহাম্মদ যিয়াউল্লাহ
ক্বাদেরী আশরাফী (رحمة الله)
বঙ্গানুবাদ: মাওলানা হাফেয মুহাম্মদ আতিকুর রহমান
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন