গুপ্ত ধনভান্ডারের মালিক

 

গুপ্ত ধনভান্ডারের মালিক-



❏ সায়্যিদুনা হযরত আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন-



أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ خَزَائِنَ الْأَرْضِ



-‘‘আমি শয়ন অবস্থায় ছিলাম তখন আমাকে জমিনের গুপ্ত ধনভান্ডার সমূহ প্রাপ্ত হয়েছি।’’ ৯৮


{সহীহ মুসলিম শরীফ,খন্ড-৪, পৃঃ১৭৮২, হা/২২৭৪, কিতাবু  রু'ইয়া}



আক্বিদা


আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় হাবীব (ﷺ) কে জমিনের ধনভান্ডার সমূহের চাবি দান করেছেন। আর যাকে চাবি দেয়া হয় তাকে তার মালিক এবং মুখতার বানানো হয়। এজন্য আমাদের প্রিয় নবী (ﷺ) কে আল্লাহ তা‘আলা মালিক ও মুখতার বানিয়েছেন।



সবার উর্ধ্বে-



❏ সায়্যিদুনা হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন, নাবী কারীম (ﷺ) ইরশাদ করেছেন-



أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَأَوَّلُ مَنْ يَنْشَقُّ عَنْهُ الْقَبْرُ، وَأَوَّلُ شَافِعٍ وَأَوَّلُ مُشَفَّعٍ



-“কিয়ামাত দিবসে আমি আদম সন্তানের সর্দার হবো, সর্বপ্রথম আমি কবর থেকে উঠব, সর্বপ্রথম আমি সুপারিশ করবো এবং সর্বপ্রথম আমার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।”  ৯৯


{৯৯. সাহীহ মুসলিম শরীফ, খণ্ড- ৪, পৃ: ১৭৮২, হা/২২৭৮, ইমাম বায়হাকী, শুয়াবুল ঈমান, ৩/৭০ পৃ. হা/১৪০৬, ইমাম বাগভী, শরহে সুন্নাহ, ১৩/২০৪ পৃ. হা/৩৬২৫, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ১১/৪০৪ পৃ. হা/৩১৮৮১}


 



সমস্ত নাবীদের ইমাম, মহান হাবীব হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা (ﷺ) সমস্ত নবী ও রাসূলদের পর সর্দার। এটাও প্রকাশ হয় যে, সমস্ত নবী রাসূলগণকে আল্লাহ তা’য়ালা যে মর্যাদা দান করেছেন এর সবগুলোই সরকারে দু‘আলাম (ﷺ)’র নিকট রয়েছে। কেননা সর্দারের জন্য আবশ্যক যে, যাদের সর্দার হবেন, তাদের থেকে প্রত্যেক মর্যাদায় বড় হওয়া।



❏ মাওলানা রুমী (رحمة الله) এ জন্যই বলেন-



سيد و سرود محمد نور جہاں


بہتر و بہتر شفيع مجرماں



-‘‘সৃষ্টির সেরা নূরে মুহাম্মাদ (ﷺ) দু’জাহানের সর্দার


সর্বোত্তম থেকে সর্বোত্তম তিনি অপরাধীদের সুপারিশকারী।’’



❏ বিশ্ব কবি শায়খ সা‘দী (رحمة الله) বলেন-



آنكہ آمد نہ فلك معراج رو


انبياء  و  اولياء محتاج  او



-“তিনিই ঐ রাসূল যাঁর মি‘রাজগমন নবম আসমান পর্যন্ত হয়েছে। সকল নাবী ও ওলীগণ তাঁরই মুখাপেক্ষী।


এ হাদীস থেকে এটাও প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামত দিবসে তাকে যে সম্মান ও মর্যাদা দান করবেন, তা তিনি জানতেন।



এটাও তাঁর জানা ছিল যে, কবর মুবারক থেকে তিনিই প্রথম উঠবেন। সুতরাং লোকের আক্বীদা এটা যে, নবীয়ে পাক (ﷺ)’র নিকট কী ইলমে গায়ব আছে? স্পষ্টত তারা (বাতিলপন্থীগণ) ভ্রষ্টতার মধ্যে নিমজ্জিত।


তাঁর (ﷺ)’র পবিত্র বাণী যে, সর্বপ্রথম আমি সুপারিশ করবো এবং আমার শাফা‘আত গ্রহণ করা হবে।


আর শাফায়াতের সম্পর্ক কিয়ামতের সাথে। যে সব লোক এ আক্বীদা পোষণ করে যে, সমস্ত নবী এবং আওলিয়াগণ জানেন না যে, কিয়ামত দিবসে তাদের সাথে কিরূপ আচরণ করা হবে। তারা মূলতঃ হাদিসের বিপরীত আক্বীদা পোষণ করে। এবং প্রিয় নবী (ﷺ)’র পবিত্র বাণী থেকে গর্দান ফিরিয়ে নেয়।



❏ মৌলভী ইসমাঈল দেহলভী “তাকভিয়াতুল ঈমান”-এ লিখেছেন যে,



جو كہ الله اپنے بندوں سےمعاملہ كر ے گا خواه دنيا ميں خواه قبر ميىں خواه آخرت ميں- سو اس كى حقيقت كسى كو معلوم نهيں- نہ نبى كو نہ ولى كو نہ اپنا حال نہ دوسر كا



-“আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার সাথে যে আচরণ করবেন, চাই তা দুনিয়াতে হোক, চাই কবরে বা আখেরাতে হোক, তার প্রকৃত অবস্থা কেউ জানে না। নবী-ওলী কেউ জানেন না। নিজের অবস্থাও জানে না, অপরের অবস্থাও না।”  ১০০


{১০০.তাকভিয়াতুল ঈমান, পৃ: ২৭, দিল্লি থেকে প্রকাশিত।}


____________________

আকাইদে সাহাবাহ

(সাহাবায়ে কিরামদের সাথে সুন্নি আক্বিদার সাদৃশ্য)

মূল:আল্লামা আবুল হামিদ মুহাম্মদ যিয়াউল্লাহ

ক্বাদেরী আশরাফী (رحمة الله)

বঙ্গানুবাদ: মাওলানা হাফেয মুহাম্মদ আতিকুর রহমান

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন