দ্বীনের দাওয়াত কারা দিবে?
১। সুরা মায়িদা: ৬৭-"হে রাসূল! আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে, তা আপনি প্রচার করুন।
মন্তব্যঃ এ আদেশ শুধু হুজুর (ﷺ)-এর জন্য খাস ছিল।
২। সূরা তাহরীম। ৬-"হে ঈমানদারগণ! তােমরা তােমাদের নিজেদেরকে এবং তােমাদের পরিবারবর্গকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও।
মন্তব্য-এ আদেশ আল্লাহ শুধু ঈমানদার বান্দাদেরকে নিজে। এবং নিজেদের পরিবারবর্গকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানাের কথা বলেছেন।
৩। সুরা আলে-ইমরান: ১০৪-"তােমাদের মধ্যে একদল এমন হওয়া উচিত যারা কল্যাণ ও ইসলামের দিকে লােকদেরকে আহবান করবে, সক্কাজের নির্দেশ দিবে এবং মন্দ থেকে নিষেধ করবে। আর তারাই হচ্ছে কামিয়াব বা সফলকাম।"
মন্তব্য-(তৃতীয় নম্বর সূত্রের ক্ষেত্রে) প্রথমত এ আদেশ হচ্ছে ফরজ, কিন্তু ফরজে কেফায়া। অর্থাৎ একদল করলে সকলের ফরজ হক আদায় হয়ে যাবে (তাফসিরে বায়জাভী, তাফসিরে জালালাইন ও তাফসিরে কুরতুবী সহ অনেক তাফসিরে বলা হয়েছে এটা আলিমদের জন্য প্রযােজ্য এবং ওয়াজিব)। দ্বিতীয়ত: আল্লাহ শুধু একদল লােককে দ্বীনের প্রচারের জন্য বলেছেন, সবাইকে নয়। এরা হলেন হক্কানী আলেম বা নায়েবে রাসূলগণ। আর যখন কাজটি গণহারে আম জনতা বা অনুপযুক্ত লােক দ্বারা পরিচালিত হবে, তখন হাদিস অনুসারে মনে করতে হবে এটি কেয়ামতের আলামত।
__________________
কিতাবঃ ইসলামী তাবলিগ বনাম বর্তমান তাবলিগ
সংকলকঃ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আলম (অবঃ)
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন