আল্লাহ পাক তাঁরই রাসূল (ﷺ)-এর মাধ্যমে ঝগড়া-ফাসাদে লিপ্ত মানুষদের অন্তরগুলোকে একতাবদ্ধ করেছেন।

কোনো নেয়ামত লাভের উদযাপন হতে দলিল


সর্বশক্তিমান আল্লাহতা’লা পূর্ববর্তী জাতিগুলোর প্রতিও তাঁর রহমত-বরকত (আশীর্বাদ) বর্ষণ করেছেন, আর তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ তারাও ওই নেয়ামত-প্রাপ্তির দিনগুলোকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করেছে। এই দৃষ্টান্তের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য হচ্ছে এবিষয়টি স্পষ্ট করা যে, পূর্ববর্তী জাতিগুলো তাদের ঐতিহ্য ও প্রথা অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিবসসমূহ উদযাপন করতো; এটা এমন এক অনুশীলিত রীতি যা ক্বুরআন মজীদ সমর্থন করেছে [মরিয়ম-তনয় ঈসা আরয করলেন, ‘হে আল্লাহ, হে আমাদের রব্ব! আমাদের প্রতি আকাশ থেকে একটা খাদ্যভর্তি খাঞ্চা অবতীর্ণ করুন, যা আমাদের জন্যে ঈদ হবে – আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের জন্যে এবং আপনার কাছ থেকে হবে এক নিদর্শন’ – কুরআন মজীদ, ৫:১১৪; তাফসীরে নূরুল এরফান বাংলা সংস্করণ]। যদি পূর্ববর্তী জাতিগুলো ছোটখাটো আশীর্বাদপ্রাপ্তিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে, তাহলে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রহমত-বরকত-নেয়ামতপ্রাপ্তিতে আল্লাহতা’লার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা আমাদের জন্যে আরো বেশি জরুরি নয় কি? আল্লাহ পাক স্বয়ং এটা করতে আমাদের প্রতি নির্দেশ দেন নিম্নবর্ণিত আয়াতে করীমায়:

“এবং নিজেদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহকে স্মরণ করো যখন তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ছিল, তিনি তোমাদের অন্তরগুলোতে সম্প্রীতি সৃষ্টি করে দিয়েছেন। সুতরাং তাঁর অনুগ্রহক্রমে তোমরা পরস্পর ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছো।” [আল-ক্বুরআন, ৩:১০৩]

এটা দয়া ও অনুগ্রহের কী চমৎকার এক নিদর্শন যে আল্লাহ পাক তাঁরই রাসূল (ﷺ)-এর মাধ্যমে ঝগড়া-ফাসাদে লিপ্ত মানুষদের অন্তরগুলোকে একতাবদ্ধ করেছেন। যাঁরা ইতিপূর্বে নিজেদের ভাইদের রক্তপিপাসু ছিলেন, তাঁরাই এখন হয়েছেন ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ। বস্তুতঃ মানবজাতির মাঝে মহানবী (ﷺ)-এর আগমনের সুবাদে এই আশীর্বাদপ্রাপ্তি হয়েছে; তাঁর খোদ সত্তা মোবারক-ই এই নেয়ামতের উৎস। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর এই জগতে শুভাগমন এবং তাঁর প্রতি স্রেফ ঈমান এনে যাঁরা নিজেদের যুদ্ধংদেহী মনোভাব ও আচরণ হতে পরিশুদ্ধ হওয়ার দরুন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন, তা আমাদের প্রতিও বাধ্যবাধকতা আরোপ করে যে আমরা প্রিয়নবী (ﷺ)-এর বেলাদত (ধরাধামে শুভাগমন) উপলক্ষে আল্লাহতা’লার প্রতি কৃতজ্ঞতার মূর্ত প্রকাশ হই।

__________________

মওলিদুন্নবী (ﷺ)-এর উদযাপন ও অনুমতি (১ম খণ্ড)

মূল: শায়খুল ইসলাম ড: মুহাম্মদ তাহিরুল কাদেরী

অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন