উপমাহীন নবী (ﷺ)

 

উপমাহীন নবী (ﷺ)-


❏ সায়্যিদুনা আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন, নাবী কারীম (ﷺ) ইরশাদ করেন-



مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لَا يَتَمَثَّلُ بِي



-‘‘যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখল, সে মূলত আমাকেই দেখল, কেননা শায়তান আমার রূপ ধারণ করতে পারে না।’’  ৯৫


{৯৫. ইমাম মুসলিম, আস-সহীহ, ৪/১৭৭৫ পৃ. হা/২২৬৬ , كتاب الروياء , ইমাম তাবরানী, মু‘জামুল আওসাত, হা/৬০৮ এবং মু‘জামুল কাবীর, ১২/৩৮ পৃ. হা/১২৪০৩, হাকেম, আল-মুস্তাদরাক, ৪/৪৩৫ পৃ. হা/৮১৮৬, ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ১২/৮৮ পৃ. হা/৭১৬৮, সুনানে তিরমিযি, ৪/১০৫ পৃ. হা/২২৭৬, মুসনাদে আবি ই‘য়ালা, হা/৩২৮৫, ইমাম বাগভী, শরহে সুন্নাহ, ১২/২২৬ পৃ. হা/৩২৮৬}



আক্বীদা


শয়তান প্রত্যেকের রূপ ও ছুরত ধারণ করতে পারে। কিন্তু শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)’র রূপ ধরতে পারে না। সুতরাং যে সব মানুষ নিজেদেরকে তার মত বলে, অথবা নাবী (ﷺ) কে তাদের মত বলে এবং এ নিয়ে তর্ক করে তবে তারা তো শয়তান থেকেও মারাত্মক।


আল্লাহ আমাদেরকে এসব মানুষ থেকে হেফাজত করুণ। আমিন!



❏ দেওবন্দীদের মওলভী হুসাইন আহমদ মাদানী বলেন যে,



وہابيہ ا  اپنے كومماثل ذات سروركائنات خيال كر تے ہيں



-‘‘ওয়াহাবিরা নিজেরা নিজেদেরকে রাসূলে কায়েনাত (ﷺ) এর সমকক্ষ মনে করে থাকে।’’


(হুসাইন আহমদ মাদানী, আস-সিহাবুস সাকিব, ৪৭ পৃ.)



❏ দেওবন্দীদের মাওলানা খালিল আহমাদ আম্বিটুবী লেখেন যে,



نفس بشريت ميں مماثل آپ جملہ بنى آدم ہيں



-‘‘মানব হওয়ার দৃষ্টিতে তিনি সমস্ত আদম সন্তানের মত।’’


(বারাহিনে কাতীয়া, ৩ পৃষ্ঠা)



আক্বিদা


এর থেকে নাবী (ﷺ)’র জীবিত, হাজির-নাজির হওয়াটা পরিস্কার হল। তিনি যখন চান, যেখানে চান এবং যে সময় চান উপস্থিত হতে পারেন।



❏ বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা ইবনু হাজার আসকালানী (رحمة الله) বলেন-



وَنُقِلَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّالِحِينَ أَنَّهُمْ رَأَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ ثُمَّ رَأَوْهُ بَعْدَ ذَلِكَ فِي الْيَقَظَةِ وَسَأَلُوهُ عَنْ أَشْيَاءَ كَانُوا مِنْهَا مُتَخَوِّفِينَ فَأَرْشَدَهُمْ إِلَى طَرِيقِ تَفْرِيجِهَا فَجَاءَ الْأَمْرُ كَذَلِكَ



-“আল্লাহর মকবুল বান্দাদের একটি দল থেকে বর্ণিত আছে, যে তারা স্বপ্নে নাবী করীম (ﷺ)’র দিদার লাভ করেছেন। অতঃপর জাগ্রত অবস্থায়ও দেখেছেন। আর তাদের যেসব বিষয়ে সমস্যা ছিল সে ব্যাপারে তারা রাসূল (ﷺ)’র পবিত্র দরবারে প্রশ্ন করেছেন। এবং নাবী করিম (ﷺ) এসব বিষয়ের সমস্যা দূর করে দিয়েছেন।’’  ৯৬


{৯৬. ইবনু হাজার আসকালানী, ফাতহুল বারী, খণ্ড- ১২, পৃ: ৩৮৫, দারুল মা‘রিফ, বয়রুত, লেবানন।


 ৯৭. ইমাম আলূসী, তাফসীরে রুহুল মাআনী, খণ্ড- ৬, পৃ: ১৯০, দারুল কুতব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন থেকে প্রকাশিত।}



❏ আল্লামা মাহমুদ আলূসী (رحمة الله) লিখেছেন যে, ‘পূর্ববর্তীদের থেকে পরবর্তী আলিমদের মধ্যে যারা স্বপ্নে নবীজি (ﷺ)’র দিদার লাভ করেছেন, তারা যে সব বিষয়ে সন্দেহ পরায়ন ছিলেন, সে বিষয়ে তারা নবী করিম (ﷺ)’র নিকট জানতে চাইলেন। নাবী করিম (ﷺ) এসব বিষয়ের সংবাদ প্রদান করে তাদের সন্দেহ দূর করে দিয়েছেন।’  ৯৭


{৯৭. সাহীহ মুসলিম শরীফ, খণ্ড- ৪, পৃ: ১৭৮১, হা/২২৭৪, কিতাবু আর রু‘ইয়া}


____________________

আকাইদে সাহাবাহ

(সাহাবায়ে কিরামদের সাথে সুন্নি আক্বিদার সাদৃশ্য)

মূল:আল্লামা আবুল হামিদ মুহাম্মদ যিয়াউল্লাহ

ক্বাদেরী আশরাফী (رحمة الله)

বঙ্গানুবাদ: মাওলানা হাফেয মুহাম্মদ আতিকুর রহমান

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন