শীতের রাতে ৪০ বার গোসল


‘বাহ্জাতুল আহ্বার শরীফে রয়েছে: ছরকারে বাগদাদ, হুযূরে  গউসে পাক (رحمة الله) বলেন:اَلْحَمْدُ اللهِ عَزَّوَجَلَّ  আমি কারখের জঙ্গল গুলােতে অনেক বছর অবস্থান করেছি। আমি সেখানে গাছের পাতা ও ঘাসের চারা খেয়ে জীবন যাপন করতাম। আমার পরিধানের জন্য এক ব্যক্তি প্রতি বৎসর সুতার তৈরী একটি জুব্বা দিয়ে যেতেন। আমি দুনিয়ার মােহ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য হাজার চেষ্টা করেছি, আমি একা ও চিন্তিত অবস্থায় থেকেছি। আমার নীরবতার কারণে লােকেরা আমাকে বােবা ও পাগল বলত। কখনাে কখনাে কাঁটার উপর খালি পায়ে চলতাম, ভয়ানক গুহা ও ভীতিপ্রদ উপত্যকা সমূহে নির্ভয়ে ঢুকে পড়তাম।  দুনিয়া সজ্জিত হয়ে আমার সামনে প্রকাশ হত, কিন্তু اَلْحَمْدُ اللهِ عَزَّوَجَلَّ  আমি সেটার প্রতি মনােনিবেশ করতাম না। আমার নফস কখনাে আমার সামনে বিনয়ী ভাব প্রকাশ করত যে, আপনার যা ইচ্ছা তাই করুন। আবার কখনাে আমার সাথে ঝগড়া করত। আল্লাহ আমাকে সেটার উপর বিজয় দান করতেন। আমি অনেক দিন পর্যন্ত ‘মাদায়েন' এর বনে অবস্থান করেছি, আর সেখানে নিজের নফসকে সাধনায় নিয়ােজিত করে রেখেছিলাম। এক বৎসর যাবত পতিত বস্তু সমূহ কুড়িয়ে আহার করতাম ও পানি মােটেই পান করতাম না। অতঃপর এক বৎসর শুধুমাত্র পানি দ্বারা জীবন ধারণ করতাম আর পতিত বস্তু কিংবা অন্য কোন খাদ্য খেতাম না। এরপর এক বৎসর কোন কিছু পানাহার করা ব্যতীত উপবাস অবস্থায়  জীবন অতিবাহিত করতাম। সে সময় আমার উপর কঠিন পরীক্ষা আসত। একবার প্রচন্ড শীতের রাতে এভাবে আমার পরীক্ষা নেয়া হল যে, বার বার চোখে ঘুম আসত আর আমার উপর গােসল ফরয হয়ে যেত। আমি তৎক্ষণাৎ নদীতে যেতাম আর গােসল করে নিতাম। এভাবে এক রাতে শীতের প্রচন্ড (হাঁড় কাঁপানাে) ঠান্ডায় ৪০ বার আমি ঠান্ডা পানি দিয়ে গােসল করেছি। (বাহজাতুল আসরার, ১৬৪, ১৬৫ পৃষ্ঠা)। 


আল্লাহ্ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হােক এবং তাঁর সদকায় আমাদের ক্ষমা হােক।

_______________

কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন