লাইলাতুল কদরের রাত ও বেলাদত শরীফের রাতের মধ্যকার তুলনা
কুরআন মজীদ – যে ঐশীগ্রন্থটিতে মহানবী (ﷺ)-এর অনুকরণীয় দৃষ্টান্তপূর্ণ নৈতিক চরিত্র উল্লেখিত হয়েছে এবং তাঁর বৈশিষ্ট্যগুলো সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে – তাতে ঐশীভাবে উন্মেচিত হয়েছে যে পবিত্র রমযান মাসের কোনো একটি রাত এক হাজার মাসের চেয়েও উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন। এটাই পবিত্র লায়লাতুল কদরের রাত (ভাগ্য রজনী), যে রাতে ‘লওহ আল-মাহফূয’ নিম্নের আসমানে অবতরণ করেছিল। সর্বশক্তিমান আল্লাহতা’লা এ রাতকে শেষ বিচার দিবস অবধি সব মানুষের জন্যে মর্যাদাপূর্ণ মক্বাম তথা স্তর/পর্যায় অর্জনের অসীলা বা মাধ্যম বানিয়েছেন; আর এ রাতকে সকল রাতের মধ্যমণি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কুরআন নাযেলের বেলায় এটা যদি সত্য হয়, তাহলে তাঁর বেলায় কী বলা যায়, যাঁর খাতিরে সমস্ত সৃষ্টিকুল অস্তিত্বশীল হয়েছে, যিনি গোটা বিশ্বজগতকে চিরস্থায়ী ভালোবাসা ও করুণা দ্বারা আলোকিত করেছেন এবং যাঁর অধিকারে (খোদ) আল-কুরআন? আল্লাহর দৃষ্টিতে তাঁর বেলাদত তথা ধরাধামে শুভাগমনের রাতটির মর্যাদা কী হতে পারে? তা কী হতে পারে, এব্যাপারে মানব মস্তিষ্ক ধারণা করতেও অপারগ।
লায়লাতুল ক্বদরের মর্যাদা এই কারণে যে এ রাতে কুরআন নাযেল হয়েছে এবং ফেরেশতাবৃন্দ-ও অবতীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু মহানবী (ﷺ) না হলে ওহী-ও (নাযেল) হতো না, আর লায়লাতুল ক্বদর-ও হতো না – এমন কি সমগ্র সৃষ্টিকুল-ও অস্তিত্ব পেতো না। বাস্তবিকপক্ষে, এসব নেয়ামত (আশীর্বাদ) অামাদের রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বেলাদতের কারণেই এসেছে। অতএব, তাঁর বেলাদতের রাতকে যদি আমরা লায়লাতুল কদরের রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বলি, তাহলে অতিরঞ্জন হবে না। কদরের রাতকে এক সহস্র মাসের চেয়ে শ্রেয়তর ঘোষণা করে আল্লাহ পাক এটার গুণের একটি সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। পক্ষান্তরে, মহানবী (ﷺ)-এর বেলাদতের রাতের বৈশিষ্ট্য ধারণারও অতীত। তবে একথা মনে রাখা উচিত যে যদিও তাঁর বেলাদতের রাতের বৈশিষ্ট্য শ্রেষ্ঠতর, তবুও প্রত্যেকের লায়লাতুল কদরের রাতে এবাদত-বন্দেগী বেশি করা উচিত; কেননা এ রাতে এবাদত-বন্দেগীর জন্যে বরাদ্দ সওয়াবের পরিমাণ বেশি, আর এটা কুরআন ও হাদীস দ্বারা সুপ্রতিষ্ঠিত।
বিশেষ কয়েকটি রাতের বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে ইমামবৃন্দ ও মুহাদ্দীস-মণ্ডলী আলোচনা করেছেন, যেমন – শা’বান মাসের ১৫ তারিখের রাত, লায়লাতুল কদর, ঈদুল ফিতর ও এয়াওমে আরাফা’র রাতগুলো এবং মহানবী (ﷺ)-এর বেলাদতের রাত। এঁদের মধ্যে অনেকেই লায়লাতুল কদরের রাতের চেয়ে মীলাদুন্নবী (ﷺ)-এর রাতকে শ্রেষ্ঠ বলে ঘোষণা করেছেন। ইমাম কসতলানী (৯২৩-৮৫১ হিজরী), শায়খ আবদুল হক্ব মুহাদ্দীসে দেহেলভী (৯৫৮-১০৫২ হিজরী), ইমাম যুরক্বানী মালেকী (১০৫৫-১১২২ হিজরী), ইমাম ইউসূফ নাবহানী (বেসাল: ১৩৫০ হিজরী) প্রমুখ একথা স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন।
১. ইমাম কসতলানী এ সম্পর্কে লেখেন:
মহানবী (ﷺ)-এর বেলাদত প্রশ্নে এমর্মে বলা হয় যে দুটি রাতের কোন্ রাতটি শ্রেষ্ঠতর – কদরের রজনী, না মীলাদুন্নবী (ﷺ)-এর রাত, (এ প্রসঙ্গে) আমার উত্তর হলো, কদরের রাতের চেয়ে তাঁর বেলাদতের রাত শ্রেষ্ঠ তিনটি ক্ষেত্রে:
প্রথমতঃ হুযূর পূর নূর (ﷺ)-এর বেলাদতের রাত হচ্ছে তাঁরই মহিমান্বিত আবির্ভাবের রাত, অথচ কদরের রাত তাঁকে প্রদানকৃত। ওই রাত, যা নিজ উচ্চমর্যাদার কারণ তথা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের প্রকাশ (বেলাদত)দ্বারা সম্মানিত হয়েছে, তা সেই রাত অপেক্ষা শ্রেয়তর হবে, যেটা রাসূল (ﷺ)-এর কারণে প্রদত্ত সূত্রে সম্মানিত হয়েছে। আর এবিষয়ে কোনো ধরনের মতপার্থক্য-ই নেই। অতএব, এক্ষেত্রে তাঁর বেলাদতের রাত শ্রেষ্ঠতর।
দ্বিতীয়তঃ কদরের রাত সম্মানিত, কেননা ফেরেশতাবৃন্দ ওই রাতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন; অপরদিকে, মীলাদুন্নবী (ﷺ)-এর রাত সম্মানিত, কেননা এটা ধরাধামে তাঁরই শুভাগমনের রাত। যেহেতু তিনি ফেরেশতাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর, সেহেতু মওলিদুন্নবী (ﷺ)-এর রাত কদরের রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও (অধিকাংশ সুন্নী উলামার) সমর্থিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁর মীলাদের রাত-ই শ্রেষ্ঠতর।
তৃতীয়তঃ কদরের রাতের যে ফযীলত, তা (খাসভাবে) উম্মতে মুহাম্মদীয়ার জন্যেই। পক্ষান্তরে, তাঁর বেলাদতের রাতে যে ফযীলতপ্রাপ্তি হয়েছে, তা সকল অস্তিত্বশীল প্রাণি/বস্তুর জন্যে। তাঁকেই সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক সারা বিশ্বজগতের জন্যে আপন করুণাস্বরূপ প্রেরণ করেন; ফলে এ আশীর্বাদে অন্তর্ভুক্ত সমগ্র সৃষ্টিকুল, আর তাঁর মীলাদের রাতটিও এ বৃহত্তর কল্যাণ ধারণ করে আছে। অতএব, এক্ষেত্রেও এই রাত কদরের রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর। [আল-কসতলানী প্রণীত ‘আল-মাওয়া’হিবুল লাদুন্নিয়া বিল-মিনাহিল মুহাম্মদিয়া’, ১:১৪৫; শায়খ আবদুল হক্ক দেহেলভী কৃত ‘মা’ সাবাতা মিনাল-সুন্নাহ ফী আইয়া’মিল সানা’, ৫৯-৬০ পৃষ্ঠা; আল-যুরক্বানী রচিত ‘শরহে মাওয়া’হিবুল লাদুন্নিয়া’, ১:২৫৫-২৫৬; এবং ইমাম আল-নাবহানী লিখিত ‘জওয়া’হিরুল বিহার ফী ফাযা’ইলিল নাবী-ইল-মুখতার’, ৩:৪২৪]
২. ইমাম আল-তাহাবী (২৩৯-৩২১ হিজরী) কতিপয় শাফেঈ জ্ঞান বিশারদের মতামত উদ্ধৃত করেন:
সর্বশ্রেষ্ঠ রজনী হলো মহানবী (ﷺ)-এর বেলাদতের রাত, এরপর কদরের রাত; অতঃপর তাঁর মে’রাজে গমনের রাত, এরপর ‘আরাফাতের (ময়দানের) রাত; অতঃপর (প্রতি) শুক্রবারের রাত, এরপর ১৫ই শা’বানের (মানে শবে বরাতের) রাত; আর এরপর হলো ঈদের রাত। [ইমাম ইবনে আবেদীন কৃত ‘রাদ্দুল মোহতার ‘আলা দুর্র আল-মোখতার ‘আলা তানউইর আল-আবসার’, ২:৫১১; আল-শিরওয়ানী প্রণীত ‘হাশীয়া ‘আলা তোহফাত আল-মোহতাজ বি-শারহে আল-মিনহাজ’, ২:৪০৫; এবং আল-নাবহানী রচিত ‘জওয়াহির আল-বিহার ফী ফাদাঈল আল-নাবী আল-মোখতার, ৩:৪২৬]
৩. ইমাম ইউসূফ নাবহানী (বেসাল: ১৩৫০ হিজরী) তাঁর সুবিখ্যাত সেরা গ্রন্থ ‘আল-আনওয়ারুল মুহাম্মদিয়্যা ফীল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়্যা’র ২৮ পৃষ্ঠায় লেখেন:
ওয়া লায়লাতু মওলিদিহি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা) আফযালু মিন লায়লাতিল ক্বাদরি – অর্থাৎ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বেলাদতের রাত কদরের রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।
৪. মুহাম্মদ আবদুল হাই ফারাঙ্গী মহল্লী লাখনাভী (১২৬৪-১৩০৪ হিজরী) মহানবী (ﷺ)-এর বেলাদতের রাত সেরা, না কদরের রাত সেরা, এই প্রশ্নের জবাবে লেখেন:
অন্যান্য রাতের চেয়ে লায়লাতুল ক্বদরের শ্রেষ্ঠত্ব ধর্মশাস্ত্রলিপিতে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং অনেক উপায়েও প্রমাণিত। যেমন (ক) এই রাতে রূহ ও ফেরেশ্তামণ্ডলী জমিনে নেমে আসেন; (খ) সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত আল্লাহর তাজাল্লী (বিশেষ প্রকাশ) নিম্ন আসমানে অবতীর্ণ হয়; (৩) এই রাতে আল-লওহ আল-মাহফূয (সংরক্ষিত লিপি) হতে নিম্ন আসমানে আল-ক্বুরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। এসব বৈশিষ্ট্যের সূত্রে উম্মতে মুহাম্মদীয়্যা’কে এ সান্ত্বনা দেয়া হয়েছে যে এই রাতটি এক হাজার মাসের এবাদত-বন্দেগী হতেও উত্তম। আল্লাহতা’লা এরশাদ ফরমান: “ক্বদরের রাত হাজার মাস থেকে উত্তম” [আল-ক্বুরআন, ৯৭:৩]। এ রাতে জাগ্রত থাকা (ও এবাদত করা)’র প্রতি হাদীস শরীফে তাকিদ দেয়া হয়েছে। কতিপয় মুহাদ্দেসীন (হাদীসশাস্ত্রবিদ) লায়লাতুল ক্বদরের চেয়ে মওলিদুন্নবী (ﷺ)-এর রাতকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করেছেন; তাঁদের মত এটা নয় যে এবাদতের ক্ষেত্রে মীলাদুন্নবী (ﷺ)-এর রাত ক্বদরের রাতের সমকক্ষ, কেননা সওয়াব (পুরস্কার) ও শাস্তির বিষয়গুলো শুধু আল-নস আল-ক্বাতেঈ তথা সুস্পষ্ট প্রামাণ্য দলিল দ্বারাই নির্ধারণ করা সম্ভব। বরঞ্চ তাঁর সম্মানিত বেলাদতের রাত ক্বদরের রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ হওয়ার ভিত্তি আল্লাহর দৃষ্টিতে এর আপন (অনুপম) বৈশিষ্ট্যেরই সুবাদে। [আব্দুল হাই লাখনাভী কৃত ‘মাজমূ’আ আল-ফাতাওয়া’, ১:৮৬-৮৭]
লায়লাতুল ক্বদরের উৎকর্ষ হচ্ছে এই রাতে ক্বুরআন মজীদ অবতীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি ফেরেশতামণ্ডলীও অবতীর্ণ হয়েছিলেন। অপরদিকে, মহানবী (ﷺ)-এর সত্তা মোবারক এতোই অনুপম বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত যে তাঁরই প্রতি কুরআন নাযেল হয়; আর প্রতি সকালে ৭০,০০০ ফেরেশতা তাঁর পবিত্র রওযা পাক নিরন্তর যেয়ারত, এর তওয়াফ এবং তাঁর প্রতি দরুদ-সালাম পাঠ করে থাকেন; অপর ৭০,০০০ ফেরেশতা একই কাজ করেন সন্ধ্যায়। এই রীতির অনুশীলন শেষ বিচার দিবস পর্যন্ত চলতে থাকবে এবং যে ফেরেশতা একবার এরকম যেয়ারত করতে সক্ষম হবেন, তিনি আর দ্বিতীয়বার তা করার সুযোগ পাবেন না [ইবনে মুবারক প্রণীত ‘আল-যুহদ’, ৫৫৮ পৃষ্ঠা #১৬০০; আল-দারিমী রচিত ‘আল-সুনান’, ১:৫৭ #৯৪; আল-ক্বুরতুবী লিখিত ‘আল-তাযকিরা ফী উমূর আহওয়াল আল-মাওতা ওয়া উমূর আল-আখিরা’, ‘মহানবী (ﷺ)-এর রওযা হতে পুনরুত্থান’ শীর্ষক অধ্যায়, ২১৩-২১৪ পৃষ্ঠা; আল-নাজ্জার কৃত ‘আল-রাদ্দ ‘আলা মান এয়াক্বূল আল-ক্বুরআন মাখলূক্ব’, ৬৩ পৃষ্ঠা #৮৯; ইবনে হিব্বান রচিত ‘আল-’আযামা’, ৩:১০১৮-১০১৯ #৫৩৭; আল-আযদী প্রণীত ‘ফযল আল-সালাত ‘আলা আল-নাবী’, ৯২ পৃষ্ঠা #১০১; আল-বায়হাক্বী লিখিত ‘শুআব আল-ঈমান’, ৩:৪৯২-৪৯৩ #৪১৭০; আবূ নু’আইম কৃত ‘হিলইয়া আল-আউলিয়া ওয়া তাবাক্বাত অাল-আসফিয়্যা’, ৫:৩৯০; ইবনে জাওযী রচিত ‘আল-ওয়াফা’ বি-আহওয়াল আল-মুস্তফা’, ৮৩৩ পৃষ্ঠা #১৫৭৮; ইবনে আল-কাইয়্যেম আল-জাওযিয়্যা প্রণীত ‘জালা’ আল-আফহাম ফী আল-সালাত ওয়া আল-সালাম ‘আলা খায়র আল-আনাম’, ৬৮ পৃষ্ঠা #১২৯; আল-সামহূদী লিখিত ‘ওয়াফা’ আল-ওয়াফা’ বি-আখবার দার আল-মুস্তাফা’, ২:৫৫৯; ইমাম কসতলানী কৃত ‘আল-মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়্যা বি-মিনাহ আল-মুহাম্মাদিয়া’, ৪:৬২৫; ইমাম আল-সুয়ূতী রচিত ‘কেফায়া আল-তালেব আল-লাবীব ফী খাসা’য়েস আল-হাবীব’, ২:৩৭৬; আল-সালেহী প্রণীত ‘সুবুল আল-হুদা ওয়া আল-রাশাদ ফী সীরা খায়র আল-’এবাদ’, ১২:৪৫২-৪৫৩; এবং আল-যুরক্বানী লিখিত ‘শরহে মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়া বি আল-মিনাহ আল-মুহাম্মদিয়া’, ১২:২৮৩-২৮৪]। ফেরেশতামণ্ডলী অবতীর্ণ হয়ে মহানবী (ﷺ)-এর দরবারে বিনয়ী খাদেমের মতো প্রবেশ করে থাকেন। তাঁদের অবতীর্ণ হওয়াতে লায়লাতুল ক্বদর হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছে; পক্ষান্তরে, মহানবী (ﷺ)-এর ধরাধামে শুভাগমনের রাতের শ্রেষ্ঠত্ব উপলব্ধি করা অসম্ভব ব্যাপার এবং তা কল্পনারও অতীত! মওলিদুন্নবী (ﷺ)-এর ওই রাতের খাতিরে অসংখ্য, অগণিত রাত উৎসর্গিত হোক!
এখানে মনে রাখার মতো আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, লায়লাতুল ক্বদরের ফযীলত কেবলমাত্র ঈমানদার মুসলমানদের জন্যেই খাস (সুনির্দিষ্ট); কিন্তু মওলিদুন্নবী (ﷺ) স্রেফ ঈমানদারদের জন্যে নির্দিষ্ট নয়, বরঞ্চ তা সমগ্র মানবজাতির জন্যেই বরাদ্দ।
__________________
মওলিদুন্নবী (ﷺ)-এর উদযাপন ও অনুমতি (১ম খণ্ড)
মূল: শায়খুল ইসলাম ড: মুহাম্মদ তাহিরুল কাদেরী
অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন