হযরত সায়্যিদুনা উতবাতুল গােলাম বলেন: অনেক বৎসর ধরে আমার নফস খেজুর খাওয়ার ইচ্ছা করছিল। আমি একদিন কিছু খেজুর কিনে ইফতার করার জন্য রাখলাম। এরই মধ্যে এমন ভয়াবহ ধূলাঝড় শুরু হল যে, চর্তুদিক অন্ধকারে ছেয়ে গেল। যার ফলে মানুষের মধ্যে ভয়-ভীতির সঞ্চার হল। এ অবস্থা দেখে আমি নিজেকে সম্বােধন করে বললাম: “এটা তাের সাহস ও (নফসের আনুগত্য করে) খেজুর কেনার কারণে হয়েছে, আর তাের গুনাহের কারণে লােকেরা ধূলাঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে। অতঃপর প্রতিজ্ঞা করলাম, এখন আর এগুলাের স্বাদ গ্রহণ করবনা।" (প্রাগুক্ত, ২১০ পৃষ্ঠা)
আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হােক এবং তাঁর সদকায় আমাদের ক্ষমা হােক।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হযরত সায়্যিদুনা উতবাতুল গােলাম (رحمة الله) এর এটা বিনয় ছিল, ধূলাঝড় যখন আসল তখন এর জন্য নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করলেন। বুযুর্গগণের বরকতে বিপদ-আপদ আসেনা, দূর হয়। এটা অসম্ভব নয় যে, ভূমিকম্প আসছিল আর তা তাঁর বরকতে ধূলাঝড়ে রূপ নিল।বর্ণিত আছে, “নেককার বান্দাদের। আলােচনাকালে রহমত অবতীর্ণ হয়।” (কাশফুল খিফা, ২য় খন্ড, ৯১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ১৭৭২)।
যখন শুধু আলােচনা করাতে রহমত নাযিল হওয়ার সুসংবাদ রয়েছে তাহলে যেখানে আল্লাহ্ তাআলার ওলীর পুন্যবান সত্ত্বা বিদ্যমান থাকবেন, সেখানে রহমতের অবস্থা কি ধরনের হতে পারে!
জু ওলিয়াে কে মাযারাে পর মুসলমা আতে যাতে হে
খােদা কি রহমতাে সে হিসসা ওয়াফির উহ পাতে হে
_______________
কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন