পয়গম্বর আদম (عليه السلام)-এর মওলিদ
আল্লাহতা’লার আশীর্বাদধন্য বান্দাদের মধ্যে মানবজাতির পিতা পয়গম্বর আদম (عليه السلام)-এর সৃষ্টিসম্পর্কিত বর্ণনা কুরআনে সর্বপ্রথম দেয়া হয়েছে এভাবে: “এবং স্মরণ করুন! যখন আপনার রব্ব ফেরেশতাদেরকে বল্লেন, ’আমি পৃথিবীতে আপন প্রতিনিধি সৃষ্টিকারী।’” [আল-কুরআন, ২:৩০]
সর্বশক্তিমান আল্লাহতা’লা পয়গম্বর আদম (عليه السلام)-এর সৃষ্টিরও আগে তাঁর মওলিদ সম্পর্কে উল্লেখ করেছিলেন, নিম্নের আয়াতগুলোতে তা বর্ণিত হয়েছে। হযরত আদম (عليه السلام)-কে যখন তাঁর মানবাকৃতিতে সৃষ্টি করা হয়, ফেরেশতাকুলকে আদেশ করা হয় তাঁর প্রতি সেজদা করতে; কিন্তু ইবলীস (শয়তান) বেয়াদবি করলে তাকে আল্লাহর দরবার থেকে বের করে দেয়া হয়। পয়গম্বর আদম (عليه السلام)-এর সৃষ্টির পূর্ণ বিবরণ রয়েছে নিচে:
এবং স্মরণ করুন, যখন আপনার রব্ব ফেরেশতাদেরকে বললেন, আমি মানুষ সৃষ্টিকারী ঠনঠনে মাটি থেকে, যা দুর্গন্ধময় কালো কাদা থেকেই। অতঃপর যখন আমি সেটাকে ঠিক করে নেই এবং সেটার মধ্যে আমার কাছ থেকে বিশেষ সম্মানিত রূহ ফুৎকার করে দেই, ‘তখন সেটার উদ্দেশ্যে সেজদাবনত হয়ে পড়ো!’ তখন যতো ফেরেশতা ছিল সবাই একত্রে সেজদাবনত হয়ে পড়লো, ইবলীস ব্যতিরেকে। সে সেজদাকারীদের সঙ্গি হতে অস্বীকার করলো। [আল-কুরআন, ১৫:২৮-৩১]
কুরআন মজীদের অসংখ্য স্থানে পয়গম্বর আদম (عليه السلام) সম্পর্কে বিশদভাবে আলোকপাত করা হয়েছে – শুধুমাত্র তাঁর সৃষ্টির বিষয়ে নয়, বরঞ্চ তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক, যেমন বেহেশতে তাঁর আবাস, তাঁর সৃষ্টি সম্পর্কে ফেরেশতাদের ভাবনা, অভিশপ্ত শয়তানের আপত্তি ও পয়গম্বর আদম (عليه السلام)-কে সেজদা করার ক্ষেত্রে শয়তানের ব্যর্থতা, এসব-ই বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মানুষ সৃষ্টিসংক্রান্ত যতোগুলো আয়াত রয়েছে, সবগুলোই পয়গম্বর আদম (عليه السلام)-এর সাথে সংশ্লিষ্ট; এটাই তাঁর মওলিদ বা মওলূদ হিসেবে জ্ঞাত।
__________________
মওলিদুন্নবী (ﷺ)-এর উদযাপন ও অনুমতি (১ম খণ্ড)
মূল: শায়খুল ইসলাম ড: মুহাম্মদ তাহিরুল কাদেরী
অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন