মসজিদে প্রবেশের সময় ডান পা দিয়ে প্রবেশ করবে। আর যদি জুতার মধ্যে ময়লা থাকে তা পরিষ্কার করে নিতে হবে। মসজিদে প্রবেশের সময় বিসমিল্লাহ পাঠ করবে। যাওয়ার সময় উপস্থিত সকলকে اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আস্-সালামু আলাইকুম) বলে সালাম দেবে। যদি মসজিদ খালি হয় কোন মুসল্লি না থাকে সে ক্ষেত্রে নিজের নফসকে সালাম বলবে অথবা اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ (আস্-সালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ্) বলে প্রবেশ করবে এবং মসজিদে প্রবেশর দু‘আ পড়বে।
অতঃপর কিবলার দিকে মুখ করে বসে যাবে। দুনিয়াবি কথা-বার্তা না বলে তাসবীহ, তাহমীদ ও ইস্তিগফার এবং দরূদ ও সালাম পাঠ করবে। খেলা-ধূলায় লিপ্ত হবে না এবং কোন প্রকার হৈ চৈ করবে না, হারানো বস্তু তালাশ করবে না। আর কোন বস্তু ক্রয়-বিক্রয় করবে না। মসজিদ হচ্ছে ইবাদাত বন্দেগীর জন্য পবিত্রতম স্থান। নামায ও ইবাদত শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় বাম পা দিয়ে বের হবে। বের হবার সময় বের হবার দু‘আটি পাঠ করবে।
মসজিদে প্রবেশের সময় দু‘আ
اَللّٰهُمَّ ا فْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ. وَالصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلٰى رَسُوْلِكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ .ِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাফ্তাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা। ওয়াস্সালাতু ওয়াস্সালামু আলা রাসূলিকা মুহাম্মাদিন্ (ﷺ)।
অর্থ: হে আল্লাহ্! আমার জন্য তোমার রহমতের দরজা খুলে দাও। রহমত, বরকত ও শান্তি বর্ষণ করুন তোমার রাসূল হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)ার উপর।
মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় দু‘আ
اللّٰهُمَّ اِنِّى أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ وَ رَحْمَتِكَ بَجَاهِ نَبِيِّكَ الْمُصْطَفٰى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ .
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা ওয়া রাহমাতিকা বা-যাহে নাবিয়ীকাল্ মুস্তফা- (ﷺ)।
অর্থ: হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট তোমার দয়া, রহমত ও বরকতের প্রার্থনা করছি, তোমার নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (ﷺ)ার উসিলা নিয়ে।
___________________
গাউছিয়া আজিজিয়া নামায শিক্ষা
রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (রহ)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন