নবী পাক (ﷺ)’র দোয়ার বারকাত

 

নবী পাক (ﷺ)’র দোয়ার বারকাত-


সায়্যিদুনা আনাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, আমার মা আমাকে রাসূল (ﷺ)’র খিদমাতে নিয়ে উপস্থিত হলেন এবং আরয করলেন-



هَذَا أُنَس ابْنِي، أَتَيْتُكَ بِهِ يَخْدُمُكَ فَادْعُ اللهَ لَهُ



এটা আমার পুত্র আনাস, আপনার কাছে তাকে নিয়ে এসেছি আপনার খিদমাত করার জন্য। আল্লাহর দরবারে তার জন্য আপনি দো‘আ করুন। তখন রাসূল (ﷺ) প্রার্থনা করেন-



اللهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ



-‘হে আল্লাহ তাকে অধিক সম্পদ এবং আওলাদ দান করুন।’


 


❏ খাদেমুর রাসূল (ﷺ) হযরত আনাস (رضي الله عنه) বলেন-



فَوَاللهِ إِنَّ مَالِي لَكَثِيرٌ، وَإِنَّ وَلَدِي وَوَلَدَ وَلَدِي لَيتَعَادُّونَ عَلَى نَحْوِ الْمِائَةِ، الْيَوْمَ



-‘আল্লাহর শপথ, আমার সম্পদ অনেক এবং আমার সন্তান ও নাতি-নাতনির সংখ্যা শতের কাছাকাছি পৌঁছেছে।’  ১৩৯


{১৩৯. সহীহ মুসলিম শরীফ, ৪/১৯২৯পৃৃ:, হা/২৪৮১, পরিচ্ছেদ:  بَابُ مِنْ فَضَائِلِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ, হযরত আনাস (رضي الله عنه)’র ফজিলত অধ্যায়। মুসনাদে আহমদ, ২০/৩১৫ পৃ. হা/১৩০১৩,  বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, ৩/৭৬ পৃ. হা/৪৯২৬, মুসনাদে আবি ই‘য়ালা, হা/৩২০০, মুসনাদে বায্যার, হা/৬৪২৩}



আক্বিদা


সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه) নিজেদের সন্তানদেরকে রাসূল (ﷺ)’র দরবারে পেশ করে তাদের জন্য দো‘আ চাইতেন। হযরত আনাস (رضي الله عنه) শপথ করে বলেন যে, রাসূল (ﷺ)’র দোয়ার বারকাতে আমার অধিক সম্পদ আর অধিক আওলাদ হয়েছে। কবি বলেন-



اجابت نے جہك كر  گلے سے لگايا


دلہن بن كے نكلى جب دعائ محمد



-‘‘কবুলিয়্যাত ঝুঁকে গলায় লাগলো,


হুযূর (ﷺ)-এর দো‘আ নব দুলহার ন্যায় কবুল করা হয়।’’



যে যাকে ভালবাসে সে তার সাথে থাকবে-



❏ সায়্যিদুনা হযরত আনাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন- এক বেদুঈন রাসূল (ﷺ) কে আরজ করলেন-



مَتَى السَّاعَةُ؟



কিয়ামত কখন হবে? রাসূল (ﷺ) বললেন-



وَمَاذَا أَعْدَدْتَ لَهَا؟



তুমি কিয়ামতের জন্য কী প্রস্তুত করেছ? তিনি বললেন-



قَالَ: لاَ شَيْءَ، إِلَّا أَنِّي أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ



আমার তেমন কোন কিছুই নেই, তবে আমি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ﷺ)-কে ভালবাসি। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন-



أَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ



‘যাকে তুমি ভালবাস, তাঁর সাথেই তুমি থাকবে।’



সায়্যিদুনা আনাস (رضي الله عنه) বলেন যে, ইসলাম গ্রহণ করার পর রাসূল (ﷺ)’র এই মুবারক বাণী ছাড়া অন্য কোন কিছুতে এতটা আনন্দিত হয়নি, যতটা এটা শুনে হয়েছি।



أَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ



তার সাথেই তুমি থাকবে, যাকে তুমি ভালবাস।



❏ সায়্যিদুনা হযরত আনাস (رضي الله عنه) বলেন-



فَأَنَا أُحِبُّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ، وَعُمَرَ، وَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ مَعَهُمْ بِحُبِّى إِيَّاهُمْ، وَإِنْ لَمْ أَعْمَلْ بِمِثْلِ أَعْمَالِهِمْ



-‘‘সুতরাং আমি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলে মকবুল (ﷺ), হযরত আবূ বকর (رضي الله عنه) এবং হযরত ওমর (رضي الله عنه) কে ভালবাসি। আর আমি আশা রাখি যে, তাদের সাথেই আমি থাকবো। যদিও আমি তাদের সমতুল্য আমল করতে পারিনি।’’  ১৪০


{১৪০ . সহীহ মুসলিম শরীফ, ৪/২০৩২ পৃ. হা/, ইমাম বুখারী, আস-সহীহ, ৫/১২ পৃ. হা/৩৬৮৮, খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ৩/১৩৯৫ পৃ. হা/৫০০৯, তাবরানী, মু‘জামুল আওসাত, হা/১৫২৭, মুসনাদে আহমদ, ১৯/১৩১ পৃ. হা/১২০৭৫, মুসনাদে আবি ই‘য়ালা, ৫/৩৭৩ পৃ. হা/৩০২৪, মুসনাদে বায্যার, হা/৬২৮৩, বুখারী, আদাবুল মুফরাদ, হা/৩৫১}



আক্বিদা


নবীয়ে পাক ছাহেবে লাওলাক (ﷺ)’র সাথে ভালবাসা, সাহাবায়ে কিরাম এবং আউলিয়ায়ে কেরাম সাথে ভালবাসা স্থাপনকারীগণ ক্ষতির মধ্যে থাকেন না। কিয়ামত দিবসে তাদের হাশর হবে নবী-রাসূল (ﷺ), সাহাবা এবং আউলিয়াদের সাথে।


তাদের সাথে ভালবাসা রাখার যখন এতো বেশি উপকার, সুতরাং তারা যখন সাথে থাকবেন তখন আরো বেশি বরকত মন্ডিত হবে।


অধিক ভালবাসা এটা তাঁদের পরলৌকিক জীবনের সাথে নির্দিষ্ট নয়। বুঝা গেল আউলিয়ায়ে কিরাম ইন্তেকালের পরও উপকার করতে পারেন।


____________________

আকাইদে সাহাবাহ

(সাহাবায়ে কিরামদের সাথে সুন্নি আক্বিদার সাদৃশ্য)

মূল:আল্লামা আবুল হামিদ মুহাম্মদ যিয়াউল্লাহ

ক্বাদেরী আশরাফী (رحمة الله)

বঙ্গানুবাদ: মাওলানা হাফেয মুহাম্মদ আতিকুর রহমান

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন