বুখারী ও মুসলিম শরীফের বর্ণনা এবং নবীর সুপারিশ হইবে মর্মে উক্তি দ্বারা প্রমাণিত আবু তালেব মু’মিন ছিলেন

 বুখারী ও মুসলিম শরীফের বর্ণনা এবং নবীর সুপারিশ হইবে মর্মে উক্তি দ্বারা প্রমাণিত আবু তালেব মু’মিন ছিলেন

❏ নিবরাছের গ্রন্থকারের বাণী, كما فى صحيح البخارى ومسلم (যেমন ছহীহ বোখারী ও মুসলিম শরীফে উল্লেখ আছে।) উহা অযথার্থ ও ত্র“টিপূর্ণ। কেননা, উক্ত কিতাবের মধ্যে এই রকম আছে যে, তিনি দ্বীনে আবদিল মোত্তালিবের উপর ছিলেন এবং তিনি (আবদুল মোত্তালিব) মুমিন ছিলেন। যেমন আল্লামা ছুয়ূতী (رحمة الله) উহা স্বীকার করিয়াছেন এবং অধিক ওলামা, ফোজলা, আউলিয়া, মোহাদ্দেসীনগণ ও ফোকাহগণ তাঁহার সম্বন্ধে অনেক প্রবন্ধ সংকলন করিয়াছেন। যাহা কাহারো কাছে লুক্কায়িত নয়।

❏ তথাপি বোখারীর মধ্যে ইহাই আসিয়াছে যাহা তিনি মুমিন হওয়াকে নিদর্শিত ও প্রমাণিত করে। উহা এই যে,

ان النبى صلّى الله عليه وسلّم قال لعله شفاعتى وفى رواية انه كان يحفظك وينصرك الخ فهل بنفعه ذالك قال نعم الحديث .

অর্থাৎ- নবী করিম (ﷺ) ফরমাইয়াছেন, উহা সম্ভবত আমার সুপারিশ হইবে। অন্য বর্ণনায় আছে যে, তিনি (আবু তালেব) আপনাকে (নবীকে) রক্ষণা ও সাহায্য করিতেন ইত্যাদি। উহা কি তাহার উপকারে আসিবে? হুজুর (ﷺ) প্রত্যুত্তরে হ্যাঁ বলিলেন। আল-হাদিস।

ইহা এই কথার উপর নিদর্শিত করিতেছে যে, তিনি মুমিন ছিলেন। তিনি যদি মুমিন না হইতেন সুপারিশ কি করিয়া হইতে পারে?

❏ কাফেরদের ব্যাপারে আল্লাহ্ রাব্বুল ইজ্জত ইরশাদ করিয়াছেন,

لاتنفعهم شفاعة الشافعين وفى مقام اخر لايخفف عنهم العذاب ولاهم ينصرون .

অর্থাৎ- সুপারিশকারীগণের সুপারিশ তাহাদের (কাফেরদের) উপকারে আসিবে না।

❏ অন্যত্রে বলা হইয়াছে, তাহাদের হইতে যন্ত্রণা ও পীড়ন লঘু করা যাইবে না এবং কাহারো পক্ষ হইতে তাহারা সাহায্যকৃতও হইবে না।

তথাপিও হুজুর (ﷺ) এর সুপারিশ তাহাকে আধিক্য করিবে। অতঃপর তাহার শাস্তি লঘু হইয়া যাইবে। আরও জ্ঞাত হওয়া যায় যে, আল্লাহর সহিত কেহ বহুত্ত্ববাদী করিলে আল্লাহ্ তায়ালা সেই ব্যক্তিকে ক্ষমা করিবেন না। মুশরিককে যখন ক্ষমা করা যাইবে না তখন সেই মুশরিক সুপারিশের অধিকারী হইবে না। কেননা, যে কোন যন্ত্রনা পাপের পরিবর্তে হইয়া থাকে। সেই অন্যায় বা পাপ যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমা করা হয় না, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই শাস্তিকেও তুলিয়া লওয়া হয় না যাহা অন্যায়ের মোকাবিলায় গঠিত হয়। আবার যখন বহুত্ববাদীকে ক্ষমা করা হয় না। তখন ইহা বিশ্বস্ত হয় যে, সুপারিশকারীগণের সুপারিশ তাহাকে উপকৃত করিবে না।

الشافعين 

(আশ্শাফিয়ীনা) ইহা বহুবচন এবং لام (লাম) হরফ দিয়া সজ্জিত করা হইয়াছে। অতঃপর উহা সাধারণের উপকার দিবে, যাহাতে সমস্ত সুপারিশকারীগণ প্রবিষ্ট ও অন্তর্ভূক্ত হইতে পারে। সুতরাং নবী করিম (ﷺ) এর সুপারিশ সুপারিশকারীগণের সুপারিশের অন্তর্ভূক্ত হইবে। কেননা তিনি হুজুর (ﷺ) এর পুণ্যাত্মা ও সত্যবাদী। অতঃপর অন্য সুপারিশকারীগণের সুপারিশ যেমন কাফেরদেরকে উপকৃত করিবেনা তদ্রূপ নবী করিম (ﷺ) এর সুপারিশও তাহাদের উপকারে আসিবে না। অথচ হুজুর (ﷺ) এর সুপারিশ আবু তালেবকে উপকৃত করিবে। যেমন ছহীহ বোখারী ও মুসলিমের মধ্যে বর্ণিত আছে। অতএব, তাহার শাস্তি লঘু করা হইবে। যেমন হাদীসের কিতাবসমূহে বর্ণিত রহিয়াছে। সুতরাং বুঝা গেল, তিনি মুমিন ছিলেন।

________________

নবী করীম (ﷺ) এর চাচা আবু তালেবের নাজাত সম্পর্কে বর্ণনা

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল-কাদেরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন