সমস্ত নবীগণ জীবিত এবং রাসূল (ﷺ)’র ইলম-
❏ হযরত সায়্যিদুনা আনাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, রাসূূল (ﷺ) ইরশাদ করেন,
وَفِي رِوَايَةِ هَدَّابٍ: مَرَرْتُ - عَلَى مُوسَى لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي عِنْدَ الْكَثِيبِ الْأَحْمَرِ، وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي قَبْرِهِ
-‘‘মি’রাজ রজনীতে লালটিলার পাশ দিয়ে আমি অতিক্রম করেছি, তখন হযরত মূসা (عليه السلام) তাঁর কবরে দাঁড়িয়ে নামায পড়ছিলেন।’’ ১৩৭
{১৩৭. সহীহ মুসলিম শরীফ, ৪/১৮৪৫ পৃ., হা/২৩৭৫, পরিচ্ছেদ: بَابُ مِنْ فَضَائِلِ مُوسَى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ}
আক্বিদা
আল্লাহর নাবীগণ জীবিত এবং নিজেদের কাবর শরীফে নামায পড়েন। এটাও বুঝা গেল যে, নাবী পাক (ﷺ) কবরের ভিতরের অবস্থা জানেন, যার সম্পর্ক গায়বের সাথে। এ জন্যই তো তিনি বলেন-
هُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي قَبْرِهِ
-‘তিনি তাঁর কাবরে দাঁড়িয়ে নামায পড়ছেন।’ ১৩৮
{১৩৮. সমস্ত নবি ওফাতের পর তাঁদের নিজ নিজ সমাধিতে জীবিত এবং সেখানে তাঁরা নামাজ পড়েন, এটাই সাহাবায়ে কেরামদের সুপ্রসিদ্ধ আকিদা ছিল। ইমাম বায্যার (رحمة الله)সহ এক জামাত ইমামগণ সংকলন করেন-
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: الْأَنْبِيَاءُ أَحْيَاءٌ فِي قُبُورِهِمْ يُصَلُّونَ-
-‘‘হযরত আনাস বিন মালিক (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন : নিশ্চয় আম্বিয়ায়ে কিরাম () তাঁদের নিজ নিজ কবরে জীবিত এবং তারা সেখানে নামায আদায় করেন।’’ (ইমাম আবু ই‘য়ালা : আল-মুসনাদ : ৬/১৪৭ পৃ: হাদিস/৩৪২৫, ইমাম বায়হাকী : হায়াতুল আম্বিয়া : ৬৯-৭০পৃ., ইমাম নুরুদ্দীন হায়সামী : মাযমাউদ যাওয়াইদ : ৮/২১১পৃ. হাদিস/১৩৮১২, ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী : তবকাতে ইস্পাহানী : ২/৪৪ পৃ:, ইমাম আদী : আল কামিল : ২/৭৩৯ পৃ:,ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতী: আল-জামেউস সগীর : ১/২৩০ পৃ: হাদিস- ৩০৮৯, ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতী: শরহুস সুদূর: পৃ. ২৩৭, আহলে হাদিস নাসিরুদ্দীন আলবানী: সিলসিলাতুস সহীহাহ: হাদিস/৬২২, আহলে হাদিস নাসিরুদ্দীন আলবানী : সাহীহুল জামে : হাদিস নং- ২৭৯০, দায়লামী, আল-ফিরদাউস, ১/১১৯পৃ. হাদিস/৪০৩) আল্লামা নুরুদ্দীন ইবনে হাজার হাইসামী (رحمة الله) বলেন-
رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى وَالْبَزَّارُ، وَرِجَالُ أَبِي يَعْلَى ثِقَاتٌ.
-‘‘এ হাদিসের সকল রাবি সিকাহ বা বিশ্বস্ত।’’ (হাইসামী, মাযমাউয-যাওয়াইদ, ৮/২১১পৃ. হা/১৩৮১২) এজন্যই ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ূতি (رحمة الله) (ওফাত.৯১১হি.) তার সুপ্রসিদ্ধ কিতাব [أَنْبَاءُ الْأَذْكِيَاءِ بِحَيَاةِ الْأَنْبِيَاءِ] এর ৭ পৃষ্ঠায় মুসলিম উম্মাহর আক্বিদা লিখেছেন-
النَّظَرِ فِي أَعْمَالِ أُمَّتِهِ وَالِاسْتِغْفَارِ لَهُمْ مِنَ السَّيِّئَاتِ، وَالدُّعَاءِ بِكَشْفِ الْبَلَاءِ عَنْهُمْ، وَالتَّرَدُّدِ فِي أَقْطَارِ الْأَرْضِ لِحُلُولِ الْبَرَكَةِ فِيهَا، وَحُضُورِ جِنَازَةِ مَنْ مَاتَ مِنْ صَالِحِ أُمَّتِهِ، فَإِنَّ هَذِهِ الْأُمُورَ مِنْ جُمْلَةِ أَشْغَالِهِ فِي الْبَرْزَخِ كَمَا وَرَدَتْ بِذَلِكَ الْأَحَادِيثُ وَالْآثَارُ ـ
-‘‘‘উম্মতের বিবিধ কর্ম কাণ্ডের প্রতি দৃষ্টি রাখা, তাদের পাপরাশির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, তাদের বালা মসিবত থেকে রক্ষা করার জন্য দুআ করা, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে আনাগোনা করা ও বরকত দান করা এবং নিজ উম্মতের কোন নেক বান্দার ওফাত হলে তার জানাযাতে অংশগ্রহণ করা, এগুলোই হচ্ছে হুযুর (ﷺ) এর সখের কাজ। অন্যান্য হাদিস থেকেও এসব কথার সমর্থন পাওয়া যায়।’’ (ইমাম সুয়ূতি, আল-হাভী লিল ফাতওয়া, ২/১৮৪-১৮৫পৃ. দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার লিখিত ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’’ এর ১ম খণ্ডের ৪০৭-৪১১ পৃষ্ঠা দেখুন। ইনশাআল্লাহ আপনাদের সঠিক বিষয়টি বুঝে আসবে।}
____________________
আকাইদে সাহাবাহ
(সাহাবায়ে কিরামদের সাথে সুন্নি আক্বিদার সাদৃশ্য)
মূল:আল্লামা আবুল হামিদ মুহাম্মদ যিয়াউল্লাহ
ক্বাদেরী আশরাফী (رحمة الله)
বঙ্গানুবাদ: মাওলানা হাফেয মুহাম্মদ আতিকুর রহমান
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন