১২ই রবিউল আউয়াল রাসূল (ﷺ)-এর শুভাগমন

 

১২ই রবিউল আউয়াল রাসূল (ﷺ)-এর শুভাগমন-



❏ পৃথিবী বিখ্যাত ইতিহাসবিদ, হাফেযুল হাদিস, আল্লামা ইবনে কাসির (رحمة الله) উল্লেখ করেন-



وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ مِينَا عَنْ جَابِرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ. قَالَا: وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيلِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ الثَّانِيَ عَشَرَ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ



-‘‘ইমাম আবু বকর ইবনে আবি শায়বাহ (رحمة الله) তিনি বলেন, আমাকে হাদিস বর্ণনা করেছেন, উসমান (رحمة الله) তিনি সাঈদ ইবনে মীনা (رحمة الله) হতে তিনি হযরত জাবের (رضي الله عنه) এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন, তাঁরা উভয়েই বলেন, রাসূল (ﷺ) ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার জন্মগ্রহণ (শুভাগমন) করেন।’’


(আল্লামা ইবনে কাসির, বেদায়া ওয়ান নিহায়া, ৩/১৩৫ পৃ. দারু ইহ্ইয়াউত তুরাসুল আরাবী, বয়রুত, লেবানন)



আক্বিদা:


এ হাদিসে পাক থেকে জানতে পারলাম যে রাসূল (ﷺ)-এর শুভাগমন সম্পর্কে সাহাবীদের আক্বিদা ছিল যে তিনি ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবারে পৃথিবীতে এসেছিলেন। আর এটি সকল মুসলমানেরই জানা যে সাহাবায়ে কিরামগণই রাসূল (ﷺ) সম্পর্কে সবচেয়ে ভালভাবে অবগত।  ৯২


{৯২ . সম্পাদক কর্তৃক সংযোজিত।}



সায়্যিদুনা হযরত আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه)’র আক্বিদা



সাহাবীদের উত্তম চরিত্র এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির সংবাদ প্রদান করা-


সায়্যিদুনা আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলে কারিম (ﷺ)’র কাছে এসে আরয করল যে, ‘আমি ক্ষুধার্ত’। তখন রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে এ ব্যক্তিকে মেহমান বানাবে আল্লাহ তার উপর দয়া করবেন।


তখন আনসারী সাহাবীদের থেকে একব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ), আমি এ ব্যক্তির মেহমানদারি করব।’


তিনি মেহমানকে নিয়ে তাঁর ঘরে গিয়ে স্ত্রীকে বললেনঃ ‘ঘরে খাবার কিছু আছে?’ স্ত্রী বললেন, ‘ঘরে কেবল বাচ্চাদের খাবার আছে।’ তিনি বললেন, ‘বাচ্চাদেরকে কোন কিছু দিয়ে তুষ্ট কর।’ যখন আমাদের মেহমান আসবেন, তুমি চেরাগ নিভিয়ে দেবে এবং মেহমানের কাছে প্রকাশ করবে যে, আমরা খাবার খেয়েছি।


যখন মেহমান খানা শুরু করবে, তুমি তার কাছে গিয়ে প্রদীপটি নিভিয়ে দেবে। অতঃপর তারা সকলে বসে পড়লেন এবং মেহমান খানা খেলেন। সকালে যখন তিনি (আপ্যায়নকারী) নাবী কারীম (ﷺ)’র কাছে উপস্থিত হলেন, তখন রাসূল (ﷺ) বললেনঃ



عَجِبَ اللهُ مِنْ صَنِيعِكُمَا بِضَيْفِكُمَا اللَّيْلَةَ



-“তোমরা আজ রাত মেহমানের সাথে উপর যে আচরণ করেছো আল্লাহ তা‘আলা তার উপর অনেক খুশি হয়েছেন।” ৯৩


{৯৩. সহীহ মুসলিম শরীফ, ৩/১৬২৪ পৃ. হা/২০৫৪,  بَابُ إِكْرَامِ الضَّيْفِ وَفَضْلِ إِيثَارِهِ, ইমাম ইবনে আছির, জামেউল উসূল, ৯/৭৩ পৃ. হা/৬৬১৫}



আক্বিদা


নাবী করীম (ﷺ) জানতেন যে, তাঁর সাহাবী (رضي الله عنه) মেহমানের সাথে যে উত্তম আচরণ করেছেন তা। এবং এটাও জানতেন যে, আল্লাহ তা‘আলা এই উত্তম আচরণের উপর সন্তুষ্টি হয়েছেন।


অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টির কথা জেনেই ইরশাদ করেছেন যে, মেহমানের সাথে তোমরা যে উত্তম আচরণ করেছো আল্লাহ এর উপর অনেক খুশি হয়েছেন।


____________________

আকাইদে সাহাবাহ

(সাহাবায়ে কিরামদের সাথে সুন্নি আক্বিদার সাদৃশ্য)

মূল:আল্লামা আবুল হামিদ মুহাম্মদ যিয়াউল্লাহ

ক্বাদেরী আশরাফী (رحمة الله)

বঙ্গানুবাদ: মাওলানা হাফেয মুহাম্মদ আতিকুর রহমান

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন