নবীয়ে পাক (ﷺ)’র প্রিয় বস্তুকে ভালবাসা

 

সায়্যিদুনা হযরত আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিআল্লাহু তা‘আলা আনহু’র আক্বীদা



নবীয়ে পাক (ﷺ)’র প্রিয় বস্তুকে ভালবাসা-



❏ সায়্যিদুনা হযরত আনাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে,



إِنَّ خَيَّاطًا دَعَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِطَعَامٍ صَنَعَهُ، قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ: فَذَهَبْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى ذَلِكَ الطَّعَامِ، فَقَرَّبَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُبْزًا مِنْ شَعِيرٍ وَمَرَقًا فِيهِ دُبَّاءٌ وَقَدِيدٌ، قَالَ أَنَسٌ: فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَتَبَّعُ الدُّبَّاءَ مِنْ حَوَالَيِ الصَّحْفَةِ، قَالَ: فَلَمْ أَزَلْ أُحِبُّ الدُّبَّاءَ مُنْذُ يَوْمَئِذٍ



এক দর্জী রাসূলে করিম (ﷺ) কে দাওয়াত দিয়েছেন, সে কিছু খাবার তৈরি করল। এই দাওয়াতে আমি (আনাস ইবনে মালিক) রাসূূল (ﷺ)’র সাথে যাই। এর পর খাওয়ার জন্য দর্জি রাসূল (ﷺ)’র সামনে যবের রুটি, লাউয়ের সুরয়া এবং ভুনা গোশত আনা হয়। তখন আমি দেখতে পাই যে, রাসূল (ﷺ) লাউয়ের টুকরা তালাশ করছেন। এই দিন থেকে আজ পর্যন্ত আমিও লাউকে ভালবাসি।’’  ১১৫


{১১৫. সহীহ মুসলিম শরীফ, ৩/১৬১৫ পৃ. হা/২০৪১, পরিচ্ছেদ:  بَابُ جَوَازِ أَكْلِ الْمَرَقِ, ইমাম বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, ৭/৪৪৬ পৃ. হা/১৪৫৯৫ এবং শুয়াবুল ঈমান, ৮/৪৫ পৃ. হা/৫৪৭৭, সুনানে আবি দাউদ, ৩/৩৫০ পৃ. হা/৩৭৮২, ইমাম খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ২/১২১৩ পৃ. হা/৪১৮০, পরিচ্ছেদ: كتاب الْأَطْعِمَة}



আক্বীদা


নবী করিম (ﷺ)’র পছন্দনীয় বস্তুকে ভালবাসা মুস্তাহাব এবং এই বস্তু সমূূহ খোঁজ করা বৈধ। এ কারণে রাসূল (ﷺ)’র তাবাররুককে সাহাবায়ে কেরাম ভালবাসতেন। রাসূল (ﷺ)’র চুল মুবারক এবং তাঁর ওজুর পানি সাহাবায়ে কিরাম শরীরে মালিশ করতেন।


আঙ্গুলের মধ্যে ফয়েজ-


সায়্যিদুনা আনাস (رضي الله عنه) বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) কে দেখেছি যে, আসরের নামাযের সময় হল, লোকেরা পানি খুঁজতেছে, কিন্তু পানি পাওয়া গেল না। অতঃপর রাসূল (ﷺ)’র কাছে কিছু পানি আনা হল।



فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ الإِنَاءِ يَدَهُ



তখন রাসূল (ﷺ) তাঁর বরকতময় হাত মুবারক পানির পাত্রে রাখলেন এবং সাহাবায়ে কিরামগণকে ওযূ করার নির্র্দেশ দিলেন।



فَرَأَيْتُ المَاءَ يَنْبُعُ مِنْ تَحْتِ أَصَابِعِهِ حَتَّى تَوَضَّئُوا مِنْ عِنْدِ آخِرِهِمْ



আমি দেখলাম যে, রাসূল (ﷺ)’র আঙ্গুুল মুবারকের নীচ থেকে পানি বের হচ্ছে এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম (رضي الله عنه) ওজু করলেন। হযরত আবূ হামজাহ (رضي الله عنه) বলেন, এ সময় প্রায় তিন শত সাহাবা ছিলেন।  ১১৬


{১১৬. ইমাম বুখারী, আস-সহীহ, ১/৪৫ পৃ. হা/১৬৯, পরিচ্ছেদ: بَابُ التِمَاسِ الوَضُوءِ إِذَا حَانَتِ الصَّلاَةُ , সহীহ মুসলিম শরীফ, ৪/১৭৮৩ পৃ. হা/২২৭৯, পরিচ্ছেদ:  بَابٌ فِي مُعْجِزَاتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ}



আক্বিদা


নবী পাক (ﷺ) ছিলেন উপমাহীন, বরং তাঁর পবিত্র শরীর মোবারকের প্রতিটি অঙ্গ ছিল দৃষ্টান্তহীন। এটার দ্বারা বুঝা গেল যে, কম জিনিসকে বেশি করার ক্ষমতা আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর প্রিয় হাবীব (ﷺ) কে দান করেছেন। আর সাহাবায়ে কেরাম (رضي الله عنه) হুজুর পুরনূর (ﷺ)’র ফয়েয দ্বারা ধন্য হতেন।



❏ কবি বলেন-



انگلياں ہيں فيض پر  ٹو ٹے ہيں پيا سے چہوم كر


ندياں  پنجاب رحمت كى ہيں جارى  واه  واه



-‘‘তাঁর আঙুল মুবারক ছিল দান দক্ষিণায়, পিপাসার্তরা এসে ভীড় জমালো,


(তিনি) তাঁর রহমতের তালু হতে নদী যারী (প্রবাহিত) করলেন।’’


____________________

আকাইদে সাহাবাহ

(সাহাবায়ে কিরামদের সাথে সুন্নি আক্বিদার সাদৃশ্য)

মূল:আল্লামা আবুল হামিদ মুহাম্মদ যিয়াউল্লাহ

ক্বাদেরী আশরাফী (رحمة الله)

বঙ্গানুবাদ: মাওলানা হাফেয মুহাম্মদ আতিকুর রহমান

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন