হুজুর (ﷺ)-কে সম্বোধন করে ছালাত ও ছালাম পাঠ করার বিধান
এখন কথা হলো, হুজুর পাক (ﷺ)-কে সম্বোধন করে ছালাত-ছালাম পড়া।
❏ এটা অবশ্য আল্লাহপাকের বাণী হতে প্রমাণিত হয় যে,
صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
(তাঁর প্রতি দরূদ পড় ও ছালামের মত ছালাম পরিবেশন কর)। যারই প্রেক্ষিতে নামাজে তাশাহুদ পাঠকালে সম্বোধন করে ছালাম দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ফেকাহ্শাস্ত্রবিদ ও হাদীস বিশেষজ্ঞদের মতে সম্বোধন সহকারে ছালাত ও ছালাম পড়া জায়েয।
নূরনবী (ﷺ)-এর রওজা মোবারকে ‘আচ্ছালাতু ওয়াচ্ছালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)’ এরূপ ‘ইয়া’ সম্বোধনসূচক শব্দ দ্বারা ছালাত ও ছালাম নিবেদন করার জন্য ফেকার কিতাবসমূহে উলেখ করা হয়েছে।
সুফি সম্প্রদায় হতে তো সর্বদা সম্বোধনসূচক শব্দ দ্বারা দরূদ শরীফ পড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়।
❏ হযরত ইমদাদুল্লাহ্ মুহাজেরে মক্কী (رحمة الله) যিনি সর্বদল স্বীকৃত ইসলামী মনীষী তিনি সম্বোধন করেই বলেছেনঃ
الصَّلواةُ وَالسَّلامُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ الله
(হে নবী আপনার উপর ছালাত ও ছালাম)।
কেউ কেউ বলে থাকে এটা اتصال معنوى বা অর্থগত সামঞ্জস্য له الخلق والامر (সৃষ্টি ও নির্দেশ) আলমে আমর বা নির্দেশ জগতে নির্দিষ্ট কোন দিক কিংবা দূরে ও নিকটে এগুলো কিছুই নাই। সুতরাং উক্ত সালামের উত্তর প্রদানে সন্দেহের অবকাশ নাই।
شماع امدادية (পৃষ্ঠা-৫২)
এ বিষয়ের উপর অতিরিক্ত বিশেষণের জন্য আমার লিখিত কিতাব ‘ফজায়েলে দরূদ শরীফ’ ও আত্তাহ্কীকুল আ’জীব আ’লা সালাতিন নবীয়্যীল হাবীব (ﷺ) দেখুন। বাজে লোকের ধারণা যে, হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (رحمة الله) জাহেরী এলমে অভিজ্ঞ ছিলেন না। তাই তাঁর কথায় শরীয়তের নির্দেশ সাব্যস্ত হবে না। তাহলে আমি ঐ সমস্ত লোকের নিকট আরজ করব তারা যেন-
❏ মুহাজিরে মক্কী শাহ সাহেবকে ঐ সব খোদার প্রিয় বান্দাদের মধ্যে ধরে নেয় যাদের সম্পর্কে প্রিয়নবী (ﷺ)-এর হাদীস বিদ্যমান আছে:
اذا احب الله عبدا علمه من غير تعلم .
অর্থাৎ- ‘যখন আল্লাহ্পাক কোন বান্দার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন তখন তাঁকে প্রকাশ্যভাবে বিদ্যা অর্জন ব্যতীত এলম দান করে থাকেন।’
যদিওবা তিনি জাহেরীভাবে আলেম ছিলেন না তথাপিও দেওবন্দী আলেম ছাড়া ভারতের প্রখ্যাত ও প্রসিদ্ধ আলেমগণ তাঁর হাত মোবারকে হাত দিয়ে বায়েত গ্রহণ করেন। তন্মধ্যে বাহরুল উলুম হযরত মাওলানা আবদুছ ছমী শাহ সাহেব যিনি আনোয়ারে ছাতেয়া কিতাবের রচয়িতা এবং উস্তাদে জমানা হযরত মাওলানা শাহ আহমদ হোসাইন কানপুরী বিশেষভাবে উলেখযোগ্য।
_________________
কিতাবঃ আযানের আগে দরূদ পড়া জায়েয
রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল-কাদেরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)
অনুবাদঃ গোলাম মোহাম্মদ খান সিরাজী
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন