পবিত্র আয়াতে কোরআন দ্বারা দরূদ পড়ার ব্যাপকতা

 

পবিত্র আয়াতে কোরআন দ্বারা দরূদ পড়ার ব্যাপকতা

❏ আল্লাহ্ পাক কালামে পাকে ইরশাদ করেন:

إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيْمًا .

অর্থাৎ- নিশ্চয়ই আল্লাহ্পাক এবং তাঁর সকল ফেরেশতা অদৃশ্য জ্ঞানের সংবাদদাতা নবী করীম (ﷺ)-এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ করেন। (অতএব) ওহে ঈমানদারগণ! তোমরা সেই নবী    মুস্তফা (ﷺ)-এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ কর এবং সালামের মত সালাম দাও।


উক্ত আয়াতে করীমাটি সর্বসাকুল্যতার ব্যাপারে একক (মুতলাক্ক) অর্থাৎ- আল্লাহর এই নির্দেশগুলি কোন সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর নিবদ্ধ বা সীমিত নয়। উচ্চস্বরে, নীচ স্বরে, দাঁড়ানো, বসায়, স্থান, কাল ইত্যাদি কোন অবস্থা বা কোন প্রকারের কথার উলে­খ নাই। সুতরাং শরীয়তের নিষেধাজ্ঞা বা প্রতিবন্ধকতার কারণ না থাকলে নির্দ্বিধায় যে কোন অবস্থায় খুশি মত নবী মুস্তফা (ﷺ)-এর উপর দরূদ পাঠ করা জায়েজ ও মুস্তাহাব প্রমাণিত হল। সমগ্র উম্মতে ইজাবত বা যারা প্রিয়নবী (ﷺ)-এর আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন অর্থাৎ সমস্ত ঈমানদার নবী মুস্তফা (ﷺ)-এর করুণাকামী। তাঁরই দুয়ারের ভিখারী। তাই সর্বপ্রকার মঙ্গল ও উন্নতির সোপান হল রাসূলে পাক (ﷺ)-এর উপর দরূদ পাঠ করা।



صلوا عليه وسلموا : قوله تعالى


❏ ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী রাহমাহুল বারী الاقتداء بالمخالف নামক কিতাবে বর্ণনা করেছেন:


ومن المعلوم ان الاصل فى كل مسئلة هو الصحة واما القول بالفساد والكراهة فيحتاج إلى حجة من الكتاب والسنة اواجماع الامة .


জ্ঞাতব্য যে- প্রত্যেক মাসআলা মূলত বিশুদ্ধভাবে হওয়াই ছহীহ্ আর প্রত্যেক নিষিদ্ধ ও মাকরূহ বলার ক্ষেত্রে কোরআন, সুন্নাহ কিংবা ইজমায়ে উম্মাত (সকলের ঐক্যমত) এর দলিলের প্রয়োজন।



আর এখানে صلوا عليه وسلموا সাধারণভাবে উলে­খ রয়েছে। যেখানে স্থান-কালের কোন নির্ধারণ নাই। কাজেই আজানের আগে-পরে দরূদ শরীফ পাঠ করা অতীব ছওয়াবের কাজ এবং তা জায়েয হওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ নাই। তবে আজানের বাক্যের সাথে সম্পৃক্ত না হওয়ার দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা আবশ্যক।


বর্তমান ফিৎনা-ফ্যাসাদের যুগ। অনেক মসজিদে ইমাম বদ্আক্বীদার লোক হবে। এমনকি কাদিয়ানী, শিয়া, খারেজী ইত্যাদি সম্প্রদায়ের লোকগণও আজান দিয়ে থাকে। লোকগণ ধোঁকায় পতিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। কাজেই যখন আজানের আগে-পরে দরূদ শরীফ পাঠ করবে তখন ছহীহ্ আক্বীদা পোষণকারীদের জ্ঞাত হওয়া যাবে কোনটি বিশুদ্ধ আক্বীদার মসজিদ, আর কোনটি নয়। যাতে করে বিশুদ্ধ আক্বীদাপন্থীদের সাথে নামাজ আদায় করতে পারে। বদ আক্বীদাপন্থীদের থেকে পরহেজ থাকতে পারে।



❏ ‘কাশফুল ইরতিয়াব’ গ্রন্থে ১৪৪ পৃষ্ঠায় উলে­খ আছে:


الادلة الشرعية بعمومها او اطلاقها على استحباب الصلواة على النبى صلّى الله عليه وسلّم فى اى وقت كان .


সাধারণভাবে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নবী করীম (ﷺ)-এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ করা যে কোন সময়ে যে কোন স্থানে যখনই হউক না কেন তা মোস্তাহাব নিষিদ্ধ সময় ব্যতীত।

_________________

কিতাবঃ আযানের আগে দরূদ পড়া জায়েয

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল-কাদেরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)

অনুবাদঃ গোলাম মোহাম্মদ খান সিরাজী

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন