বিভিন্ন ছহীহ হাদিস দ্বারা আবু তালেব সম্পর্কে আলোচনা

❏ ছহীহ হাদিসে আসিয়াছে,

عَنْ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ اِنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ هَلْ نَفَعْتَ أَبَا طَالِبٍ بِشَيْءٍ فَإِنَّهُ كَانَ يَحُوطُكَ وَيَغْضَبُ لَكَ قَالَ  صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ نَعَمْ هُوَ فِي ضَحْضَاحٍ مِنْ نَارٍ وَلَوْلَا أَنَا لَكَانَ فِي الدَّرَكِ الْأَسْفَلِ مِنْ النَّارِ .

অর্থাৎ- হযরত আব্বাস ইবনে আবদিল মোত্তালিব হইতে বর্ণিত আছে, তিনি অনুনয় সহকারে বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনি কি আবু তালেবকে কোন কিছু দ্বারা উপকৃত করিয়াছেন? তিনি যেহেতু আপনাকে সদয় ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতেন, হুজুর (ﷺ) প্রত্যুত্তরে বলিলেন হ্যাঁ! তিনি (আবু তালেব) জাহান্নামের সর্বোপর ভিত্তিতে রহিয়াছেন এবং আমি যদি না হইতাম তাহা হইলে তিনি নিশ্চয় জাহান্নামের নিম্নস্তরে থাকিতেন।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ سَمِعْتُ الْعَبَّاسَ يَقُولُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ إِنَّ أَبَا طَالِبٍ كَانَ يَحُوطُكَ وَيَنْصُرُكَ ويغضب لك فَهَلْ نَفَعَهُ ذَلِكَ قَالَ نَعَمْ وَجَدْتُهُ فِي غَمَرَاتٍ مِنْ النَّارِ فَأَخْرَجْتُهُ إِلَى ضَحْضَاحٍ .

❏ অর্থাৎ- হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হারেছ (رضي الله عنه) হইতে বর্ণনা করা হইয়াছে, তিনি বলিয়াছেন, হযরত আব্বাস (رضي الله عنه) ইহা বলিতে আমি শুনিয়াছি যে, আমি (আব্বাস) অনুনয়স্বরূপ বলিলাম, হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ)! আবু তালেব আপনার রক্ষণাবেক্ষণ করিতেন, আপনাকে সাহায্য করিতেন ও শত্র“দের কবল হইতে হেফাজত করিতেন। অতঃপর উহা কি তাঁহাকে উপকৃত করিবে? হুজুর (ﷺ) বলিলেন হ্যাঁ! আমি তাঁহাকে জাহান্নামের অধিক কষ্টের মধ্যে পাইয়াছি, তৎপর আমি তাঁহাকে সর্বোপরি ভিত্তিতে বাহির করিয়া দিয়াছি।

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذُكِرَ عِنْدَهُ عَمُّهُ أَبُو طَالِبٍ فَقَالَ لَعَلَّهُ تَنْفَعُهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُجْعَلَ فِي ضَحْضَاحٍ مِنْ النَّارِ يَبْلُغُ كَعْبَيْهِ يَغْلِي مِنْهُ دِمَاغُهُ .

❏ অর্থাৎ-হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) হইতে বর্ণিত আছে যে, হুজুর (ﷺ) ফরমাইয়াছেন, নরকবাসীদের মধ্যে শাস্তির পারগতায় আবু তালেব সহজতর হইবে এবং এমতাবস্থায় তিনি এমন দুইটি পাদুকা পরিধান করিবেন যাহা দ্বারা তাঁহার মস্তিষ্ক স্ফুটন মারিবে।

❏ শারেহীনগণ (ব্যাখ্যাকারী) বলিয়াছেন, হুজুর (ﷺ) এর সহিত তাঁহার স্বাভাবিক ও দৈহিক মুহাব্বত থাকার কারণে তিনি হুজুর (ﷺ) এর সুপারিশের অধিকারী হইবে এবং তাঁহাকে অনুগ্রহ করা হুজুর (ﷺ) এর দরবারে গৃহীত ছিল। হুজুর করিম (ﷺ) ফরমাইয়াছেন- ’عم الرجل صنوابيه‘  (মানুষের চাচা তাহাদের পিতার পরিবর্তে হইয়া থাকে।) সত্যিই ইহা হইতেও আমাদের দাওয়ার (দাবীর) অটলতা প্রমাণ হইতেছে।

দ্বিতীয়তঃ এইখানে শুধু মুহাব্বতে তাবয়ী (স্বাভাবিক মুহাব্বত) যাহা আপন ছেলেদের উপর মাতা-পিতার হইয়া থাকে উদ্দেশ্য নয় বরং উক্ত মুহাব্বত হচ্ছে মুহাব্বতে ঈমানী (ধর্মীয় মুহাব্বত) এবং মুহাব্বতে এরফানীর (আধ্যাত্মিক মুহাব্বত) উদ্দেশ্য ও বিরাজমান। কেননা, পিতা-মাতা ও ছেলেদের মধ্যে যেই মাত্র স্বাভাবিক মুহাব্বত হইয়া থাকে সেই মুহাব্বত দ্বারা পরকালে কোন উপকার হইবে না। অথচ এইখানে উহার বিপরীত, অর্থাৎ পরকালে উপকার হওয়া।

তৃতীয়তঃ আমরা যদি শুধু স্বাভাবিক মুহাব্বতকেও গ্রহণ করিয়া নিই তাহাতে কোন ক্ষতি নাই। বরং মোহাদ্দেসীন কেরাম হুজুর (ﷺ) এর সহিত স্বাভাবিক মুহাব্বতকেও ঈমানের মে’য়ার (নিদান) স্বীকৃতি দিয়াছেন এবং এই স্বাভাবিক মুহাব্বত হুজুর (ﷺ) এর সহিত প্রত্যেক মুমিনকে তাহার প্রাণ, ধন-সম্পদ এবং ছেলে-মেয়ে হইতেও অধিক হওয়া দরকার। ইহার উপর খোদার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা যাইতেছে যে, এই স্বাভাবিক মুহাব্বতের ব্যাপারে আবু তালেব তুলনাবিহীন। যাহা কাহারো নিকট লুকায়িত নয়।

❏ “নিবরাছ” নামক কিতাবের গ্রন্থকার ও অন্যান্য মনিষীগণ শিয়া ফেরকার বিদ্রোহী হইয়া যেই অস্বীকার করিয়াছেন তাহারা মূলত সে সমস্ত লোকদিগকে অস্বীকার করিয়াছেন যাহারা উক্ত মসয়ালাকে নিশ্চিত প্রস্তাব দিয়া উহাকে দ্বীনের প্রয়োজন সমূহের মধ্যে আনয়ন করিতেছে। যেমন- শিয়াগণ করিতেছে। ইহা নয় যে, তাহাদের এই কথা আহলে সুন্নতের পরিপন্থায়। যেহেতু আবু তালেবকে নরকী ও জাহান্নামী কাফের বলা ইহা হুজুর (ﷺ)কে কষ্ট দেওয়া ব্যতীত আর কিছু নয়।

হ্যাঁ! উক্ত মাসয়ালার মধ্যে যদি মোখালেফীনগণ সন্তোষ না হয় তখন চুপ থাকা আবশ্যক হইবে। অন্যথায় উহা দ্বারা যদি হুজুর (ﷺ) এর পবিত্র অন্তরে কষ্ট পৌঁছে তখন পুরা জীবনের সমস্ত আমল বিনষ্ট হইয়া যাইবে।

বন্ধুগণ! আপনারা দেখুন,

❏ “তাফসীরে বায়ানুল কোরআনের” মুছান্নিফ আশরাফ আলী থানভী সাহেব উক্ত কিতাবের ৮ম খন্ডের ১১৪পৃষ্ঠায় ’انك لاتهدى الخ‘ ‘ইন্নাকা লা তাহদী আল-আখের’ আয়াত প্রসঙ্গে লেখিতেছেন, তাফসীরে ‘রূহুল মায়ানীর’ মুফাচ্ছির বলিয়াছেন যে, অনর্থক উক্ত মাসয়ালার উপর সমালোচনা করা অথবা তাহাকে (আবু তালেবকে) খারাপ বলা ইহা অবশ্যই মহা মনিষীগণকে কষ্ট দেওয়া এবং হুজুর (ﷺ)কে কষ্ট দেওয়ার সম্ভাবনাও বিদ্যমান রহিয়াছে। অতঃপর সেই সমস্ত সমালোচনা হইতে বাঁচিয়া থাকা ভাল হইবে।

❏ তাফসীর ‘সাভী’,৩য় খণ্ডের ১৩৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,

قيل انه احى واسلم ثم مات ونقل هذا القول عن بعض الصوفية .

অর্থাৎ- কেহ কেহ বলিয়াছেন, তিনি (আবু তালেব) মৃত্যুর পরে জীবিত হইয়া ইসলাম গ্রহণ করিয়াছেন। অতঃপর ইন্তেকাল করিয়াছেন। ‘সাভী’ তাফসীরের তফসীরকার এই উক্তিকে কোন কোন ছুফী হইতেও বর্ণনা করিয়াছেন।

❏ তাফসীরে ‘রূহুল বায়ানে’ উল্লেখ আছে:

وقد جاء فى بعض الروايات ان النبى صلّى الله عليه وسلّم لما عاذ من حجة الوداع احى الله له ابويه وعمه فا منوا به، صفحه ৯৪২، جلد:২

অর্থাৎ- কোন কোন বর্ণনায় আসিয়াছে, নবী করিম (ﷺ) যখন বিদায় হজ্জে প্রার্থনা করিয়াছেন তখন আল্লাহ্ তায়ালা তাঁহার সামনে তাঁহার (নবীর) মাতা-পিতা ও চাচাকে জীবিত করিয়াছেন, অতঃপর তাঁহারা সকলে নবীর উপর ঈমান আনিয়াছেন। তাফসীরে রূহুল বায়ান ২য় খণ্ডের ৯৪২ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।

روى ان الله تعالى احى له صلّى الله عليه وسلّم اباه وامه وعمه ابا طالب وجده عبد المطلب. روح البيان، جلد: ১، صفحه: ১৪৭

وفى كلام القرطبى قد احى الله تعالى على يديه جماعة من الموتى فاذاثبت ذالك فما يمنع ابويه بعد احيائهما ويكون زيادة فى كرامته وفضيلته ولو لم يكن احياء ابويه نافعا لايمانهما وتصديقهما لما احى كما ان ردالشمس لو لم يكن نافعا فى بقاء الوقت لم ترد والله اعلم انتهى .

❏ অর্থাৎ- বর্ণনা করা হইয়াছে যে, আল্লাহ্ তায়ালা তাঁহার (নবীর) সামনে তাঁহার পিতা, মাতা, চাচা আবু তালেব ও দাদা আবদুল মোত্তালিবকে জীবিত করিয়াছেন। (রূহুল বয়ান, ১ম খণ্ডের ১৪৭ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য)।

❏ এবং ইমাম কুরতুবীর বর্ণনায় এই রকম আছে যে, আল্লাহ্ রাব্বুল ইজ্জত নবী করীম (ﷺ) এর সামনে এক জামায়াত মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করিয়াছেন। অতঃপর উহা যখন প্রমাণিত হইল তখন তাঁহার মাতা-পিতাকে জীবিত করার পরে তাঁহাদের ঈমানকে কে অথবা কোন বস্তু অস্বীকার করিবে? অর্থাৎ তাহাদের ঈমানকে কেহ অস্বীকার করিতে পারিবেনা এবং ইহা তাঁহার (নবীর) কারামত ও ফজীলতের মধ্যে অতিরিক্ত হইবে। তাঁহার মাতা-পিতাকে জীবিত করা যদি তাঁহাদের ঈমানের ও বিশ্বাসের জন্য উপকারী না হয় তাহা হইলে আল্লাহ তায়ালা তাঁহাদেরকে জীবিত করিতেন না। যেমন: সূর্যকে ফিরাইয়া আনা, সময় বাকী থাকার মধ্যে যদি উহা উপকারী না হয় পুনরায় ফিরিতনা। আল্লাহই চূড়ান্তের অধিক জ্ঞানী।

অধম (লেখক) বলিতেছেন: আমরা হুজুর (ﷺ) এর মাতা-পিতার ঈমান সম্বন্ধে সন্তোষজনক কথা বলিয়াছি আর তাঁহার চাচা আবু তালেব এবং দাদা আবদুল মোত্তালিবকে জীবিত করার পরে তাঁহাদের ঈমান সম্বন্ধেও তদ্রুপ। (রূহুল বয়ান ১/৯৭১, সূরা তাওবা)।

❏ অতঃপর সাহেবে রূহুল বয়ান আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানীর উক্তিকে বর্ণনা করিতে যাইয়া একটি সন্দেহকে দূর করিয়াছেন।

قال الحافظ ابن حجر فالظن باله صلّى الله عليه وسلّم يعنى الذين ماتواقبل البعثة انهم يطيعون عند الامتحان اكراما للنبى عليه السلام لتقر عينه ونرجوا ان يدخل عبد المطلب الجنة فى جماعة من يدخلها طائعا الا اباطالب فانه ادرك البعثة ولم يؤمن به بعد ان طلب منه الايمان انتهى كلامه، ولعله لم يذهب الٰى مسئلة الا حياء ولذا قال ما قال فى حق ابى طالب .

অর্থাৎ- ইবনে হাজার (رحمة الله) বলিয়াছেন, হুজুর (ﷺ) এর বংশধর সম্পর্কে ধারণা করা অর্থাৎ যাহারা তাঁহার (নবীর) আগমনের পূর্বে মৃত্যুবরণ করিয়াছেন তাঁহারা পরীক্ষার সময় (কিয়ামতের দিন) হুজুরের সম্মানার্থে তাঁহার অনুসরণ করিবেন, যাহাতে তাঁহার চক্ষু মোবারক ঠান্ডা হয় এবং আমরা আশারাখি যে, আবু তালেব ব্যতীত যাহারা খুশি হইয়া বেহেশতে ঢুকিবেন তাঁহাদের সহিত আবদুল মোত্তালিব বেহেশতে প্রবেশ করিবেন। কেননা, তিনি (আবু তালেব) হুজুর (ﷺ) এর আগমণকে পাইয়াছেন এবং তাঁহার (নবীর) নিকট হইতে ঈমানের সন্ধান করিবার পরে তিনি তাঁহার (নবীর) উপর ঈমান আনেন নাই। (ইবনে হাজারের উক্তি শেষ) সাহেবে রূহুল বয়ান বলিতেছেন, আবু তালেবকে জীবিত করার মাসয়ালার দিকে সম্ভবত তিনি (ইবনে হাজার) যান নাই ও সেই দিকে লক্ষ্য করেন নাই। সুতরাং আবু তালেব সম্পর্কে যাহা বলিবার ছিল তিনি তাহা বলিয়াছেন।

(আমাকে আদি দিনের অতীতের করুণা হইতে বঞ্চিত করিওনা, গোপনীয়তার মধ্যে ভাল রহিয়াছে না খারাপ উহা সম্বন্ধে তুমি কি জান?) ১ম খণ্ডের ৯৬২ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।

❏ তাফসীরে মাওয়াহিবুর রহমানে ১১ পারা সূরা তাওবার ৪১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, ইমাম কুরতুবী (رحمة الله) বলিয়াছেন, তাঁহার মাতা-পিতা জীবিত হইয়া যাওয়া যুক্তি বা শরীয়তের পক্ষ হইতে কোন প্রকারের বাধা নাই। আরও বলিয়াছেন আমি ইহাও শুনিয়াছি যে, আল্লাহ্ তায়ালা তাঁহার চাচা আবু তালেবকে জীবিত করিয়াছেন এবং তিনি (আবু তালেব) তাঁহার (নবীর) উপর ঈমান আনিয়াছেন।

❏ তাফসীরে রূহুল বয়ানের তাফসীরকার বলিয়াছেন:

وكان عيسى عليه السلام يحيى الموتى وكذالك نبينا عليه السلام احى الله على يديه جماعة من الموتى .

অর্থাৎ- ঈসা আলাইহিস সালাম মৃতদেরকে জীবিত করিতেন। তদ্রূপ আমাদের নবী (ﷺ)ও। যেহেতু আল্লাহ্ তায়ালা তাঁহার সামনে এক জাময়াত মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করিয়াছেন।

জীবিত করার মাসয়ালাকে যদি আমরা হুজুর (ﷺ) এর মোজেযা মানিয়া নিই তাহাতে কি দোষ বা অসুবিধা রহিয়াছে? ইহা কি যুক্তিগত অসম্ভব? কখনো নয় বরং কোন মৃত্যুকে জীবিত করিয়া ইসলাম দ্বারা সম্মানিত করা ইহা হুজুর (ﷺ) এর একটি ক্ষুদ্র মোজেযা মাত্র। কেন হবেনা। যখন নবীর গোলামদের পক্ষ হইতে এই ধরনের শত শত কারামত প্রকাশ হইয়াছে যেমন হুজুর গাউছে পাক (رضي الله عنه)-এর একটি প্রকাশ্য ঘটনা, একজন মুসলমান ও একজন ঈসাইর মধ্যে ঝগড়া হইয়াছে, সেই ঝগড়া মিমাংসা করিবার জন্য তিনি (গাউছে পাক) একজন মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করিয়াছেন এবং ইসলাম গ্রহণ করাইয়াছেন। তাফরীহুল খাতের ইত্যাদি কিতাব দ্রষ্টব্য।

________________

নবী করীম (ﷺ) এর চাচা আবু তালেবের নাজাত সম্পর্কে বর্ণনা

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল-কাদেরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন